পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se ما و }هitه وچ --- α" α- """α- - - খজুর বৃক্ষ Sứ খজুর রক্ষ। খজুর বৃক্ষের মাহাত্ম্য প্রাচ্য ভূভাগের কবিদের দ্বারা স্মরণাতীত কাল হইতে উদগীত হইতেছে। উত্তর আফুিকা ও আরবদেশের মরুভূমির অধিবাসীদিগের পক্ষে উস্ত্র যেরূপ আবশ্যক খজুরও সেইরূপ আবশ্যক । উষ্ট্রের অব্যবহিত পরেই খজুর বৃক্ষ আরবদিগের বিশেষ উপযোগী বলিয়া গণ্য হইয়া থাকে। ঈশ্বরভক্ত মুসলমানের। ইহাকে ঈশ্বরের প্রধান দান বলিয়া মনে করে । পারস্য উপসাগর হইতে আটলাণ্টিক মহাসাগরের উপকূল পৰ্য্যন্ত খজুর বৃক্ষের বিস্তীর্ণ উদ্যান সকল দৃষ্ট হইয়া থাকে ৷ খজুর বৃক্ষের কুঞ্জবন স্পেনদেশস্থ ভ্যালেনসিয়া নামক প্রদেশের সমুদ্র তীরকে সুশোভিত করে । ইটালিস্থ জেনোয়া নামক নগরের নিকটে খজুর বৃক্ষের উদ্যান হইতে পামসণ্ডে নামক উৎসরের কাৰ্য্য সম্পাদন করিবার জন্য খজুর বৃক্ষের । নগরের যাত্ৰী সকল গৃহে প্রত্যাগমন সময়ে পরিবারের জন্য যদি কয়েক বাক্স খজুর ফল না লইয়া আইসে তাহা হইলে তাহারা তাহাদিগের দ্বারা উত্তম রূপে অভ্যথিত হয় না। উক্ত সেলিবী নামক সৰ্ব্বোত্তম খজুর বৃক্ষ সম্বন্ধে কতকগুলি উপন্যাস রচিত হইয়াছে। আজুরা নামক খজুর এত উত্তম যে লোকে তাহা খায় কিন্তু তাহা কখনও বিক্রয় করে না । প্রবাদ অাছে যে, যে ব্যক্তি প্রত্যুষে অন্য লি না খাইয়া ছয়টা কিম্বা সাতটা আজুর খজুর খায় তাহা হইলে ভtহাকে বিষ খাওয়াইলেও মরে না । হালুয়া নামক খজুর বৃক্ষ অতি বৃহৎ এবং উহার ফল অত্যন্ত মিষ্ট এজন্য উহ! এই নাম প্রাপ্ত হইয়াছে। এই বৃক্ষের সম্বন্ধে মুসলমানেরা বলে যে ধৰ্ম্মবক্তা মহম্মদ ভূমিতে একটা পাথর বপন করিয়াছিলেন । সেই পাথর কয়েক মিনিটে বৃক্ষ রূপে পরিণত হইয়া ফলবান পাতা রোমান ক্যাথলিকের হস্তে ধারণ হইল। মুসলমানের বলে যে ওয়াস্কি করিয়া শ্রেণীবদ্ধ হইয়া গমন করে। দক্ষিণ | নামক খজুর বৃক্ষের ফল যখন মহম্মদ ফ্রান্সের বাগানে কমলালেবু ও জলপাই । ফলের গাছের মধ্যে খজুর বৃক্ষ জন্মে। কিন্তু খজুর বৃক্ষের রাজ্যের এই সকল উত্তর সীমায় উহ। কখনও ফলবান হয় না । বালুকাময় মরুভূমির মধ্যে মধ্যে যে সকল তৃণাচ্ছাদিত জলপ্রস্রবণশালী শ্যামল ভূমিখণ্ড দৃষ্ট হয় ও যাহাকে এজ বলে তাহাতে খজুর উত্তমরূপে জন্মে। * * সেলাবী নামক খজুর সর্বাপেক্ষা উত্তম, ইহা চামড়ায় মুড়িয়া কাগজে আচ্ছাদিত গোল চেপটা বাক্সে রক্ষিত হয়। ঐ সকল বাক্স মুসলমান প্রদেশের দূরতম স্থান স্থিত লোকদিগকে উপহার স্বরূপ প্রেরিত হয় । মুসলমানদিগের মক্কা নামক পরম পবিত্র খাইয়াছিলেন তখন সেই বৃক্ষ তাহাকে সেলাম করিয়াছিল। সে জন্য এখনও ইহার মস্তকের উচ্চ বোটন ভূমির দিকে অবনত দেখা যায়। সেহানি নামক খজুর বৃক্ষ সম্বন্ধে এরূপ কিম্বদন্তী আছে যে, যখন মুসলমান ধৰ্ম্মের সংস্থাপক র্তাহার জ্যেষ্ঠতাতপুত্র আলির হস্ত ধারণ করিয়৷ খজুর বৃক্ষের নিচে দিয়া যাইতেছিলেন তখন সেই বৃক্ষ চেচাইয়া বলিল “মহম্মদ ধৰ্ম্মবক্তাদিগের এবং আলি ধাৰ্ম্মিকদিগের রাজা । এই সচেতন বুদ্ধিমান বৃক্ষের বংশধরেরা এজন্য খজুর বৃক্ষের রাজ্যে অতি উচ্চপদ প্রাপ্ত হইয়াছে।