পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ6ჯა তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ४०, क्ञ १ छ?न The brain of the canary is equal in bulk to 1–14th of the body; barncock, 1–25th ; sparrow, 1–25th ; chaffinch 1–27th ; robin, 1–32nd ; black bird, 1–68th ; duck, 1—256th ; eagle, 1–260th; goose, 1–860th. In man the brain varies from 1–22nd of the body to 1–32nd ; the higher apes, 1–30th ; cat, 1–94th ; the dog, 1–161st ; the horse, I–400th ; and the elephant 1–500th. (The intelligence of animals.) পক্ষীজাতির দৃষ্টি শক্তি অতি তীক্ষ। ইহাদিগের চক্ষের একটু বিশেষত্ব আছে। সেই নিমিত্ত যে দ্রব্য দূরবীক্ষণ ব্যতীত আমরা দেখিতে পাই না অনেক পক্ষী তাহা সচ্ছন্দে নিরীক্ষণ করিতে পারে । কতকগুলি প্রাণিতত্ত্ববিৎ পণ্ডিত একটি । মৃগের মাংস, নাড়ীভূড়ি প্রভৃতি বাহির করিয়া তৎপরিবর্তে কতকগুলি খড় পুরিয়া তাহাকে কোনও মাঠে রাখিয়া ছিলেন । ক্ষণকাল পরে উচ্চ আকাশের কোলে কতকগুলি কৃষ্ণ বিন্দু দেখা গেল। সেই বিন্দুগুলি ক্রমে বৰ্দ্ধিত হইয়া নীচে নামিতে লাগিল । অনতিকাল মধ্যে দেখা গেল তাহারা একদল শকুনী। শকুনীগণ হরিণের নিকট আসিয়া তাঙ্গর চৰ্ম্মে চঞ্চু স্থাপন করিয়াই যেন কিছু বিষন্ন হইয়া উড়িয়া গেল। ইহাতে দেখা যাইতেছে যে শকুনীর দল অতি উচ্চ আমাদের দৃষ্টির বহিভূত স্থান হইতে তাহাকে দেখিতে পাইয়। নামিয়াছিল । ঘ্ৰাণশক্তির সহিত ইহার কোনও সম্বন্ধ নাই। মাটিন নামক পক্ষী সহস্র হস্ত দূর হইতে একটা মশককে দেখিতে পাইলেও তাহাকে তৎক্ষণাৎ আক্রমণ করিয়া গ্রাস করে। কাইট পক্ষী আমাদিগের দৃষ্টির অগোচর স্থান হইতে নিম্নস্থ কোনও জলাশয়ের উপরে একটা মৎস্য ভাসিলে তাহ দেখিতে পায় । চীলের গৃহচূড়া হইতে অকস্মাৎ যেরূপ ক্ষুধার্তের মুখের গ্রাস কাড়িয়া লয় তাহাতে তাহাদিগের দৃষ্টিশক্তির প্রশংসা কর। যাইতে পারে। কথিত আছে তীক্ষ্ণদৃষ্টি প্রাণিগণ অতিদ্রুতগামী হইয়া থাকে । বোধ হয় সেই কারণেই পেচক প্রভৃতি কতকগুলি নিশাচর পক্ষী ব্যতীত অধিংশ পক্ষী অতিশীঘ্ৰ বহুদূর উড়িয়। যাইতে পারে। দৃষ্টিশক্তির ন্যায় পক্ষীদিগের শ্রবণশক্তিও অত্যন্ত প্রবল। পক্ষীরা যেরূপ নানাবিধ স্বর বাহির করে তাহাতে ইহাদের শ্রবণ-শক্তির তীক্ষতা প্রকাশ পায় । কারণ, দ্রুতগামিতা ও দৃষ্টির তীক্ষতার যেরূপ নিকট সম্বন্ধ শ্রবণ-শক্তির সহিত বাকশক্তিরও তদনুরূপ সম্বন্ধ আছে। উভয় শক্তির মধ্যে একটীর হ্রাস হইলে সেই সঙ্গে অপরটাও হ্রাস হয় । অধিকাংশ বধির প্রাণী বিশেষতঃ পক্ষীগণ প্রায়ই বোবা হয় । অনেকে দীর্ঘচঞ্চুবিশিষ্ট পক্ষীদিগকে বধির বলিয়া নির্দেশ করেন । কিন্তু আমরা দেখিতে পাই তাহারা নানা কণ্ঠে গীত গাহিতে পারে। সুতরাং তাহীদের শ্রবণশক্তি অপেক্ষাকৃত হীন হইতে পারে কিন্তু এককালে নাই বলা যায় না। যদি আমরা ছানা শুদ্ধ একটা চড়ুই পক্ষীর বাস কার্নিস হইতে নামাইয়া ঘরের বাহিরে কোন নিভূত স্থানে রাখিয়া দিই, তাহা হইলে ছানা গুলির স্বর লক্ষ্য করিয়া তাহীদের পিতা মাতা তাহাদিগকে খুজিয়া লইতে পারে। এস্থলে দৃষ্টি অপেক্ষ শ্রবণ শক্তির অধিক প্রশংসা করা যাইতে পারে । পক্ষীদিগের ঘ্রাণ শক্তি তত তীব্র নহে। অনেক পক্ষীর চঞ্চুর উপর রন্ধ নাই। তাহারা মুখ দিয়াই গন্ধ গ্রহণ করে । যাহাঁদের চঞ্চুর উপর রন্ধ আছে তাহার।