পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8נשי "Caff >6Nう প্তাহার পর মাথা তুলিল, অনন্তর দ্রুত- | বেগে উড়িয়া গেল। উক্ত ব্যক্তি দূর হইতে এই সকল দেখিয়া হতবুদ্ধি হইয়। দাড়াইয়া রছিলেন। কোনও কোনও পক্ষিজাতির মধ্যে একতা দেখিতে পাওয়া যায় । একদা t& Kö চড়ুই পাখী কোনও এক সোয়ালে৷ পক্ষীর বাসা অধিকার করিয়াছিল । সোয়ালো তাহার শক্রকে তাড়াইবার অনেক চেষ্টা করিল কিন্তু কিছুতেই কৃতকাৰ্য্য না হওয়ায় অপর কতকগুলি স্বজাতি বন্ধুকে ডাকিয়া আনিল । অনেকে একত্র হইয়াও শক্রকে তাড়াইতে পারিল না । অবশেষে সকলে মিলিয়া এক উপায় স্থির করিল। তাহীদের মধ্যে কতকগুলি বাসার উভয় পাশ্বে শক্রনিগমনের পথ বন্ধ করিয়া রহিল। অবশিষ্টগুলি চঞ্চু দ্বারা সুরকী মাটী প্রভূতি আনিতে লাগিল । অবশেষে সকলে মিলিয়। সেই মাটী ও সুরকী দ্বারা বাসার দুইমুখ বন্ধ করত তন্মধ্যস্থ শক্রকে মারিয়া ফেলিল । সময়ে সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পক্ষিজাতির মধ্যে আশ্চৰ্য্য বন্ধুত্ব হইয়া থাকে। এক রমণী পিঞ্জরে একটা গোল্ডফিঞ্চ ও একটা ক্যানারি পক্ষী পুসিয়াছিলেন। ছুইটীতে পরম সুখে ছিল। একদিন রমণী পক্ষীদ্বয়কে আহার দিবার জন্য পিঞ্জরের দ্বার খুলিবামাত্র ক্যানারি পক্ষী পলায়ন করিল। সহচরের বিহনে গোল্ডফিঞ্চ মৰ্ম্মাহত হইল। তাহার সে মনোহর গীতধ্বনি কোথায় ভাসিয়া গেল— সে যেন এখন আত্মস্থখে জলাঞ্জলি দিয়া বন্ধুবিহনে মরণোন্মুখ । দিন দিন পার্থী শীর্ণ ও নিস্তেজ হইতে লাগিল। রমণী র্তাহার জাদরের পার্থীর বিরহ-যন্ত্রণ মোচনর্থ একটী নুতন পক্ষী ক্রয় করিয়া আনি লেন। ক্যানারি গৃহে প্রবেশ করিয়াই চিৎকার করিয়া ডাকিয় উঠিল। সেই প্রিয় অনুচরের কণ্ঠধ্বনির ন্যায় সেই স্বর . গোল্ডফিঞ্চের কর্ণে বড় মধুর লাগিল । অtশায় উৎফুল্ল হইয়া সে চারিদিকে চাহিল। অতঃপর রমণী ক্যানারিকে পিঞ্জরে ছাড়িয়া দিলেন। গোল্ডফিঞ্চ দেখিল, যে তাহার প্রিয় ছিল সে গিয়াছে, নবাগত তাহার অনুরূপ মাত্র । সুতরা, সে যেন অধিকতর বিষগ্ন হইয়া পিঞ্জরের এক কোণে পড়িয়া রহিল । আমরা যেমন প্রিয় জনের তুল্য ব্যক্তি সন্দর্শনে তাহার বিয়োগ-জনিত দুঃখ অধিক মাত্রায় অনুভব করি পক্ষীর ক্ষুদ্র হৃদয়টুকুও বুঝি সেই রূপ স্নেহবিগলিত হইয়াছিল । তাই সে ক্যানারির আগমনে অধিকতর শোকাকুল হইল এবং সেই বিষম শোকেই পরদিন সে ক্ষুদ্র লৌহ পিঞ্জর ত্যাগ করিয়া অনন্ত বিস্তৃত পুণ্যপথে চলিয়া গেল। পক্ষিগণের বাসানিৰ্ম্মাণ-কৌশল কি চমৎকার! বাবুই পার্থীর বাসা দেখিলে মনুষ্যশিল্পীকে আর প্রশংসা করিতে ইচ্ছা হয় না। তখন পরমশিল্পী ভগবানের অদ্ভুত রচনাকৌশল মনে পড়ে এবং ক্ষুদ্র প্রাণীর অপূর্বক শিল্প-গরিমা দেখিয়। শত মুখে তাহাকেই প্রশংসা করিতে হয় । আমাদিগকে কত পরিশ্রম সহকারে বিদ্যালয়ে পাঠ করিয়া, কত শিখিয়া, কত চেষ্টা করিয়া শিল্পকার্য্যে পটুতা লাভ করিতে হয় । আর বিমানচারী পক্ষিগণ শিক্ষার অন্তরালে থাকিয়া যে সকল অভূত শিল্পের পরিচয় দান করিতেছে সভ্যতম গৌরবসমন্বিত জাতিগণ আজ তাহার প্রতি চাহিয়া একবার নয়ন সার্থক করিয়া এই সকল শিল্পিগণের নিকট জন্ম জন্ম শিল্প শিক্ষা করুন। সমগ্র এসিয়াখণ্ড