পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سbسbخ؟ معتحتمع-تحتی ت====تحت ناحیه তত্ত্ববােধিনী পত্রিক 2s 等關,s &*

  • -o *F - _ прв

SAAAAAA SAAAA AAASA SAASAASSAAAAAAS TM 爵 রিতে পারি। জনসম্বাধ ব্রাহ্মসমাজ– যে খানে তোমার পদানত ভক্তেরা তোমাকে এক হৃদয়ে একপ্রাণে ডাকে, সেখানেও তুমি আমাকে দেখা দিয়া সুখী করিও, আবার সেই নির্জন প্রদেশে—নিভূত নিলয়ে—যেখানে সংসারের মোহ কোলাহল পহুছিতে পারে না—যেখানে বিহঙ্গ সকল তোমাকে গাইতেছে—যেখানে স্থগন্ধি কুসুম তোমাকে গন্ধ দান করিতেছে, তরুরাজির পত্রে পত্রে যেখানে তোমার নাম—তোমার পবিত্র নাম লেখা রহিয়াছে,—পৰ্ব্বতের প্রস্তর যেখানে হৃদয়ে হৃদয়ে জড়িত হইয়া উদ্ধ মুখে তোমার নাম তোমার প্রেম ঘোষণা করিতেছে, সেখানেও আমরা যেন তোমার দর্শন পাই। নিঃসঙ্গ হইয়া যেন তোমার সঙ্গ লাভ করিতে পারি। তুমি এ দীনকে তোমার করিয়া লও । আমি চক্ষু মুদ্রিত করিয়া হৃদয় মধ্যে যেন তোমাকেই দেখিতে পাই । তোমার কৃপাই আমার সর্বস্ব। তুমি কৃপাগুণে আমার হৃদয়-পদ্মকে প্রস্ফুটিত কর । আমি সেই ফুলে তোমার চরণ পূজা করিব। তুমি আমাকে আশীৰ্ব্বাদ কর, যেন আমার আত্মা চিরদিন শান্তি-সুখ ভোগ করে। তুমি দীনদয়াল—তুমি আমার হৃদয়কুটারে বাস কর । তাহা হইলে এ সংসারের দুঃখ তাপ বিপদ আপদ কিছুতেই আমাকে বিচলিত করিতে পারিবে না। নাথ ! মৃত্যু নিকটবর্তী হইতেছে। জীবন থাকিতে থাকিতেই তোমার শাস্তিস্বধ পান করাও । যেন মরিবার সময় বিকৃত হইয়া না মরি। তোমার শরণাগত হইয়। তোমার আজ্ঞা জীবনে পালন করিয়া যেন শেষ দিনে নির্ভয় হইয়া তোমার সম্মুখে উপস্থিত হইতে পারি। এই ভিক্ষ তুমি আমাকে দাও । মরণান্তে তুমি আমাকে সেই লোকে স্থান দিও, যেখানে তোমাকে ভাল করিয়া উপভোগ করিতে পারিব । এখানে যে সকল বাধা তোমাকে ভাল করিয়া দেখিতে দেয় মা— ভোগ করিতে দেয় না, সে বাধা যেন সেখানে আর না থাকে। এই তোমার নিকটে প্রার্থনা । “নাথ হে প্রেম পথে, সব বাধা ভাঙ্গিয়া দাও । মাঝে কিছুই রেখে না, রেখো না থেকে না দূরে। নির্জনে সজনে অন্তরে বাহিরে নিত্য তোমারে হেরিব’ । নাথ ! তোমার কৃপায় তোমার এ ভারতভূমি বহুদিন হইতেই পুণ্যভূমি বলিয়া প্রসিদ্ধ আছে । সোণার ভারতে কত কীৰ্ত্তি ছিল—এখনও কত কীর্তি আছে । এখানে ধৰ্ম্মের উদেশে লোকে অতিথিশালা করিয়া দিয়াছে, কত নিরশ্ন ক্ষুধিত ব্যক্তি সেখানে ক্ষুন্নিবৃত্তি করিয়া জঠরজ্বালা নিবারণ করিতেছে। সরোবর খনন করিয়া দিয়াছে—তৃষ্ণাৰ্ত্ত জনগণ তথায় তৃষ্ণ নিবারণ করিয়া শ্রান্তি দূর করিতেছে। বৃক্ষ প্রতিষ্ঠা করিয়া দিয়াছে, তাহার ছায়ায় কত অতিপতাপিত পথিক দেহকে শীতল করিতেছে—চতুষ্পাঠী করিয়া দিয়াছে—তথায় কত বিদ্যার্থীরা বিদ্যা লাভ করিতেছে। কিন্তু হৃদয়ের জ্বালা নিবারণ করিবার—আত্মার ক্ষুধা তৃষ্ণ নিবারণ করিবার কোন সাধারণ স্থান ভারতে ছিল না। সে পবিত্র স্থান এই ব্ৰহ্মমন্দির। বিশুদ্ধ ধৰ্ম্মের আকরভূমি এই ব্ৰহ্মমন্দির । পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে জাগ্রত রাখিবার এমন স্থান দ্বিতীয় আর নাই। আকাশে তারকা মধ্যে যেমন চন্দ্রমা, কীর্তির মধ্যে ব্রহ্মমন্দির তেমনি শ্রেষ্ঠ কীর্তি। হে পরমেশ্বর ! যে সাধুহৃদয়ে তুমি আনন্দের