পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e دy و htهم পিপীলিক তত্ত্ব ১৩৫ হদ মীমাংসা ও গুপ্ত মন্ত্র শিক্ষা করুক। এই প্রকার ও আকারের একটা ঘটাফট ভাব, ভিক্ষোপজীবি আমাদের মধ্যে যেন ফুটিয়া উঠিবার প্রাণপণ ও মারাত্মক উপক্রম করিতেছে । পরবিত্তভোজী, পরমুখাপেক্ষী ভাব যে অতি, জঘন্য ভাব, তাহাতে অনুমাত্র দ্বিধা নাই। আমি যে শাকান্ন উদরন্থ করিব তাহার জন্য মস্তকের স্বেদবিন্দু পাতিত করিব,ধৰ্ম্ম-বিষয়ে এভাব কোথায় ? আমাদের দেশ ধৰ্ম্ম, সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ে চিরদিনই দাস্য করিয়া আসিতেছে বলিয়া, আমাদের অস্থিতে অস্থিতে, মজ্জায় মজ্জায় এক মারাত্মক দৌৰ্ব্বল্য ও এই প্রকার জঘন্যতা প্রবেশ করিয়ছে, এবং অভাবজনিত স্বভাবের অবনতিও সংঘটিত হইয়াছে । সৰ্ব্বসিদ্ধিদাতা যিনি, র্তাহাতে ও আমার মধ্যে কোন দালাল বা মোক্তারের বা মোক্তারের “ফড়ের’ কাৰ্য্য নাই । “তিনি আর আমি, মাঝে কেহ নাই”— র্তাহাতে ও অামাতে এ ভাব যাইবে কেন ? একজন ধনবান “সাধু আছেন— ভাল। র্তাহার নিকটে যাইয়া তাহার ভাবভঙ্গী কার্য্যকলাপ দর্শন করিব— পারি ত তিনি কিরূপে মহাজন হইলেন জানিতে চেষ্টা করিব ও গৃহে আসিয়া এই চেষ্টায় থাকিব যে আমিও তদ্রুপ উপায়ে কতদূর করিয়া উঠিতে পারি। তাহা বলিয়াই ধনবানের নিকট ভিক্ষার্থে বা চৌর্য্যার্থে * গমন করিব কেন ? নির্দোষ আত্ম-নির্ভর, আত্ম-চেষ্টা ও ব্ৰহ্মশক্তিতে বিশ্বাসের ভাব থাকা আত্মার স্বাস্থ্য, বল ও স্ফৰ্ত্তি বিজ্ঞাপক । এতদ্ব্যতীত যোগ রূপ মহোচ্চ অবস্থা, ব্রহ্ম দর্শন রূপ চূড়ান্ত সৌভাগ্য লাভ করা কদা--- “শক্তি-চুরি” হইতে পারে, শুনিয়াছি। লেখক । ] চই সম্ভবপর নহে। যে যাহ! চায়, সে তাহাই পায় । যে মানব-সাহায্য চাহে, সে তাহাই লাভ করে। যে ব্ৰহ্মশক্তির সাহায্য চাহে, সে তাহাই পায় ; কিন্তু এতদুভয়ে প্রভেদ স্বৰ্গ মর্ত্য তুল্য। ভিক্ষার দ্বারা স্থল বিশেষে কায়ক্লেশে দিন যাপন করা সম্ভব হইতে পারে, কিন্তু তদ্বারা ধনবান হওয়া যায় না । ক্ৰমশঃ । - حكوميكيد পিপীলিকা-তত্ত্ব। এই ভূমণ্ডল যাবতীয় প্রাণীর আবাসভূমি। ক্ষুদ্র বৃহৎ এখানে সকলই আছে । সকলেই আপনাপন ভাষায় কথা কহিতেছে, আপনাপন ভাবে কার্য্য করিতেছে, আপনাপন কার্য্যে পরমেশ্বরের অসীম মহিমা প্রচার করিতেছে । আমরা সেই কাৰ্য্য দেখিয়া মোহিত হই । ক্ষুদ্রের প্রতি আমাদের বড় দৃষ্টি নাই—মুদ্রকে তুচ্ছ জ্ঞান করিয়া তাহাদের কার্য্যকলাপ দেখিতে আমরা ভালবাসি না । কিন্তু যতদিন না ক্ষুদ্রের বুদ্ধি, কৌশলও কাৰ্য্য সমূহ যত্ন সহকারে পর্য্যবেক্ষণ করিব, যতদিন না বৃহৎ অপেক্ষা ক্ষুদ্রের কার্য্য দেখিয়। অধিক মাত্রায় বিস্মিত হইব, ততদিন অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ডের স্বষ্টিকর্তার অনন্ত শক্তির প্রকৃত মাহাত্ম্য আমাদের চক্ষে পাংশুজালে সমাচ্ছাদিত থাকিবে । অতি ক্ষুদ্র কীট পতঙ্গাদির বুদ্ধি এত তীক্ষ্ণ, তাহাদের স্বভাবসুলভ কাৰ্য্যকলাপ এত কৌশলময় যে ডারউইন বিস্মিত হইয়া বলিয়াছেন – “Many instincts are so wonderful that their development will probably appear to the reader a difficulty sufficient to overthrow, my whole theory.” (Origin of Species : ক্ষুদ্র বৃহৎ সকল প্রাণীই অল্পবিস্তর