পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

זדוש e so, sכ د سbخ؟ مسجي سيسمسمسمص اے مہیے عےـح -- তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা سےبچے ہےـ--~ حصص - مـمـہ ------- তৎপরে ঐযুক্ত হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ব নিম্নোক্ত প্রকারে সকলকে উদ্বোধিত করি, লেন । । আদ্যকার এই উৎসব কোলাহলে আমরা যেন ইহা বিস্মৃত না হই, যে, সাধক শান্ত দান্ত উপরত তিতিক্ষু এবং সমাহিত হইয়া আত্মাতে পরমাত্মাকে দর্শন করিবেন । এইরূপ সুন্দর নিভৃত নির্জন প্রদেশেই—চতুর্দিকে ওষধি বনস্পতি পুষ্পিত কানন এবং সুদূর প্রান্তর—উপরে অনন্ত আকাশ মঙ্গল লোক হইতে মঙ্গল লোকে প্রসারিত—এইরূপ দেবসেব্য মনোরম স্থানেই সাধকেরা শান্তদান্ত উপরত তিতিক্ষু এবং সমাহিত হইয়া আত্মাতে পরমাত্মাকে দর্শন করেন—যাহার দর্শনে অন্তঃকরণ হইতে পাপ মলিনতা প্রক্ষালিত । হইয়া গিয়া সুনিৰ্ম্মলা শান্তির উৎস নিরন্তর । উৎসারিত হইতে থাকে। অতএব এই উৎসবক্ষেত্রে র্যাহারা সমাগত হইয়াছেন র্তাহার একান্তমনে পরমাত্মার প্রতি মনঃসমাধান করুন—যিনি সত্যের সত্য মঙ্গলের মঙ্গল আত্মার আত্মা সংসার-সাগরের এক- . দ্রের তলস্পর্শ করিতে পারি ? কখনই না। মাত্র ভেলা—সৰ্ব্বজগতের পিতামাতা এবং স্বহৃৎ সেই মহান পুরুষের প্রতি মনকে । স্থিরভাবে নিবিষ্ট করুন এবং তাহার আনন্দরদপানে পরিতৃপ্ত হইয়া আপনাদের । মধ্য হইতে বিবাদ কলহ এবং অশান্তি দূরে নিক্ষেপ করিয়া পরস্পরের সহিত ভ্রাতৃবৎ ব্যবহার করুন—একদিনের জন্য এইরূপ করুন তাহা হইলে কেহই এখান হইতে শূন্যহস্তে ফিরিয়া যাইবেন না— পরম পিতার মঙ্গল আশীৰ্ব্বাদ প্রতিজনের সঙ্গের সঙ্গী হইয় তাহাদের সকল দুঃখ নিবারণ করিবে ; করুণাময় পরমেশ্বর আমাদের সকলের প্রতি র্তাহার প্রসাদবারি বিতরণ করুন । পরে স্বাধ্যায়ান্ত উপাসনা পরিসমাপ্ত হইলে বিদ্যারত্ন মহাশয় এই উপদেশ দিলেন । ঈশ্বর অনন্ত ও মহানৃ, আর আমরা ক্ষুদ্র ও পরিমিত, তথাচ তাহাকে জানিতে আমাদের অন্তরের পিপাসা । অামাদের ক্ষুদ্র জ্ঞান সেই অগাধ অতলস্পর্শ গভীর সমুদ্রে নিমগ্ন হয় কিন্তু খানিকটা গিয়া দিকৃভষ্ট পথিকের ন্যায় সচকিতে ফিরিয়া আইসে, তথাচ তাহাকে জানিতে আমাদের অন্তরের পিপাসা । কিন্তু আমরা দেখিতেছি আমাদের যে কএকটি জ্ঞানলাভের দ্বার অাছে তদ্বারা আমরা রূপরসাদিরই জ্ঞানলাভ করিতে পারি। পরাঞ্চি খানি ব্যতৃণং স্বয়ম্বুস্তস্মাৎ পরাক পশ্যতি নান্তরাত্মন। ইন্দ্রিয় সকল পরাকৃ এই জন্য পরীক্ অর্থাৎ বহির্বিষয়ই দেখে, অন্তরাত্মাকে দেখিতে পায় না । ঈশ্বর কিছুতেই আমাদের ইন্দ্রিয়ের প্রত্যক্ষ হইতে পারেন না । তিনি যদিও ইন্দ্রিয়ের অগ্রাহ্য কিন্তু আত্মার গ্রাহ । এই আত্মার গ্রাহ বলিয়া কি আমরা সেই অগাধ গম্ভীর জ্ঞান-সমু ঈশ্বর আত্মার গ্রাহ্য ; কিন্তু আত্মা নিৰ্ম্মল ও স্থির না হইলে আমরা তন্মধ্যে ঈশ্বরকে দেখিতে পাই না। নিৰ্ম্মল ও স্থির জলেই চন্দ্রবিম্ব সুস্পষ্ট দেখা যায়। কিন্তু আত্মাকে নিৰ্ম্মল ও স্থির করা অতি কঠিন ব্যাপার। ইহাতে কঠোর তপঃসাধন চাই । আত্মার মধ্যে নিরস্তর দেবাসুরের দ্বন্দ্ব চলিতেছে । আমুরগণ বলমদে উন্মত্ত ও দুর্ণিবার। উহাদের মধ্যে যুদ্ধে যদি একটারও জয় হয় তবে সকলেই সিংহবিক্রমে উথান করে। উহারা বড় প্রবলপ্রতাপ কিন্তু ঈশ্বরের প্রসাদে - ঐ সমস্ত দুবৃত্তিকে সম্পূর্ণ দমন করিতে হইবে।