পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இச் शांश »v>é যোগ ও ব্রাহ্মসমাজ ృbrఏ সহিত বাস কর সেই পবিত্র হৃদয়ই ইহার ভিত্তিভূমি। এখানে আসিয়া কতলোক পাপ তাপ হইতে নিস্কৃতি পাইয়াছে। এখানে একটা কথায় হয়ত কত লোকের জীবন স্রোত ফিরিয়া গিয়াছে। কত নিরাশ ব্যক্তির হৃদয়ে আশার সঞ্চার হইब्राcई । কত পুত্ৰশোকে অভিভূত ব্যক্তি শান্তিলাভ করিয়াছে। তোমার এ সদাব্রতে স্বৰ্গীয় অন্ন প্রাপ্ত হইয়া কত পাপঞ্জীর্ণ ব্যক্তি নবজীবন লাভ করিয়াছে । অতএব পরিশেষে আমি যোড় করে তোমার নিকটে এই প্রার্থনা করিতেছি—যে তুমি তোমার প্রসাদ স্বরূপ এই মন্দিরকে সকল প্রকার ঝঞ্জা বায়ু হইতে রক্ষা কর । একটি প্রদীপ হইতে যেমন শত শত প্রদীপ প্রজ্বলিত হয়, তেমনি একটি আদি আদর্শ ব্রহ্ম-মন্দির হইতে শত শত ব্ৰহ্ম মন্দির রূপ প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত হইয়া সমস্ত ভারত আলোকিত হউক । হে দেব ! এই আমার প্রার্থনা—এই আমার প্রার্থনা। তুমি কৃপা করিয়া তাহ পূর্ণ কর । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । এই ব্রহ্মোৎসব উপলক্ষে দীন দুঃখীদিগকে বিস্তর অন্ন বস্ত্র প্রদান করা হইয়াছিল । র্যtহার এই তীর্থস্থানে উৎসব দর্শনার্থ গমন করিয়াছিলেন বাবু দ্বিপেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তত্ত্বাবধানে তাহারা সকল বিষয়ে বিশেষ স্বর্থী হইয়াছিলেন । - যোগ ও ব্রাহ্মসমাজ । ( পূৰ্ব্ব প্রকাশিতের পর ) ভারতবর্ষে গুরুব্যবসায়ের উৎপত্তি মানবের আলস্য ও অবিশ্বাসে এবং গুরু ব্যবসাদারদের বুজরুকি, আত্মাভিমান ও স্বার্থপরতাতে । সকল গুরুই যে একইরূপ उाश नष्श्। बिब्रम्भब्र बाडिक्लब बिग्रश्न প্রমাণিত করে। নিজের বোঝা তোমার স্কন্ধে কিয়ৎ পরিমাণে চাপাইয়। কার্য্য চালাইব ; বা পায়ের উপর পা রাখিয়। তোমার মস্তকে হস্ত বুলাইয়া বিলক্ষণরূপে উদরপূৰ্ত্তি করিব, অপিচ তুমি আমার চরণকমলের বৃদ্ধ ও স্থল পরাগ কেশরটি মুক্তি, শক্তি ও মধুলভ লো ে সৰ্ব্বদা লেহন করিবে, অলাভ কি ? গুরুগিরির সঙ্গে সঙ্গে ধৰ্ম্মসাধনেব প্রণালী সম্বন্ধেও একটা অভেদ গুঢ়তা, অজ্ঞেয় ভেল্কি ও প্রকার বিশেষের ভোজ বুজরুকি প্রবেশ করিয়াছে। “কোস্তিক’ যোগ ইহার অন্যতর কারণ । ভারতবাসিগণের মজ্জা-প্রবিষ্ট দৌৰ্ব্বল্য, পরাধীনতা ও অপদার্থতা ইহার প্রথম কারণ । “বেণ বনে মুক্ত ছড়াইও না,” Do not . throw peals before the swine, “ontots sofa কথা, না কহিবে যথা তথা”— প্রভৃতি নানা অতীব প্রাচীন উপদেশের দোহাই দিতে অনেকেই প্রস্তুত, কিন্তু এই সমুদায় গেল “আমার এইরূপ হইয়াছে বা তুমি এইরূপ কর” বলা সম্বন্ধে । কিরূপে এক একটা আধ্যাত্মিক অবস্থায় সহজ সাধনা দ্বারা উপনীত হওয়া যায়, সাধারণ ভাবে জগতে তাহ প্রচার করিলে হানি কি ? তাহা হইলে সংসার-সমুদ্রে বহু পোতনিমগ্ন ভ্রাতা ভগিনী দেখিয়া শুনিয়া হৃদয়ে নূতন সাহস ও বলের সঞ্চার অনুভৰ করিবেন । যদি আমার কথায় সত্য বা সত্যের জীবন্ত সাক্ষ্য থাকে, তাহাতে জগতের হিত হইবেই হইবে । সত্য প্রচারে, সত্যের অনুরোধে প্রচারিত হইলে, অহিত হইতেই পারে না, হইবার সম্ভাবনাও নাই-কখন হয় ও নাই, ভবিষ্যতে হইবেও না । সত্য ও তাহার প্রচা