পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ङ्गांश svse জানিতে পারিয়াছি। র্তাহাকে জানিয়াই মানুষ মৃত্যুর হস্ত হইতে পরিত্রাণ পায়, মুক্তি লাভের আর অন্য পন্থা নাই । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । পরে শ্রদ্ধাস্পদ ত্রযুক্ত শম্ভুনাথ গড়গড়ি এইরূপ প্রার্থনা করিলেন। হে জ্যোতির জ্যোতি । আজ সমস্ত দিনই তুমি এই পবিত্র উৎসবক্ষেত্রকে জ্যোতিৰ্ম্ময় করিয়া অtছ । তোমার আবির্ভাবে এই স্থান মধুময় হইয়াছে। আনন্দ-কিরণ চতুর্দিকে বিকীর্ণ হইতেছে। কিন্তু যে আনন্দ এখন উপভোগ করিতেছি, ক্ষণপরে আর ইহাকে ধরিয়া রাখিতে পারিব না। রঙ্গভূমির আলোকের ন্যায় ইহা সহসাই নিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত হইবে। এ জ্যোতির উদয় অস্ত আর সহ হয় না । তোমার এই পবিত্র আনন্দ-কিরণে অামাদিগকে সৰ্ব্বক্ষণ সঞ্চরণ করিতে দেও। জামরা এ অন্ধকার-সংসারের অন্ধকারে আর থাকিতে পারি না । দুৰ্দ্দান্ত হৃদয় কিছুতেই বশীভূত হয় না। এই সংসার-মরীচিকায় আমরা কতবারই প্রতারিত হইয়াছি, তবুও তৃষ্ণ নিবারণার্থ বার বার তাহারই নিকটে হস্ত প্রসারিত করিতেছি । সুখের আtশয়ে যাহার নিকটে শতবার আঘাত পাইয়াছি, পুনঃ পুনঃ তাহারি পদতলে হৃদয়কে সমপর্ণ করিতেছি । এ সংসার সুখধাম নহে, ইহা আমরা জানিয়াও জানি না । ইহা মৃত্যুরই প্রতিকৃতি। এখানে “ছু দিনের হাসি দু দিনে ফুরায়, দীপ নিভে যায় অtধারে’তথাপি আমরা ইহার আসক্তি পরিত্যাগ করিতে পারি না । “আমরা অমৃত মনে করিয়া যাই বিষের আস্বাদ পাই” । হে দেব ! তুমি আমাদের এ মোহ অাব শান্তি নিকেতন ›boግ রণ খুলিয়া দাও। তুমি আমাদিগকে প্রকৃত বৈরাগ্য পথের পথিক কর । তোমার প্রতি অনুরাগকে উজ্জ্বল কর। প্রকৃত সংযম আমাদিগকে শিক্ষা দাও। তোমাকে অন্তরে সাক্ষাৎ পিতামাতা রূপে দেখিতে পাইয়া যেন তোমার পূজা করিতে পারি। মনুষ্যকে যেন ভ্রাতা বলিয়া প্রাণের সহিত ভালব;সিতে পারি। হংস যেমন জলমিশ্রিত দুগ্ধ হইতে জল ছাড়িয়৷ দুগ্ধই গ্রহণ করে, আমরা যেন তেমনি মনুষ্যের দোষ না ধবিয়া গুণভাগই গ্রহণ করিতে পারি। এ অস্থিহীন রসনা যেন কখনই পরনিন্দায় কলঙ্কিত না হয় । অামাদের কথায় কার্য্যে ভাবে ও ভঙ্গীতে যেন কাহার ও হৃদয় ব্যথিত না হয় । যেখানে পাচ জনে মিলিত হইব, যেন সেখানে ভাল কথাই কহিতে অভ্যাস করি । তোমার প্রকৃতির শোভা এবং তোমার দয়া ও প্রেমের কথাই যেন কহিতে পারি। তোমার প্রেমের গানে মেন সে স্থানটাকে মধুময় করিতে পারি। তুমি কত বার কাণে কাণে বলিয়া দিতেছ, অহিংসা পরম ধৰ্ম্ম—দয়াই হৃদয়ের সার ধৰ্ম্ম । সেই অহিংসা ও দয়া ধৰ্ম্মে তুমি আমাদিগকে পরিতৃপ্ত কর । শরীর দিয়া হউক, মন দিয়া হউক, ধন দিয়া হউক, আমাদের যাহার যাহা আছে তাহ দিয়া, যেন আমরা পরোপকার করিতে পারি। এই অস্থায়ী শরার ধারণ করিয়া যদি একজনেরও অশ্রুমোচন করিতে পারি তাহা হইলেও আপনাকে কৃতাৰ্থ মনে করিব । হে দেব ! তুমি আমাদিগকে এই শক্তি দান কর । হে শিব সুন্দর । আমরা যেন তোমার শোভার ভাণ্ডার প্রকৃতির भएपा-cडा মাকে অনুক্ষণই দেখিয়া আনন্দলাভ ক