পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&পীৰ ১৮১৫ প। দিয়া কর্শিকের কার্য্য করে অর্থাৎ মাটীর প্রলেপ দিয়া গৃহ শক্ত ও বাসোপযোগী করিয়া লয় । একদা এক প্রাণিতত্ত্ববিৎ পণ্ডিত পিপীলিকার গৃহনিৰ্ম্মাণকৌশল সন্দর্শনার্থ নানাস্থান পরিভ্রমণ করিয়া এক পিপীলিকার দেশে আসিয়া দেখিলেন একস্থানে এক কৃষ্ণবর্ণ পিপীলিকা গৃহনিৰ্ম্মাণে ব্যস্ত রহিয়াছে । সে অতি শীঘ্র শীঘ্র কার্য্য করিতেছিল । ছাদ নিৰ্ম্মাণ কfরলেই তাহার গৃহটা সম্পূর্ণ হয়। ছাদের জন্য শুষ্ক পত্র, কুটা প্রভৃতির কড়ি বরগী আবশ্যক ; কারণ পত্রের ব্যবধানের উপর মৃত্তিক রাখিলে গর্ত বুজিয়া যাইবে। কিন্তু কড়ি বরগী রূপে ব্যবহার্য্য খড় কুট৷ অtহরণ করা এ জাতীয় পিপীলিকার রীতি নহে । অতএব পিপীলিকাটী কাৰ্য্য বন্ধ রাখিয়া নিকটস্থ একটা ধান্যের শীষ বাছিয়া লইয়া তাহার অগ্রভাগে আরোহণ করিল। ক্ষুদ্র প্রাণীর ভরে সে শীষ কিঞ্চিন্মাত্রও অবনত না হওয়ায় পিপীলিকা নামিয়া আসিয়া ভিজা মৃত্তিক লইয়া গিয়৷ তদুপরি স্থাপন করিতে লাগিল । মৃত্তিকার ভরে শীষের অগ্রভাগ ভাঙ্গিয় গেল । ইহাতে পিপীলিকার মনস্কামনা সিদ্ধ না হওয়ায় সে নামিয়া আসিয়া শাষের মূলদেশ কাটিতে আরম্ভ করিল। তখন শীষটা খসিয়া পিপীলিকানিৰ্ম্মিত প্রাচীর দ্বয়ের উপর সমান হইয়া শুইয়া পড়িল । তখন পিপীলিকা সন্তুষ্ট চিত্তে তদুপরি স্মৃত্তিক স্থাপন পূর্বক ছাদ প্রস্তুত করিয়া গৃহ সম্পূর্ণ করিল। o এই ঘটনাটি পিপীলিকার অtশ্চর্য্য বুদ্ধি ও শিল্পনৈপুণ্যের পরিচায়ক। এতদ্ব্যতীত ইহাদের যে সকল দৈনন্দিন কাৰ্য্য দৃষ্টিগোচর হয় তাহাও বিলক্ষণ শিক্ষাপ্রদ পিপীলিকা-তত্ত্ব ১২৩৭ ও কৌতুকাবহ। মৃত ফড়িঙ্গ কিম্বা শলভ পড়িয়া থাকিলে অনেক সময়ে দেখিতে পাওয়া যায় বহুসংখ্যক পিপীলিকা একত্র হইয়া তাহ লইয়া চলিয়া যাইতেছে। এত ক্ষুদ্র প্রাণী এমন গুরুভার দ্রব্য গৃহে লইয়া যাইবার জন্য কত অপূর্ব কৌশল অবলম্বন করে তাহা ভাবিলে অtশ্চর্য্যাম্বিত হইতে হয় । একদা কতকগুলি পিপীলিকা একটা মৃত ফড়িঙ্গের উপন! লইয়া তাহাদের আবাসের রন্ধ পথে আসিয়া উপস্থিত হইল। সে সঙ্কীর্ণ পথ দিয়া অতবড় ডানাট প্রবেশ করান নিতান্ত অসম্ভব। কিয়ৎক্ষণ পরে কতকগুলি পিপীলিকা সেই পথ দিয়া ভূমধ্যে প্রবেশ করিল। তখন অবশিষ্ট পিপীলিকাগুলি ডানাটাকে রন্ধ মুখে স্থাপিত করিয়া উপর হইতে ঠেলিতে লাগিল এবং ভূমধ্যস্থ পিপীলিকাগুলি উহাকে নিম্ন হইতে টানিতে লাগিল। কিন্তু চেষ্টা সফল হইল না । তখন তীক্ষবুদ্ধি পিপীলিকাগণ শিকার রক্ষার আশায় একেবারে জলাঞ্জলি না দিয়। আর একটি উপায় অবলম্বন করিল। ডানাটীর উভয় পাশ্ব হইতে মৃত্তিকার কণা সরাইয়া তাহারা সেইপথ প্রশস্ত করিতে আরম্ভ করিল । অৰ্দ্ধ ঘণ্টা কাল মধ্যে পথ দ্বিগুণ প্রশস্ত হইল। পথ ডান৷ প্রবেশের উপযোগী হইতেছে দেখিয়া পিপীলিকার অধিকতর উৎসাহের সহিত কাৰ্য্য করিতে লাগিল । এমন সময় সেই দেশের অার একটী পিপীলিকা একটা মৃত পতঙ্গ লইয়া নগরাভিমুখে আসিতেছিল। দূর হইতে তাহাকে দেখিতে পাইয়া পিপীলিকার দল দৌড়াইয়া গিয়া নুতন শিকার আনয়ন করত রন্ধ মুখস্থিত পালকের পাশ্বে স্থাপন করিল এবং ঢালু ডানাটীর উপর গড়াইয়া দিয়া উহাকে