পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯა·)ა তত্ত্ববোধিনী পত্রিক »o, es e sfn য়াছিলেন । কিন্তু যিনিই ধীর ভাবে অনাথশরণের চরণ ধরিয়াছেন, যিনি “ভাসায়ে দিয়েছেন দুকূল, সেই অকুল কাণ্ডারীর করে,” তিনিই আত্মার মধ্যে । “মা ভৈ !” র বের বজ্রনির্ঘোষ শুনিয়াছেন । তিনি তরঙ্গ মধ্য হইতে তীরস্থ লঘুচিত্ত ব্যক্তিগণকে উচ্চৈঃস্বরে বলিতে পারেন,—“আমি দুর্বল হইয়াও সবল । আমি মরিতে মরিতে বাচিতেছি । অামার “সকলি গোচর তার পায় ।” আমার দীর্ঘ নিশ্বাস বা ক্ৰন্দন তোমরা শুনিও না— আমার অশ্রু তোমরা দেখিও না । আমি একলা সংগ্রাম করিব, একলা বাচিব, বা মরিব । আমি আমার আত্মা-প্রকোষ্ঠের ক্ষুদ্র এক কোণে বশিয়া আমার বঁধুকে হৃদয়বেদন জানাইব । আমি একলা কঁtদিব—তিনি একলা শুনিবেন ।” “মুষ্টি-আঘাতের দ্বারা কাটাল পাকান” কতদূর ভাল জানি না। অধিকাংশ লোকেই কিল-পক্ক তার পক্ষপাতী। বৃক্ষ-পক্কতার দিকে বুঝি কেহই নহেন । কোন কোন যোগ-কামিগণ চাহেন যে, আমরা বসিয়া থাকিব কিন্তু বন হইতে একটি জটাজুটধারী গুরু-অভিধান সাধক বহু সাধনের ধন অর্জন করিয়া আনিয়া অামাদের প্রাণে উহা সঞ্চার করিবেন। সেই শক্তি লাভ করিয়া আমরা জিতেন্দ্রিয় হইব ও সাধন করিব । অলস ব্যক্তির পক্ষে আত্মজয় সহজ নহে, গুরুই অস্থিন, আর যিনিই আসুন । স্থির প্রতিজ্ঞ ও যত্নশীল ব্যক্তির পক্ষে উহ। লভ্য। অতএব তাহার পক্ষে গুরু-বল-সাহায্য নিম্প্র য়ৈাজন । “ব্রহ্মদৰ্শন” । ধৰ্ম্মের বাজারে একটা প্রকাণ্ড হৈ চৈ পড়িয়াছে যে অমুকের ব্ৰহ্মদর্শন হইতেছে, হইয়াছে বা হইবে । य|झ नl । Γκαμπυu και এবং অমুকের নিকট একটি গুপ্ত তাড়িতাধার অাছে, যাহার শক্তি কিঞ্চিম্মাত্রায় সঞ্চারিত হইবা মাত্রই, রেলগাড়ীর এঞ্জিনের ন্যায়, উহা আমাদিগকে পশ্চাৎ হইতে ধাক দিয়া ঠেলিয়া হুটু করিয়া গন্তব্য স্থানে লইয়া ফেলিবে । বেশ কথা। কিন্তু প্রথমতইত মাশুল দিতে হইলে আত্মবিক্রয় করিতে হইবে । পরে গন্তব্য স্থানে উপনীত হওনের সম্বন্ধেও কিন্তু আমার কিঞ্চিৎ অতি গভীর সন্দেহ আছে। “ব্রহ্মদৰ্শন” বস্তুটী ইতি পূর্বে গোলকণ্ডার খণি মধ্যে, বা হিমগিরির নিবিড়তার মধ্যে লুকান ছিল— *নিহিতম্ গুছায়াম্‌” ছিল,—ব্রহ্ম “গুহাহিতম্ গহবরেষ্ঠমৃ” ছিলেন । ব্রাহ্মসমাজ তাহার সন্ধান করিলেন—কেহ কেহ বা তাহার কণামাত্র লাভ করিয়া মহত্যাখ্যান উপার্জন করিলেন । র্তাহারা যে এই “সাত রাজার ধনের” বিন্দুমাত্র অংশ লাভ করিলেন, তাহার মূল্য নাই—কেবল বিনিময়ে বিন্দু বিন্দু শোণিত, হৃদয় ও জীবন বিসর্জন দিতে হয় । সকলে তাহ দিতে পারে না । কিন্তু অনেকেই উহ। পাইতে ও চাহে । তাহারা উহার ‘কদর্য জানে না, কত কাট খড় প্রয়োজন, তাহা জানে না । ইহার খরিদদার বাড়িল বটে কিন্তু আসল বস্তু কেহ দিতেও পারে না, কেহ কিনিতেও পারে না। অথচ চাইমনভুলান চাই—অম্নি একটি নকল জাল ও মেকির স্বষ্টি হইল, যাহা পথে ঘাটে পাওয়া যাইতেছে । এই ‘ব্রহ্মদর্শন’ এখন, বুঝি, অনেকেই করিতেছেন । বস্তুটীকে সাধকের হৃদয়গুহা হইতে বাহির করিয়া সজোরে টানিয়া রাজপথে বাহির করা হইয়াছে—শেষে কত দূর গড়াইবে বলা গতিক বড় সুবিধাজনক নহে ।