পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఎS তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা s७ कन्न, ७ उtनं রকে আমরা এইরূপ বস্তু বলিয়াই জানি । সত্য লুকায়িত থাকিবে না, উহা লুকান উচিতও নহে। যিনি প্রেমিক সাধক তিনি কি সাধনস্বধা হইতে প্রিয় মানবগণকে বঞ্চিত করিতে পারেন ? অধ্যায় যোগী টমাস্ এ কেম্পিস্ স্থান বিশেষে এই প্রকার প্রার্থনা করিয়াছেন “সকল গুরু নিঃস্তব্ধ হউক । নীরবে তোমার উপদেশ শুনি ।” প্রেম-যোগী হাফেজ গাহিয়াছেন “আমি ত চুপ করিয়া থাকি, কিন্তু তিনি অামার ভিতরে দিবারাত্রি গোলমাল করেন” ও “যে উদ্যানে সখার চূর্ণ কুন্তলের সৌরভ বহন করিয়া সুশীতল সমীরণ প্রবাহিত হইতেছে তথায় তাতার দেশীয় কন্তুী সঞ্চারের প্রয়োজন কি ?” কবিরও বলিয়াছেন যে, তাহাকে লাভের ইচ্ছা রূপ অগ্নির এক “বুন্দ আত্মায় লাগিলেই সব झ्ड्रेल । ব্রাহ্ম কবির প্রতিভা বলিতেছেন “তুমি নাহি দিলে দেখা, কে তোমারে দেখিতে পায় ? তুমি না করিলে কৃপা সহজে কি চিত ধায়’ ? এই যে, ব্রহ্মের দিকে চিত্তের গতি ব্ৰহ্মলাভের একান্ত বাসনা, ইনিই সদারু। তুলসীদাস যে স্থলবিশেষে সদগুরুকে “আগ্‌ বলিয়াছেন, এই আগ ঈশ্বরকে লাভের পিপাসা ; আত্মার ভিতর পরমাত্মার ডাক, আহ্বান, অন্তরস্থ জগদগুরুর কণ্ঠস্বর। আত্মার মধ্যেই এই সদগুরু বিদ্যমান কিন্তু মানব তছদেশে চতুর্দিকে ভ্ৰাম্যমান, “ষেয় সা নাভিক সুগন্ধ মৃগ নাহ জানত हूँড়ত ব্যাকুল হোই”। আত্মাই সতত বন্ধু, আত্মাই সতত গুরু। র্যাহারা আত্মদর্শনশীল, আত্মনির্ভর-শীল ও

  • + -

_ ব্রহ্মনির্ভরশীল হইতে শিক্ষা দেন তাহারাই সদগুরু। সদগুরু পাইবার তিনিই উপযুক্ত, যিনি আবাল বৃদ্ধ, আচল গহন সকলেরই নিকট শিষ্যত্ব স্বীকার করিতে জানেন । তিনিই সদগুরু, যিনি শিষ্যের চক্ষুকে স্বীয় চরণ হইতে, আত্মা ও আত্মনির্ভরের দিকে ফিরাইয়া দেন । আত্মার শক্তি ক্ষুদ্রণ ও বিকাশই শ্রেষ্ঠ শিক্ষার উদ্দেশ্য। উপনিষদ বলিতেছেন “ন মেধয়া ন বহুনা শ্রীতেন”, কোন কিছুরই দ্বারা র্তাহাকে লাভ করা যায় না, কেবল তল্লাভের একান্ত পিপাসা দ্বারাই তিনি লভ্য— পিপাসিত আত্মা, যিনি পানেচ্ছ, তিনি র্তাহারই, ‘তস্যৈষ লভ্যঃ’ । একান্ত নাছোড়, বন্দী ব্যক্তিগণের সম্বন্ধে ঈশ্বরের অঙ্গীকার এই যে, “দদামি বুদ্ধিযোগং তং যেন মামুপযান্তি তে’ —“তাহাদিগকে সেইরূপ বুদ্ধিই প্রেরণ করি, যদ্বারা তাহারা আমাকে লাভ করে’। সৰ্ব্ব শাস্ত্রেই এই অঙ্গীকারের ধ্বনি ও প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়। কুত্ৰাপি ইহার অন্যথা পরিলক্ষিত হয় না । তবে কি আমরা সাধুগণকে অগ্রাহ্য করিব ? সে ত দূরের কথা । ষে স্বরাপান করিতে চাহে, সে কি সুরাপায়ীদিগকে আলিঙ্গন না করিয়া, তাহাদিগকে হৃদয়ে স্থান না দিয়া থাকিতে পারে ? সাধুগণ যতটুকু প্রেম ও ভক্তি পাইবার উপযুক্ত তাহ পাইবেন, কিন্তু ব্রহ্মের সিংহাসনের নিকট র্তাহাদিগকে যাইতে দিব না। তাহার উপরে তাহাদের স্থান নাই। সাধুগণ যেন তাহার উপর উঠিতে বাক্যত, ভাবত, বা কাৰ্য্যত প্রয়াস না পান । সেই সিংহাসনের ভাগ লইতে ইচ্ছা ও চেষ্টা করিয়া খ্ৰীষ্টিয়ান পুরাণবর্ণিত সয়তান এবং কোম্পানি উচ্চতম