পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৪ তত্ত্ববােধিনী পত্রিক , 29 *觀.•。孵 नर्दिशद्धिाशांन्, डिनि उँांशंब्रहे छनल बाांকুল, লালায়িত, ও দুর্বল আত্মার প্রতি দয়াপরবশ ও স্নেহবান হইয়। জ্ঞান প্রেমাদি ও অধ্যাত্ম শক্তি সঞ্চার দ্বারা মুক্তি ও তাঁহাকে লাভের সহায়তা করেন না বা করিতে অক্ষম ?” তিনি,—“তা পারেন ও করেন বৈ কি। ঐত আসল ও ঠিক পথ, প্রকৃত উপায় । কিন্তু সকলেইত এক উপায়ে বা পথে চলিতে পারেন না।” তবে এই স্থানেই স্বীকার করা হইল যে র্যাহাকে চাহি, তাহারই চরণে বিশ্বাস, প্রেম ও জ্ঞানের সহিত জড়াইয়া ধরাই শ্রেষ্ঠ পথ । অস্মদেশীয় প্রবচন বলে “মানুষ গুরু মন্ত্র দেন কাণে, জগৎ-গুরু মন্ত্র দেন প্রাণে” —অতএব উভয়ের মধ্যে পার্থক্য কত ? ব্ৰহ্মশক্তিকে উপেক্ষা করিয়া মানবীয় শক্তির উপাসনা করা কতদূর উচিৎ সকলেই জানেন। মানুষ পেণ্ডুলামের মত, পাকের গোজের মত ; ক্ষুদ্র, দুর্বল ও চঞ্চল। ব্রহ্ম শাস্তম্, জ্ঞানমু, অনন্তমূ, এবং স্বপ্রকাশম্ । গুরুশক্তির কি সাধ্য যে র্তাহাকে প্রকাশ করে ? গুরুশক্তি যদি অন্তরে কিছু প্রকাশ করে, জানিব, যে উহা ব্রহ্ম ব্যতীত অন্য কোন বস্তু, হয় ত গুরুর mestueric শক্তি শিষ্য স্বীয় প্রাণে অনুভব করেন মাত্র এবং উহাকেই ব্ৰহ্মশক্তি বলিয়া বুঝেন । অনেকেই যোগ চাহেন কিন্তু উহার কিঞ্চিৎ ভুলভতা জানিতে পারিয়া নানা ফিকির অন্বেষণ করেন, যদ্বারা তাহারা ব্রহ্মকে গুরুশক্তির ফাদে ফেলিতে প্রয়াস পান । বৈষ্ণব সাধক বড়ই আক্ষেপ করিয়া বলিয়াছেন, “বৈষ্ণব হইতে বড় মনে ছিল সাধ, তৃণাদপি শ্লোকেতে পড়ে গেল বাদ ।” এইরূপ ব্ৰহ্মদৰ্শী হইতে “সাধ যাইলে* কি হয়, ব্রহ্মপূজার আয়োজনের কথা শুনিয়া “আকেল” পাইতে হয়, আত্মবলীর নাম শুনিলে অন্তরাত্মা বিশুষ্ক হয় । এই জন্য আমরা গুরুশক্তি রূপ সোনালী পিলু গলাধঃকরণ করিয়া স্থস্থদেহ ও স্বস্থআত্মা হইয়া ব্রহ্মদর্শন করিতে চাহি ! আমরা চাহি কি ? না,আমরা যেমন অtহার নিদ্রায় কালক্ষেপ করি প্রায় তাহাই করিব এবং আহার নিদ্রান্তে তাম্বল চর্বণ করিতে করিতে এক এক দফা গুরু সকাশে যাইয়া মুষ্টিমেয় শক্তি ভিক্ষা করিয়া আনিব এবং পাকে প্রকারে কোন রূপে দম্ আট্‌কাইয়া রুদ্ধ প্রাণবায়ুর রজুতে পক্ষবিশিষ্ট ব্ৰহ্মরূপ সুপর্ণকে ব্রহ্মরন্ধে বাধিয়া জোর জবরদস্তি ও কুস্তি দ্বারা পাকে চক্রে তাহার সহবাস ভোগ করিব—জ্ঞানাদি স্বীয় স্বীয় চরখায় তৈল প্রদান করিবে— যাবতীয় কর্তব্য “বাস্নাজাৎ’ হইবে এবং আমি গৃহে আসিয়া নিশ্চেষ্ট ভাবে ঘুমাইতে ঘুমাইতে যোগনেত্ৰে—(অর্থাৎ দিব্য চক্ষে ) — যাবতীয় বস্তুর অন্তর্বাহ নিরীক্ষণ করিব ও জগতের সমুদায় রহস্যের এক একটা খাপছাড়া সবজান্তা গোছের বৈজ্ঞানিক, বৈদ্যুতিক, আধ্যাত্মিক,“টৈকিক” বা যৌগিক ব্যাখ্যা করিয়া কতকগুলি আত্মনির্ভরহীন ও ব্রহ্মনির্ভরহীন আত্মাকে স্তম্ভিত ও বুজরুকিগ্ৰস্ত ও ভ্রান্ত করিয়াই যে ক্ষান্ত হইব তাহা নহে –অপিচ, হয়ত আমরা চাহি এই যে আমাদের যোগনেত্রের সম্মুখে সকলেই যখন ভ্রান্ত, বিপথগামী, সত্যপথহীন ও উচ্চ ধরণের আধ্যাত্মিকতাশূন্য, তখন তাহারা অস্মদীয় চরণ প্রান্তে লুষ্ঠিত হইয়া জীবস্মৃত্যুর গৃঢ় রহস্য, জগৎ-বাজীর চুড়ান্ত উদ্ভেদ এবং মুক্তি, দিব্য জ্ঞান ও ব্রহ্ম সন্দর্শন লাভের مدح === تحت = -سته حجي حادحمسحصصية