পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

éצשל איןף যোগ ও ব্রাহ্মসমাজ لاهه স্বৰ্গ হইতে নিম্নতম নরকে পতিত হইয়াছিলেন। সামান্য মানব ত কোন ছার। গুরুগিরির শেষ গতিও যে ঐদিকে তাহাতে কোনই সন্দেহ নাই । অতীত ইতিহাস ইহার সাক্ষ্য। শক্তি ব্যবসায়িগণ সাবধান! সয়তান ও শক্ত ছিলেন, জ্ঞান ও শক্তিতে মহোচ্চ পদবীতে আরূঢ় ছিলেন, এই প্রকার পুরাণপ্রবাদ প্রচলিত অাছে । একটী উচ্চ গৃহের পাশ্বে দাড়াইলে উহা বৃহৎ বোধ হয়, তাল বৃক্ষের তুলনায় তৃণখণ্ড নাস্তি বলিলেও চলে কিন্তু অনন্ত আকাশের সহিত তুলনায় কোথায় তোমার অট্টালিকা বা অভ্ৰভেদী গিরিশৃঙ্গ ? অনন্তের পাশ্বে কোটি কোটি সৌর জগৎ কি ? শূন্য—ফাকা কিছুই নহে। নিজের দিকে তাকাইলে, সাধুগণই মহৎ । তাহার দিকে তাকাইলে, তিনিই মহৎ । একাকী আমরা পাপের বিভীষিকাময়ী মূৰ্ত্তি দেখিয়া ভয়ে অভিভূত হই কিন্তু পিতার পাশ্বে দাড়াইলে আমরা হৃদয়ে সাহস পাই । আত্মগৌরব অমার্জনীয়—ব্রহ্মগৌরব প্রশংসনীয়, আদরণীয়। বৈষ্ণব কবি গাহিয়াছেন “পিয়াক গরবে হাম্ কাহুক ন গণলা” তাহারই গৌরবে গৌরব শ্রেষ্ঠ । দীন বৈষ্ণব সাধক গাহিয়াছেন,— “দয়াময় হে ! (আমি) আজ তোমার দ্বারের ভিখারী। (আমি) সকল দুয়ার ফিরে এলাম, কোথাও কিছু না পাইলাম, হে,তাই তোমার শরণ নিলাম, দয়াল হরি । তুমি নিত্য ফিরাইয়ে দাও, আজ এক বার ফিরে চাও, পাপীর দুঃখ ঘুচাও কৃপা कत्रि !” আমরা শক্তিসঞ্চারক তাড়িতাধার নই থাকিব । গুরুর অভাবে অনন্যোপায় হইয়৷ এই গানই গাহিব । পিপাসাই আমাদিগের তৃপ্তি হউক, বারি হউক, জীবন হউক । আমরা শক্তি সঞ্চারক বাহ্য মানব-যন্ত্র বিশেষের সাহায্য প্রার্থনা করি না। হয় ঈশ্বরের সাহায্যে মুক্তির পথে অগ্রসর হইব—না হয় যেমন নরকে আছি তেমনরল ও ত ব্রহ্ম দ্বীন নহে । ব্ৰহ্ম যে অশিষ্য সম্প্রদায়কে সহজে ত্যাগ করিবেন বোধ হয় না । ১০ । ধৰ্ম্ম ও বাহ্য । ধৰ্ম্মের একটী বহিরঙ্গ আছে। কারণ, মানব সম্পূর্ণরূপে জড়াতীত নহে—জড় না হইলেও জড়ে আবদ্ধ—জড়ভারাক্রান্ত । বাহ্য যে টুকু ন হইলেই নহে, তাহাই প্রয়োজন । বাড়াবাড়ি কেন ? বাহ্য বস্তুর প্রতি লক্ষ্য বা তদুপরি নির্ভর অধ্যাত্ম শরীরের একটি বিষম ব্যাধি, দুর্বলতা, এবং উহা মৃত্যুর কারণ। লক্ষ্য হউক অন্তরের দিকে, বাহ্য সাধনের অতীত হইবার দিকে । পশ্চিম দেশীয় একটা প্রবচন আছে, “যোগী মন রঙ্গায় রঙ্গায় কাপড়া”, এই বাহ্য ভাব হইতেই ভারতবর্ষে নানা প্রকার বুজরুকী ও ধৰ্ম্মের বিকৃত ব্যাখ্যা বিস্তুত হইয়াছে। ব্রাহ্মগণ পুনরায় আবার এসকল কেন ? ব্রাহ্মের অন্তবাহ্যে যতই বাহ্যিকতার গন্ধ অল্প থাকে, ততই তাহীদের পক্ষে ও অন্যের পক্ষে হিতকর । আহার, বিহার, ভাব, কথা, সঙ্গীত ও উৎসবাদিতে যতই মৃন্ময়, প্রস্তরময়, কাষ্ঠময়, মানব, পাশব, দ্বিপদ, চতুস্পদ, ষটপদ বা বহুপদ, ভূচর, খেচর প্রভূতি দেবতাগণের লেশ অল্পই থাকে ততই মঙ্গলজনক। ভারতবর্ষে বহুকাল ধরিয়া ঈশ্বর খণ্ডীকৃত, প্রস্তরীভূত ও পাশবীকৃত হইয়াছেন। ব্রাহ্মগণ সে ধৰ্ম্ম