পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృషి তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ১ওঁ কং, ও ভাগ No A.I.A.A. mm মন্দালসা নাম্নী একজন ব্রহ্মবাদিনী তাহার পুত্রকে ব্রহ্মজ্ঞানের শিক্ষা দেন । । স্থলভা নাম্নী স্ত্রী সন্ন্যাস গ্রহণ করেন । গোধা, ঘোষা, বিহুবরা, ব্রজীয়া, জুহুও দেবশুনি আদি স্ত্রীলোকেরা ঋষিকাছিলেন বিক্রমাদিত্যের রাজত্ব কালে কালিদাস কর্ণাট রাজপত্নীকে পরাস্ত করিতে পারেন নাই । অধিক কি লিখিব ব্যাকরণে বিদ্যা পদ ও সরস্বতী শবদ স্ত্রীলিঙ্গ । আমি যজুৰ্ব্বেদের ২৬ অধ্যায়ের দ্বিতীয় মন্ত্রের বচন দ্বারা বেদপাঠে যে শূদ্র ও অতিশুদ্রাদিরও অধিকার আছে তাহ। প্রমাণ করিয়াছি। এখন যুক্তি মতেও যে বেদে সকলের অধিকার অাছে তাহ বুদ্ধিমান মাত্রেই বুঝিতে পারেন । যখন বেদ সছুপদেশে পরিপূর্ণ তখন যে শূদ্র সদুপদেশ পাইবার জন্য সেই বেদ হইতে বঞ্চিত ইহা হইতে পারে না । সিদ্ধান্ত কেবল স্বার্থপর মনুষ্যদিগের দ্বারাই প্রকাশিত হয় । দেখ স্বার্থের বশীভূত হইয়া পরাশর— “পতিতোপি দ্বিজঃ শ্রেষ্ঠঃ ন চ শূদ্রো জিতেন্দ্ৰিয়ঃ।” ইত্যাদি বেদবিরুদ্ধ বাক্য লিখিতে so o of o- இ এইরূপ | কুষ্ঠিত হন নাই। শূদ্রে যে বেদ পাঠ করিত তাহার প্র মাণ কবস ঋষি। ইনি শূদ্রকুলোদ্ভব হইয়াও বেদাদি পাঠ করিয়া ব্রাহ্মণত্ব লাভ করিয়া ছিলেন। চাণ্ডালকুলোদ্ভব মাতঙ্গ ঋষি । মহান বেদজ্ঞ ও চারি বর্ণের পূজনীয় হইয়াছিলেন । গ্রহণ করিয়া মহা বেদজ্ঞ হইয়াছিলেন । ছান্দোগ্যপনিষদে লিখিত আছে যে জাবাল ঋষি অজ্ঞাতকুলশীল হইয়াও মহান বেদজ্ঞ ও ব্রহ্মর্ষি হইয়াছিলেন। এরূপ প্রমাণ আমাদিগের শাস্ত্রে ভূরি ভূরি পওয়া যায় । যাহা হউক উপরোক্ত প্রমাণ নারদখষি দাসী-গর্ভে জন্ম- | গুলি দ্বারা বেশ বুঝা যাইতেছে যে বেদ যে পড়িতে ইচ্ছা করে সেই অধিকারী তাহাতে আর সন্দেহ নাই । নববর্ষ। X দেখিতে দেখিতে ধীরে হ’য়ে গেল বর্ষ শেষ নূতন বরষ এল ধরিয়া নূতন বেশ । R বারা পাতা তরুতলে গজিয়েছে নবদল ডাকিছে পাপিয়া পিক ক্ষেত হ’য়েছে শু্যামল । Nව দক্ষিণদিকেতে বয় সমীরণ সুবিমল চারিদিকে বহে নানা কুসুমের পরিমল । 8 গাছে গাছে ফুটে ওঠে কত ফুল কত ফল ফল ফুলে উপবন হ’য়ে যায় ধরাতল । (t মেঘবাপ সাগরের উড়ে যায় মহাকাশে তায় তপন শশীর নূতন কিরণ হাসে । واK নূতন প্রভাত ল’য়ে আসিয়াছে নববর্ষ দশদিকে নবরাগ জেগে ওঠে নবহর্ষ ।