পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-ND তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ४७ २ अं, ७ छोत्र -تحت سیستمعاعها মনুষ্য আপনার অধিকার হইতে বিচু্যত হইয়া বন্ধনদশায় পতিত হয়—তখন তাহার প্রজ্ঞাচক্ষু মুদ্রিত হইয় তাহাকে ঘোর অন্ধকারে নিক্ষেপ করে । রূপ, রস, গন্ধ, শব্দ, স্পর্শ, ইহারাই মনুষ্যের স্বাভাবিক বন্ধন-স্থান । এই বন্ধন-স্থান হইতে অন্তমুখে প্রবিষ্ট হইতে না পারিলে শরীর অন্য, আত্মা অন্য, এই বোধ জন্মে না এবং আত্মার অন্তরস্থ ধৰ্ম্মের সুবিমল শান্তি-সলিলে অবগাহন করিয়া আপনার করিতে পারা যায় না । ইহ লোককেই জীবনের শেষগতি মনে করে, পরলোক-জ্ঞান একবারে অস্তমিত হয়, তখন তাহার সেই স্বাভাবিক বন্ধন দৃঢ় হয়। যখন মানুষের বিষয়-স্পৃহাগ্নি প্রজ্জ্বলিত অগ্নি-শিখার ন্যায় জ্বলিয় উঠে এবং কাম্য বস্তু গ্রাস করিতে করিতে কাম- ঈশ্বরের করুণার প্রতি চাহিয়া রহিয়াছি । এই সনাতন ব্রাহ্মধৰ্ম্মের শিক্ষা ও সাধন হইয়া উঠে ; সে যখন ইন্দ্রিয়-সংযমশুন্য । নার সর্বগ্রাসী উদর স্ফীত হইতে স্ফীততর বালকের ন্যায় অকার্য্যকে কার্য্য এবং কার্য্যকে অ কাৰ্য্য রূপে জ্ঞান করে, মূঢ়দিগের সহবাসকেই সুখ ও শান্তির সোপান মনে করে, তখন তাহার বন্ধন কঠিনতর হইয়া তাহার স্বাধীন শক্তিকে একবারে দুর্বল করিয়া ফেলে । এইরূপ ব্যক্তির কালসহকারে যখন ইন্দ্রিয় সকল দুর্নাল হয়, ভোগের লালসা জ্বলন্ত কিন্তু ভোগায়তন যন্ত্র ভগ্ন হয়, তখন সে শোকের অগ্নিতে পুড়িতে থাকে। আত্মগ্লানি যখন তীব্রতর হয়, তখন সঙ্গে সঙ্গে কৃত কার্য্যের জন্য তাহার অনুতাপ আসিয়া উপস্থিত হয়। অনুতপ্ত পুরুষের মুক্তির ইচ্ছা বলবতী হয় । মুক্তির ইচ্ছুক পুরুষের ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসা জন্মে এবং সৎসঙ্গ লাভের ও । -mm- en Παπα-mυιο ধৰ্ম্মকথা শুনিবার অভিলাষ জন্মে। এইরূপে সে ক্রমে ক্রমে অকপট যত্ন ও পরিশ্রম সহকারে পুণ্য পথে ফিরিয়া আসিলে ঈশ্বরকৃপায় তাহার আত্মজ্ঞানের উদয় হয় । সেই শোকদগ্ধ মনুষ্য এই আত্মজ্ঞানের প্রভাবে যখন প্রীতিপূর্বক সৰ্ব্বসেব্য পরমেশ্বরকে আপনার অন্তরে দেখে ও বিষয়রাজ্যে র্তাহার মহিমাকে দেখিয়। সেই মঙ্গলময়ের গুঢ় মঙ্গল অভিপ্রায় বুঝিতে সক্ষম হয় এবং শ্রদ্ধাপূর্বক তাহার ধৰ্ম্ম যথার্থ অধিকার, শান্তি ও স্থস্থত উপলব্ধি । সাধন করিতে থাকে, তখন আর তাহার যখন মানুষ । অজ্ঞানত বশতঃ বিত্তমোহে মূঢ় হইয়া । শোক থাকে না, পরমানন্দ উদ্ভব হয় । যে সনাতন ব্রাহ্মধৰ্ম্মের আশ্রয় লাভে আমরা কৃতাৰ্থ হইয়াছি, কবে তাহার সুবিমল জ্যোতি হৃদযে হৃদয়ে দীপ্তি পাইতে দেখিব, তাহার মার্জিত গৃহ্য অনুষ্ঠানে প্রত্যেক গৃহ পবিত্র হইতে দেখিব, তাহারই জন্য আমরা অনিমেষ লোচনে প্রণালীর মধ্যে যে রত্ব-রাজি নিহিত রহিয়াছে, উৎকৃষ্ট আচার্য্যের সমীপে গমন করিয়া তাহা আয়ত্ত করিলে, এখনো র্যাহারা ধর্মের প্রতি উদাসীন আছেন র্তাহাদের অশেষ কল্যাণ সাধিত হইবে । মুক্ত কণ্ঠে বলিতে পারি যে, ঋষি প্ৰণাত ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উপদেশ ও তত্ত্ব সকলকে যিনি সাধন পথের সহায় করিতে পারিয়াছেন তিনিই এই কথা বলিয়া আনন্দ প্রকাশ করিবার অধিকারী হইয়াছেন যে, “বেদাহমেতং পুরুষং মহা স্তুং আদিত্যবর্ণং তমস: পরস্তাৎ । তমে ব বিদিত্বাতিমৃত্যুমেতি নান্যঃ পন্থ। বিদ্যতে হয়নায় ।” ব্রাহ্মধৰ্ম্মের গভীর সত্য ও ধৰ্ম্মসাধনের বলে আমি সেই সূৰ্য্য-জ্যোতি মহান পুরুষকে এই তিমিরাবৃত লোকে থাকিয়াই