পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

به لا اد) se জতি।” একথার সঙ্গে সঙ্গে অশ্রুপূর্ণ লোচনে তর্গত চিত্তে ভগবানকে ডাকিতে লাগিলেন, “কোথায় দয়াময় ! এবিপদ কালে তুমি কোথায় রৈলে, আমাকে দেখা দেও —আমাকে রক্ষা কর । আমি যে তোম৷ ভিন্ন আর কিছুই জানি না” সে হৃদয়ভেদী ডাক কি বৃথা হইয়াছিল ? না ভগবান র্তার পদানত ভক্তকে নানা বিপদ হইতে রক্ষা করিলেন ? অবিশ্বাসী লোকে এসব কথা হাসিয়া উড়াইয়া দিতে পারে, কিন্তু যিনি কখন তাহাকে হৃদয়ের সহিত ডাকিয়াছেন, তিনি বলিবেন অবিশ্বাসের কোন কারণ নাই। অন্ধ আর চক্ষুষ্মানে অনেক তফাৎ । এই প্রকারে দেখা যায়, মৃত্যু র্যার ছায়া, অমৃত র্যার ছায়া, ব্যথিত হইয়। বিপদ কালে যে র্তার শরণাপন্ন হয়, সে কখন নষ্ট হয় না—বিফল মনোরথ হয় না । সঙ্কট যেরূপই হউক না, সংসারের বিপত্তিই হউক, মির্য্যাতনই হউক, আর পাপের আক্রমণই হউক, ভগবানকে ব্যাকুল অন্তরে তদগত চিত্তে ডাকিতে পারিলেই, তাহা তিরোহিত হয়—স্বগের শান্তি আত্মায় উপস্থিত হয় । এখানকার সঙ্কটে যদি এ ক্ষণস্থায়ী শরীর ধৰ্ম্মের জন্য ঈশ্বরের জন্য চূর্ণ বিচুর্ণও হয়, তথাপি আত্মা ইহা সহজে পরিত্যাগ করিয়া শান্তি নিকেতনে উপস্থিত হয় । যাহারা ধৰ্ম্মের জন্য প্রাণ দেন তাহারা সে শান্তি মরণের পূর্বেই অনুভব করিয়া শরীরকে তৃণবৎ মনে করেন । ঈশ্বর র্যার আত্মার আচ্ছাদন, শরীরনাশে তাহার শান্তিভঙ্গ হয় না। একথা আমাদের মত ক্ষুদ্রবুদ্ধি ব্যক্তির অনুভবেই আইসে না । অতএব ব্যাকুল , অন্তরে একবার তাহাকে ডাক । এই যে হৃদয় যাহা সংসার-কণ্টকে ক্ষত বিক্ষত, যাহা হইতে রুধিরধারা দরদর যোগ ও ব্রাহ্মসমাজ పిdఏ ধারে পড়িতেছে, তাহা একবার তাহার পদতলের নিকট লইয়া যাও । যে ঔষধ কোথাও মিলে নাই, তাহা তাহার নিকটে পাইবে । তিনি আত্মার চিকিৎসক । তিনি তোমার ক্ষত স্থানে এমন ঔষধ দিবেন, যাহাতে তুমি চির আরোগ্য লাভ করিবে। শান্তি তোমার সহচর অনুচর হইয়া থ"fকবে । নাথ ! তোমার করুণার কথা স্মরণ করিতে করিতে শরীর রোমাঞ্চিত হইল । আমি জ্ঞান বিজ্ঞান কিছুই জানি না । আমি অন্ধ। “অন্ধ জনে দেহ আলো, মৃতজনে দেহ প্ৰাণ । তুমি করুণাসিন্ধু, কর করুণা-কণা দান ॥” আমি তোমার করুণার ভিখারী । এ অস্থায়ী সংসারের পার যে তোমার পদ, তাহাই অামার ভরসা। সেই অভয়পদ একবার তুমি অামীর ভগ্ন হৃদয়ে রাখ । অামি সকল পাপ সকল তাপ—সকল যন্ত্রণা হইতে মুক্ত झ हे । যোগ ও ব্রাহ্মসমাজ । (२) আত্মবশীকরণ । ইহা সাধারণের পক্ষে বড় সহজ নহে—ভয়ানক কঠিন। রিপুগণের আয়তন এমন বেয়াড়া রকমের বৃদ্ধি লাভ করিয়াছে যে আমরা সুবিধা পুৰ্ব্বক উহাদিগকে “পাকড়াইতে” বা “জব্দ” করিতে পারি না । উহার ধরা ছোয়া দেয় না, অথচ লুকায়িত চীলের মত কোথা হইতে আসিয়া ছোঁ মারিয়া অামাদের অন্তরস্থ বহু যত্নের সামগ্ৰী সমূহ কাড়িয়া লইয়া যায়। হাফেজের মত উচ্চ আত্মাও সংসারের উত্তাল তরঙ্গের বিভীষিকাময় ও ভীষণ অাকার দেখিয়া কাতর, ব্যাকুল ও অসহায় ভাবে চিৎকার করি