পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SᏩb~ তত্ত্ববােধিনী পত্রিক । কথা বল, যে তিনি তোমার কথায় কর্ণপাত করেন না—তোমায় উদ্ধার করেন না। যত্নে রোপিত পাপ-রূপ বিষলতা, যাহা তোমার হৃদয়-ক্ষেত্রে বৰ্দ্ধিত হইতেছে, তাহার মূল উৎপাটনের শক্তি যদি তোমার না থাকে, তবে সৰ্ব্বশক্তিমান অথচ দয়াময় পরমেশ্বরের সাহায্য কেন না প্রার্থনা কর ? প্রকৃত বৈরাগ্য উপস্থিত ন হইলে, বিষয়ের লালসা, বিষয়ের যন্ত্রণ হইতে কেহই মুক্ত হইতে পারে না । ব্ৰহ্মানন্দের অধিকারী হয় না। কোন এক সরল-প্রাণ মহানুভবের অল্প বয়সেই বিষয়-বৈরাগ্য উপস্থিত হইয়াছিল। যতটুকু শুনিয়াছি তাহাতেই বুঝিয়াছি, যে, সে সময়ে কেমনই একটা উদাস ভাব—কেমনই একটা সংসারের জ্বালা ও ব্যাকুলত তাহার হৃদয়কে উত্তেজিত করিয়া তুলিয়াছিল যাহার জন্য তিনি ধন মান ঐশ্বৰ্য্য আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের সংসৰ্গজনিত সুখ বিসর্জন দিতে বাধ্য হইলেন । এ সব আর কিছু ভালই লাগিল না । তাহার বাট হইতে কিঞ্চিৎ দূরে এক সমাধি-ক্ষেত্র ছিল। দিবাভাগে তিনি সেই নির্জন স্থানে যাইয়া কি বিশেষ চিন্তায় নিমগ্ন থাকিতেন । একদা যখন এইরূপ চিন্তায় মগ্ন আছেন, তখন বেলা দ্বিপ্রহর। প্রখর সূৰ্য্যকিরণে চতুর্দিক সমুজ্জ্বলিত। এমন সময়ে সহসা চক্ষু উল্মীলিত করিয়া দেখিলেন, চারি দিকেই অন্ধকার—ঘোর অন্ধকার,যেন কৃষ্ণবর্ণ মেঘে স্বষ্টিকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিয়াছে। সেই কালে মেঘের অভ্যন্তরেই তিনি বিদ্যুৎ দেখিতে পাইলেন । সেই বিদ্যুৎপ্রভার মধ্যে তিনি বাহা পাইলেন, তাহ সমস্ত জীবন তাহাকে রক্ষা করিল এবং কত লোকের রক্ষার হেতু হইল । 3e कक, ७ छोण --- * - এক্ষণে দেখ, যিনি এক সময়ে সংসারের জ্বালায় অস্থির, দিব। দ্বিপ্রহরে অন্ধকার দেখিয়াছিলেন, তিনিই অন্য সময়ে জীবনের অন্য অংশে অন্ধকারের মধ্যে আলোক দর্শন করিলেন । জীবনের ব্ৰহ্মমুহূর্তে যখন ঘোরতর যোগে মগ্ন ছিলেন, দিন চলিয়া গেল, সন্ধ্যার সময় র্তাহার ভূত্য আলোক লইয়া তাহার নিভূত আশ্রমের নিভূত কক্ষে প্রবেশ করিবা মাত্র সহসা তাহার যোগ ভঙ্গ হইল। তিনি তখন মৃদুমধুর স্বরে বলিলেন, আর আলোতে কাজ নাই, এখানে যথেষ্ট আলো আছে। কি অপূর্ব তৃপ্তিস্থখই তখন তিনি অনুভব করিয়াছিলেন আমি আর সে কথা বলিতে পারি না। অামি যেমন করিয়া শুনিয়া ছিলাম তেমন করিয়া বলিতে পারিলাম না । কোথা আলোকের মধ্যে অন্ধকার অার অন্ধকারের মধ্যে আলোক ! এ সকল কেন ঘটে ? প্রকৃত রৈরাগ্য কি ইহার কারণ নহে? যে র্তাহাকে ব্যাকুল অন্তরে ডাকে, তিনি র্তাহাকে অন্ধকার হইতে আলোকে লইয়া যান—আধ্যাত্মিক আলোকে লইয়া যান । এবং পাপতাপ হইতে পবিত্রতাতে লইয়া গিয়া তাহার সকল দুঃখ দূর করেন। অাবার এক ভক্তের কথা একবার মনে কর । যখন র্তাহার ধৰ্ম্মদ্বেষী দাম্ভিক পিতা বলিল “ঈশ্বরের নাম ছাড়, তা না হইলে তোমাকে পাষাণ চাপাইয়া প্রাণে মারিব” তখন র্তাহার কি ব্যাকুলতা—কি ভয়ই উপস্থিত হইল। প্রাণের ভয় নয়। ঈশ্বরের নাম বিরহিত হইয়া ষে পাপ, তাহ তিনি কি প্রকারে সহ্য করিবেন, সেই ভয়ই উপস্থিত হইল। তখন কি এক বিদ্যুৎবলে তিনি বলিয়া উঠিলেন, “ওরে পাষাণের তার নয় রে ভারি, পাপের ভারই গুরু - * - πm.auωσε