পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb~8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক १७ कझ, ७ ●tश्न -l. --ബ്-- -ജ=ഈ --ക য়াছে, ছায়াময়ী বিভীষিকার তেজও খৰ্ব্ব হইয়াছে । আমাদিগের বিপদ অন্যদিকে । আমরা যে কঠোরতম সাধনা সাপেক্ষ ধৰ্ম্মগ্রহণ করিয়াছি, তাহাতে ঐকান্তিক নিষ্ঠ চাই, যত্ন চাই, অধ্যবসায় চাই, বৈরাগ্য চাই, আত্মবিসর্জন চাই। প্রকৃত ও নিরবচ্ছিন্ন ধৰ্ম্মসাধনের জন্য যে কিছু যত্নচেষ্টার আিবশ্যক0অন্য দিকে তাহার অপচয় হইলে সিদ্ধি স্থদূরপরাহত । লৌকিক বা সমাজিক সংস্কারই বল, দূর্ঘতির মূলোচ্ছেদই বল, তৎসমুদায়কে গৌণ করিয়া, মুখ্য উদ্দেশ্য ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বর সাধনে বদ্ধপরিকর হও । ইহাতে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের স্বগীয় মর্য্যাদা সুরক্ষিত হইবে । আমরাও এখান হইতে মুক্তির পূর্বাভাস দেখিয়া কৃতাৰ্থ হইতে পারিব । জ্ঞান বিজ্ঞানের সহিত অবিচ্ছেদে ও অবিসম্বাদে ব্রহ্মসাধন করিতে পারিব বলিয়াই, করুণাময় পিত এই ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে পৃথিবীতে প্রেরণ করিয়াছেন । আমরা যেন তাহার সুমহান লক্ষ্য বিস্মৃত হইয়া না যাই ; আমরা যেন প্রকৃত ধৰ্ম্মসাধনে তৎপর থাকি । এই যে উপাসনামগুপের অভ্যন্তরে । “একমেবাদ্বিতীয়ং* অক্ষর খোদিত দেখি- | তেছ, এই অদ্বিতীয় পরমেশ্বরই আমাদের উপাস্য দেবতা । চরমগতি ও পরমশান্তি । এই যে মন্দিরের চুড়ায় “সত্যং ঋতং” নাম স্থবৰ্ণাক্ষরে জ্বলিতেছে, ইহাই আমাদের ব্রহ্মের রূপ, মহাকালের বিতস্তি ইহঁাকে পরিমাণ করিতে, গিয়া হার মানিয়াছে । সেই ধ্রুবসত্য অনাদি কাল হইতে জাগিতেছেন । ঐ যে শীর্ষদেশে “ওঁ” অক্ষর দীপ্তি পাইতেছে, উহাই আমাদের সাধনার মন্ত্র। উহাই আমাদিগকে স্বগের সোপান দেখাইয়া দিতেছে। উহারই সাহায্যে আমা ইনিই আমাদের ।

    • ബ - - چےsمیلہ سـتـی- ---- مـا سے-ج *-*.

দের আত্মা ব্রহ্মরূপ লক্ষ্যে বিদ্ধ হইবে । এই যে চারিদিকে শান্তি ও নির্জনতার রাজত্ব দেখিতেছ, এইরূপ একান্তে বশিয়া বিরলে তাহাকে ভাবিতে হইবে । তবেই চরমে সিদ্ধিলাভ করিয়া কৃতার্থ হইতে পরিবে । করুণাময় পিতা ! উৎসবের পর, কত উৎসব চলিয়া গেল। একবার হৃদয় আনন্দে নৃত্য করিয়া উঠে, আত্মা মধুময় হয়, পর ক্ষণেই অমানিশার ঘোর অন্ধকার তাহাকে ঢাকিয়া ফেলে । কতদিন আর কতদিন আমরা এরূপ নরকযন্ত্রণা ভোগ করিতে থাকিব । তোমার চরণ প্রান্তে বশিয়া অমৃত পান কি আমাদের অদৃষ্টে ঘটিবে না। আমরা কি চিরকাল সংসার লইয়া ব্যতিব্যস্ত থাকিব । মানস সরোবরের হংসের ন্যায় কি আমরা তোমার শান্তিসমুদ্রে বিহার করিতে পারিব না । গগনবিহারী পক্ষীর ন্যায় কি আমরা তোমার মুখের জ্যোৎস্না ধবলিত উন্নততর গগনে উড্ডীন হইতে পারিব না। মৃতপ্রায় আসাঢ়-আত্মায় কি চেতনার সঞ্চার হইবে না। পরম মাতা ! মৃতসঞ্জীবন ঔষধ কি তোমার ভাণ্ডারে নাই। তুমি জ্ঞানদাতা বলদাতা সিদ্ধিদাতা বিধাতা । তুমি আত্মার মোহমেঘ অপসারিত করিয়া দিয়া আমাদিগকে উদ্ধার কর । অনন্ত উৎসবের দ্বার আমাদের সম্মুখে উৎঘাটিত কর, যে আমরা অবিচ্ছেদে তোমার প্রেমমুখ দর্শনে উৎফুল্ল হইয়া, তোমার অঙ্গুলীর নির্দেশে ক্রমাগত তোমার দিকে উন্নত হইতে পারি। ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । صهو يصعيح এই প্রাতের উপাসনায় শ্ৰীযুক্ত বাৰু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাবু হিতেন্দ্রনাথ