পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

धांश »v* é ঠাকুর মধ্যে মধ্যে সঙ্গীত করিয়া উৎসবকে আরো মধুময় করিয়া তুলিয়াছিলেন। সভা ভঙ্গ হইলে অনেকে সপ্তপর্ণ বেদীর নিকট দণ্ডায়মান হইয়া ‘কর র্তার নাম গান’ এই গানটী সমস্বরে গাহিয়াছিলেন । পরে মধাচুের বিশ্রামের পর রামপুরহাটের রাজকুমার বাবু মধুর গম্ভীর স্বরে কীৰ্ত্তন করিয়া সকলকে মোহিত করিয়াছিলেন । এইরূপে দিবসের সমস্ত কার্য্য সুচারু রূপে সম্পন্ন হইয়াছিল। পরে রাত্রিকাল সমাগত । আলোকমালায় ব্রহ্মমন্দির উজ্জ্বল হইয়া উঠিল । পরে সকলে উপবেশন করিলে শ্রদ্ধাস্পদ উপাচার্ষ্য শ্ৰীযুক্ত পণ্ডিত প্রিয়নাথ শাস্ত্রী উদ্বোধন সহকারে ব্রহ্মোপাসনা করিয়া নিম্নোক্ত প্রকারে উপদেশ দিলেন । “যেমন তুষারাবৃত পৰ্ব্বত হইতে নদী প্রবাহিত হইয়া নিম্নের ভূমিকে সরস করে, যেমন মলয় হইতে মৃদু সমীরণ প্রবাহিত হইয়া মমুষ্যের তাপদগ্ধ শরীরকে শীতল করে এবং কুস্থমগন্ধ ও পুণ্যকীৰ্ত্তি কাননে কাননে ও কর্ণে কর্ণে প্রবেশ করিয়া নিজীব মনকেও উৎফুল্ল ও উৎসাহিত করে, সেইরূপ সেই ধৰ্ম্মাবহ পাপনুদ পরমেশ্বর হইতে ধৰ্ম্ম প্রবাহিত হইয়া মানবাত্মার মধ্যে সুনিৰ্ম্মলা শান্তি বিতরণ করিয়া থাকে । শরীরপোষণের জন্য যেমন অন্ন ও জলের প্রয়োজন, আত্মার পুষ্টির জন্য সেইরূপ ধৰ্ম্মের প্রয়োজন । অন্ন ও জল জীবের প্রতি ঈশ্বরের দান, ধৰ্ম্মও জীবের প্রতি ঈশ্বরের অশেষ কল্যাণকর দান। অন্নউপার্জন চেষ্টা ও শ্রম সাপেক্ষ, ধৰ্ম্ম উপার্জনও সেইরূপ চেষ্টা ও শ্রমসাপেক্ষ। যাহার জন্য অমের প্রয়োজন সেই শরীর নশ্বর, আর যাহার জন্য ধৰ্ম্মের শান্তি নিকেতন ృb (t কিন্তু এই সংসারে এই আশ্চৰ্য্য দেখা याग्न যে, এখানকার অধিকাংশ মনুষ্যই শরীরের প্রতি যেরূপ অনুরাগ ও মমতা প্রদর্শন করেন ও তাহারই শ্ৰীবৃদ্ধির জন্য যেরূপ অহরহ নিযুক্ত থাকেন, আত্মার জন্য মুহূৰ্ত্তকালও তদ্রুপ যত্ন করিতে প্রয়াস পান না । যিনি ভোক্তা, যিনি শরীরী, র্যাহার জন্য ভোগ এবং শরীর র্যাহার যন্ত্র তাহার প্রতি যত্ন নাই, কেবল যন্ত্রে : প্রতিই মনোযোগ ও ভোগের আয়োজনেই জীবন ক্ষয় । এইরূপ লোকদিগকে আর কি বলিব, তাহারা স্বর্ণ পরিত্যাগ করিয়া অঞ্চলে গ্রন্থিবন্ধন করেন, অগ্নিকে অবহেলা করিয়া অঙ্গারকে সমাদর করেন। পরলোকের প্রতি অবিশ্বাস, ধৰ্ম্মজ্ঞানের অভাবই তাহাদের এরূপ ব্যবহারের মূল । অধৰ্ম্মে এবং বিষয়মোহে একবার আচ্ছন্ন হইলে পরলোকের জ্ঞান হৃদয়ে স্ফৰ্ত্তি পায় না । মৃত্যুর পরে শরীর এখানেই পড়িয়া থাকিবে, আত্মাকে পরকালে লোকান্তরে গিয়া এখানকার স্বকৃতি দুষ্কৃতির ফলাফল ভোগ করিতে হইবে এ বোধ হৃদয় হইতে একবারেই চলিয়া যায় । যদি তাছাই না হইবে তবে মনুষ্যকে ংসারের জন্য যত ব্যাকুল হইতে দেখি, ধৰ্ম্মের জন্য, আত্মার শ্ৰীসৌন্দর্য্য পরিবৰ্দ্ধনের জন্য তাহার শতাংশের একাংশ ও যত্ন ও চেষ্টা করিতে কেন দেখি না ? ধৰ্ম্ম কথা শুনাইবার জন্য, ধৰ্ম্মসাধনের উপদেশ দিবার জন্য ব্রহ্মবিৎ ও ব্রহ্মবাদীরা গৃহীর দ্বারে দ্বারে উপস্থিত হইয়া কেন তাহাদিগকে ডাকিয়া বেড়ান ? ঈশ্বরের প্রিয় কাৰ্য্য সাধনের জন্য তিনি মনুষ্যকে যে সকল ইন্দ্রিয় দিয়াছেন তাহtদিগকে স্বাধীন ইচ্ছার বলে চালিত না প্রয়োজন সেই আত্মার অনন্ত জীবন করিয়া প্রবৃত্তির স্রোতে ছাড়িয়া দিলেই