পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

حيـصيصصيكمبيضيعكتخدم فيه (צף צ §-s sa تقسم হস্তে আসিয়াছেন, তিনি যেন পূর্ণহস্তে আনন্দ মনে গৃহে প্রত্যাগমন করেন ; যিনি নিরাশাকে বহুদিন যাবৎ হৃদয়ে পোষণ করিয়া আসিতেছেন, আজ যেন প্তাহার আশার সঞ্চার হয় । আর কিসের জন্যই বা হৃদয়কে নিরানন্দ ও নিরাশাহদে নিমগ্ন রাখিব ? অামাদের এই উৎসবের যিনি অধিষ্ঠাত্রী দেবতা, তিনি কেবল আজ নহে, তিনি কি চিরকালই আমাদের সঙ্গে নাই ? অার তিনি কি জীবন্ত জাগ্রত নহেন ? তিনি যখন জীবন্ত জাগ্রত দেবতা এবং সেই পরমদেব ষখন আমাদের সঙ্গে সঙ্গেই রহিয়াছেন, তখন আমাদের নিরানন্দ ই বা কিসের আর নিরাশাই বা কিসের ? বৈদিক ঋষি সেই মহান আত্মাতে তাপনার আত্মা সমপণ করিয়া নিজেও নির্ভয় হইয়াছেন এবং সকলকেই এইরূপে নির্ভয় হইতে বলিতেছেন— “আনন্দং ব্রহ্মণে বিদ্বান ন বিভেতি কুত-চন । সেই আনন্দস্বরূপের আনন্দ জানিলে সাধক আর কাহা হইতেও ভয়প্রাপ্ত হয়েন না। পরমেশ্বর আনন্দস্বরূপ, আর র্তাহারই উদেশে এই উৎসব ; তাই অন্ততঃ আজ এই উৎসবের দিনেও সকলে নিরানন্দ ও নিরাশাকে দূরে পরিত্যাগ করুন এবং সকলে আশান্বিত হউন যে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের জয় হইবেই, সত্যের জয় হইবেই। বর্তমান কালের অবস্থা যিনি একটু বিশেষ ভাবে পর্য্যালোচনা করিয়া দেখিবেন, তিনিই জানিতে পারিবেন যে সত্য ধৰ্ম্মের অনুকূল বাতাস চারিদিক্ হইতেই প্রবাহিত হইতে আরম্ভ হইয়াছে। কএক বৎসর পূর্বে আমরা এভাব দেখিতে পাই নাই। পাশ্চাত্য ভূখণ্ডের বৈজ্ঞানিকদিগেরও মতিগতি পরিবর্তিত হইতেছে, তাহা তত্ত্ববোধিনী পত্রিক २७ कक, ७ छीघ्रं _ NokIs _ _ - -ఊres== LDDSATST S AMAAAS LAAAAAL দেরও সত্যধর্মের প্রতি আস্থ ধীরে ধীরে বদ্ধিত হইতেছে। সত্যধৰ্ম্মের প্রতি অনুরাগ বৃদ্ধিই সেই মহান অজ আত্মার জাগ্রত সত্তা বিশেষ ভাবে প্রদর্শন করিতেছে। এই যে সেদিন আমেরিকাতে ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় এক মহামেলা হইয়া গেল, তাহাতে কি সেই মঙ্গলময় পরমেশ্বরেরই হস্ত দেখিতে পাই না ? সেখানে যদিও নানা সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্মের আলোচনা হইয়াছিল, তথাপি আসাম্প্রদায়িক সত্যধৰ্ম্মের, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যাহার দেশভেদে নামান্তর মাত্র, সেই সত্যধৰ্ম্মেরই আলোচনাকে প্রাধান্য দেওয়া হইয়াছিল । ইহা অামাদের অল্প আশার কথা নহে । পাশ্চাত্য ভূখণ্ডের পণ্ডিতেরা যে এইরূপ সাম্প্রদায়িক ভাব পরিত্যাগ করিয়া একই জাগ্রত জীবন্ত দেবতা পরমেশ্বরেরই চরণতলে দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন, ইহা স্মরণ করিলে আমন্দে হৃদয় উচ্ছসিত হইয়া উঠে । অারও তাশার কথা এই . যে, আমাদের স্বদেশেই আজকাল সত্য ধৰ্ম্মের প্রতি আস্থা কিছু বৰ্দ্ধিত হইয়াছে। পাশ্চাত্য পণ্ডিতদিগের প্রশংসাবাদ প্রযুক্তই হউক অথবা অন্য যে কোনো কারণেই হউক, উপনিষদ প্রভৃতি যে সকল শাস্ত্রগ্রন্থে ধৰ্ম্মের গভীর তত্ত্ব সকল নিহিত আছে, সেই সকলের আলোচনা বৰ্দ্ধিত আকার ধারণ করিয়াছে । ইহা অামাদের পক্ষে অতি আহলাদের বিষয়। আমরা জানি যে ধৰ্ম্মতত্ত্বের আলোচনা করিতে করিতে ব্রহ্মপিপাস্থ ব্যক্তি অধিক অগ্রসর হইলেই পরিণামে র্তাহাকে অধ্যাত্মধৰ্ম্মে, এই ব্রাহ্মধৰ্ম্মে পৌছিতেই হইবে । ব্ৰহ্মজ্ঞানরূপ স্বগীয় অগ্নি সকলেরই অন্তরে নিহিত আছে, এই কারণে সকল ব্যক্তিই, সকল জাতিই, আপনার আপনার যত্ন ও চেষ্টা দ্বারা ব্রাহ্মধৰ্ম্মতত্ত্ব সকল