পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8כשג דאזcrst বিহঙ্গম-বার্তা ృ8న) ജ রূপ আগ্রহই মুক্তির হেতু । কিন্তু কাৰ্য্য নাই অথচ কেবল আগ্রহ আছে ইহা কোন কার্যকর নহে। ইহার সহিত চেষ্টা থাকা চাই। মুক্তি বা যোগ, কিছু, ব্যক্তি বা সম্প্রদায় বিশেষের পৈত্রিক বা একচেটীয় সম্পত্তি নহে। সৰ্ব্বত্রই জীবের প্রাণে পিপাসা অাছে এবং পিপাস শাস্তির নিৰ্ম্মল ও শীতল সলিলের উৎসও আছে । ব্যক্তি বা সম্প্রদায় বিশে ষের প্রাণে ধৰ্ম্মাভিমান-জনিত স্ফীতি অবৈধ । ক্রমশঃ । கம বিহঙ্গম-বার্তা । প্রাণিতত্ত্ব পর্য্যালোচনা কালে আমরা সাধারণতঃ বিষম ভ্রমে পতিত হই । মনুষ্য জাতির সহিত তুলনা না করিয়া আমরা বড় একটা প্রাণীদিগের বুদ্ধি চাতুর্যের প্রশংসা করি না । সেই নিমিত্ত মনুষ্য-বুদ্ধির সমকক্ষ কতকগুলি জন্তু ব্যতীত অনেক প্রাণীকে সকলে অপদার্থ মনে করেন । ঈশ্বর ক্ষুদ্র বৃহৎ সকলকেই অল্প বিস্তর পরিমাণে র্তাহার অসীম জ্ঞানের অংশ দান করিয়াছেন । সুতরাং আমাদিগের সেই জ্ঞানটুকু পৰ্য্যবেক্ষণ করা কর্তব্য—তুলনা করিয়া প্রাণীগণকে নিৰ্ব্বোধ বলা বিধেয় নহে । জন্তুদিগের মধ্যে পক্ষী জাতির বুদ্ধির অধিক প্রশংসাবাদ শুনিতে পাওয়া যায় না। দুই চারিটা পক্ষীকে সাহিত্য ক্ষেত্রে বিচরণ করিতে দেখা যায়। প্রভাত বাতান্দোলিত নদী তীরস্থ উচ্চ বিটপীর উপর অসংখ্য পক্ষীর কণ্ঠনিঃস্থত সুমধুর সঙ্গীত গ্রামবাসীকে জাগাইয়া দেয়, মধ্যাচুের বিশ্বদগ্ধকারী সূর্য্যের কিরণ-জালের মধ্য হইতে ছায়াময় আত্ম কামনস্থ ঘুঘুর ডাকে যেন শীতলতা ফুটিয়া বাহির হয়। স্বমধুর সন্ধ্যাকালে অদূরস্থ কুলায়ে আগত পক্ষীদিগের সন্ধ্যাবন্দন শ্রমকাতরের শ্রমবেদনা দূর করে। স্বরের এই অভাবনীয় মনোহারিত্বে ভাবুকের হৃদয়ে ভাবের উৎস উথলিয়া উঠে, কবি মোহিত হইয়া কাব্যের শোভা বৰ্দ্ধন করেন । স্বরের মাহাত্ম্য লইয়াই সেলির “স্কাইলার্ক", ওয়ার্ডসওয়ার্থের “কুকু” ইত্যাদি । পক্ষীর স্ব কণ্ঠের অনেক বর্ণনা আছে কিন্তু ইহার সদগণের আদর কোথাও নাই । সাধারণে পক্ষীকে অতি অপদার্থ বলিয়া মনে করেন । গর্দভ যেমন মুখের উপমাস্থল হইয়া পড়িয়াছে, সেইরূপ পক্ষীদিগের মূর্খতা সংক্রান্ত Silly as a snipe, Foolish as a buzzard প্রভূতি কতকগুলি কথা প্রচলিত আছে। এই সকল মুর্থতা জ্ঞাপক কথা শুনিলে পক্ষীদিগকে যেরূপ বুদ্ধিহীন বলিয়া মনে হয় প্রকৃত পক্ষে তাহারা সেরূপ নহে। পক্ষীজাতির ঐন্দ্রিয়িক পূর্ণতা ও কাৰ্য্যকলাপ দেখিলে আমাদিগের বদ্ধমূল বিশ্বাস উন্মলিত হইয়া योंझ । সাধারণতঃ পক্ষীদিগের মস্তিষ্ক স্তন্যপায়ী পশুগণ অপেক্ষ নিকৃষ্ট । ইহাদের মস্তিষ্ক সর্বাংশে পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয় না। যে অনুসারে মস্তিষ্ক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় তদনুযায়ী বুদ্ধিও বিকশিত হইয়া থাকে। পেরু, রাজহংস প্রভৃতি অপেক্ষাকৃত নিৰ্ব্বোধ পক্ষীদিগের মস্তিষ্ক অতি নিকৃষ্ট । মাংসাশী পক্ষীদিগের মধ্যে মস্তিষ্কের কার্য্য অধিক মাত্রায় পরিলক্ষিত হয় । নিম্নোস্কৃত তালিকা পাঠে নানা জাতীয় পক্ষী ও স্তন্যপায়ী জন্তুদিগের শরীরের তুলনায় মস্তিষ্কের পরিমাণ কত তাহা সম্যক অবগত হওয়া যায় ।