পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८शोष भ४se

  • - که سیبیام به

যোগ ও ব্রাহ্মসমাজ సిల్ఫి আবার ইহাও শুনা যাইতেছে, যে ব্রহ্মের সঙ্গে সঙ্গে তৎপারিষদ্বগও না কি থাকেন । তিনি একলা থাকেন না—বা সকলের নিকট একলা আসিতে সাহসী নহেন। র্তাহার সঙ্গে এক হইতে তেত্ৰিশ কোটি খেচর, ভূচর, জলচর, উভচর দেবদেবীগণ ইহলোক ও পরলোক প্রভৃতি হইতে যে যেখানে ছিলেন আহার নিদ্র। করিয়া কোন কোন সাধকের মনোরঞ্জনার্থ র্তাহাদের মস্তিষ্কের বিস্তৃত কল্পনা-রাজ্যে মহা সমারোহের সহিত আসিয়া সমবেত হন । ইহাদের এই সমুদায় ব্যাপারের সঙ্গে আমাদের কোনই সহানুভূতি নাই । আমরা “ব্রহ্ম দশনকে” এক-জন্ম লভ্য মনে করি না—জন্ম জন্মান্তরে উহা উজ্জ্বল হইতে উজ্জ্বলতর হইবে । একদিনে বা ইহ জীবনে উহা ফুরাইবে না—উহা গুরুতর হইতেও গুরুতর বস্তু—ব্রহ্মের কৃপাই তল্লাভের একমাত্র উপায়, মানবকৃপা নহে । উহার জন্য বড় বেশী ছুটা ছুটী করিলে চলিবে না ; বৎসর বৎসর ধরিয়া ধীরে ধীরে ভূমি কর্ষণ ও বীজ বপন করিতে হইবে—উপযুক্ত ঋতুতে কৃপা-বারি বর্ষিত হইবে—এবং উপযুক্ত কালে আমরা স্বশস্য লাভ করিয়া ধন্য ও কৃতাৰ্থ হইব । আমাদের প্রকৃতির পক্ষে শ্রেয়ঃ যাহা, — কল্যাণকর যাহা, তাহা তিনি অবশ্যই প্রেরণ করিবেন । সন্তান যদি জননীর জন্য নিতান্তই কাতর হয়, তবে, জননী, বল, কত দিন দেখা না দিয়া থাকিতে পারেন ? যদি তিমি স্নেহময়ী হয়েন তবে অবশ্যই জানিতে হইবে যে র্তাহার জন্য যদি আমাদিগের প্রাণ র্কাদে, তবে তিনি কদাচই নিষ্ঠুর ভাবে দূরে ও দর্শনাতীত হইয়া বইকাল থাকিতে পারিবেন না । ব্রহ্মের অনন্ত শক্তিও কাতর সন্তানের বর্জন | অশ্রুর নিকট পরাস্ত। অনেকেই যে ব্ৰহ্মদর্শন করিতেছেন তাহা যে কি किड्ड কিমাকার বস্তু বলিতে পারি না, কারণ, দর্শনের লক্ষণ কই ? দর্শন হইলে “ভিদ্যতে হৃদয়গ্রস্থিঃ ছিদ্যন্তে সৰ্ব্বসংশয়াঃ” । র্যাহারা আজ কাল শক্তি লইতেছেন তাহারা কত অধিক দূর এই লক্ষণাক্রান্ত ; শিষ্যত স্বীকার করিয়া এমন কি বিশেষ সুবিধা পাইলেন, যাছা সহজ উপাসনাদির দ্বারা “অলভ্য’; জগতকে কি অভিনব তত্ত্ব বা ভাব দিতে পরিলেন ; জীবের কত অধিকতর পরিমাণে সেব| রিলেন ; মানব জtতিকে উন্নতির সোপানে আরোহণ করিতে কতদূর সাহায্য করিলেন ? যোগ অর্থে অধাত্ম-শক্তি-স্ফুরণ শক্তি-স্ফূরণ অর্থাৎ শক্তির বিকাশ, প্রকাশ, কাৰ্য্য, জীবন ; নিশ্চেষ্টত নহে, মাণ্ডক শী তাতিবাহন নহে । শক্তিভিখারীর এ সমুদায় কতদূর হইল ? ব্ৰহ্মদর্শন সস্তা বিক্রীত হইতেছে, অম্নি যে যেখানে ছিল ব্যাপারীর নিকট ছুটিল। ইহা কি মহাজনের জিনিস, দিবার জিনিস, দেখাইবার জিনিস ? মুষ্টি প্রয়োগ দ্বারা কি জীবনবৃক্ষের কোন ফলকে হঠাৎ পক্ক তার অবস্থায় পরিণত করা যায়? একটি বৌদ্ধ শাস্ত্রীয় উক্তি আছে “The adept becomes —he is not made” —যোগী অt পনিই যোগী হয়েন; কেহ তাহাকে যোগী করিয়া দিতে পারে না । বিশ্বাসে বস্তু মিলিবেই মিলিবে— নচেৎ পরিদৃশ্যমান বিশ্ব অলীক—জীবন স্বপ্ন মাত্র—ব্রহ্ম নাস্তি—বিশ্বাসের অলভ্য ব্ৰহ্ম একটি কল্পনাস্থষ্ট পাপময় মূৰ্ত্তি । “সবুরে মেওয়া ফলে”—ভেকছত্র এক দিনেই ফলে। কয়লা জুগ জুগান্তরে আকৃত্রিম রাসায়নিক প্রক্রিয়ার গুণে হীরকত্ব প্রাপ্ত হয়। বৃক্ষাদির সুদৃঢ় মজ্জ। বহু বৎ