পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা ०७ रूझ, ७ छाँन ജ് পরিত্যাগ করিয়া পুনরায় কেন তাহার প্রশ্রয় দিতেছেন ? ব্রাহ্ম মন্দিরে পৌত্তলিকতার গন্ধ প্রবেশ করিবে না, তবে ব্রাহ্ম-হৃদয়-মন্দিরে উহাকে প্রবেশ করিতে দেওয়া কেন ? ইষ্টক ত ব্ৰহ্মমন্দির নহে, জীবন্ত হৃদয়ই ব্রহ্ম-নিকেতন। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম, প্রাকৃতিক ধৰ্ম্ম, প্রকৃতির ধৰ্ম্ম। উহার সাধনও সহজ, স্বাভাবিক, বুজরুকীহীন । বুজরুকীর সাধনে গুরু না হইলেই চলে না। কুস্তির নানা প্যাচ শিখিতে হইলেই কুস্তিগিরের সাহাষ্যের প্রয়োজন । অণিমা লঘিমা ইত্যাদি সাধনে হয়ত গুরুগিরির সাহায্য চাই । ব্রাহ্মগণ কি অণিমা লঘিমা প্রভৃতি অষ্টাঙ্গ সিদ্ধি লাভের জন্য ব্যগ্র ? যদি হয়েন,তবে বেদিয়া ও বুজরুকদিগকে ধৰ্ম্মপ্রচারক নিযুক্ত করুন। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম অণু হইয়া উড়িবার ধৰ্ম্ম নহে। যাহারা বুজরুকীর ধৰ্ম্মসাধনের জন্য লালায়িত র্তাহারা জগতে কি বিশেষ কাৰ্য্য করিলেন ? জীবনে, কি অধিক উন্নত হইলেন ? মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রভৃতি ব্রাহ্ম সাধকগণ ত কোন “কোস্তিক” সাধন করেন নাই,কিন্তু যোগসম্প্রদায়ভুক্ত সাধকগণকে জিজ্ঞাসা করি, র্তাহীদের মধ্যে কোন ব্যক্তি ইহঁাদিগকে জীবনে ছাড়াইয়া ব্ৰহ্মলোক অতিক্রম করিয়া কোন গোলোক ধামে উপনীত হইয়াছেন ? যদি না হইয়া থাকেন, তবে ইহঁারা না যোগী না ভোগী, কি এক অভূতপূর্ব অবস্থা লাভ করিতে চাহেন ? “Neither fish, nor flesh, nor good red herring” না মৎস্য, না মাংস, না রক্তবর্ণ হেরিং, এক অভিনব জীব হইতে প্রয়াস পাইতেছেন। ইহারা কি এক নূতন ঢঙ্গের অবতারবাদ ও যৌগিক সুসমাচার, বুঝি, প্রচার করিবেন ? ইহঁাদের যোগ না হিন্দু, um-mu-omma -** -- - - না বৌদ্ধ, না মহম্মদী, না খ্ৰীষ্টিয়ান ; একটি ভয়ানক রকমের “জগাখিচুড়ী।” ইহা খাইলে অপরিপাক ব্যতীত অন্য কোন ফল লাভ হয় না । ব্রাহ্মসমাজ মানবকে এক নূতন অপরীক্ষিতপূর্ব সত্য শুনাইয়াছেন। ইহা এই যে, অভ্রান্ত গুরু, অবতার বা দেবতাপুঙ্গব বিনা ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনের সুন্দর ও সতেজ বিকাশ হওয়া সম্ভব। ইহা এখনও সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষিত হইয়া গিয়াছে বলিতে পারি না। অন্ততঃ এরূপ ভাবে ইহা পরীক্ষিত হয় নাই, যাহাতে অ-ব্রাহ্ম জগৎ এই অভিনব সত্যের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধাবান হইতে পারেন । একাধিক ঈশ্বর না ধরিয়া ব্রাহ্মগণ শূন্যের উপর,—অন্ততঃ অ-ব্রাহ্ম জগতের এইরূপ ধারণা—কিরূপে ধৰ্ম্মসমাজ মন্দির গঠন ও স্থাপন করেন, মানব সমাজ তাহাই দেখিতে চাহেন । সত্যই ব্রাহ্ম শাস্ত্র ব্ৰহ্মই ব্রাহ্মদের এক মাত্র গুরু, বল, মঙ্গল ও মুক্তিদাতা । প্রার্থনা, আরাধনা, ধ্যান, সংযম, বাসনায়ামৃ’ প্রভৃতি আধ্যাত্মিক প্রক্রি য়াই ব্রাহ্মগণের একমাত্র সাধনপ্রণালী । কিন্তু যোগকামী ব্রাহ্মগণের পদের গতি কোন দিকে, চেষ্টা কোন দিকে ? জগৎ যে র্তাহাদের প্রতি সতৃষ্ণ দৃষ্টিপাত করিতেছেন, তাহ কি বৃথাই হইবে ?. ভারতবর্ষ বহুকাল হইতেই মৃত্তিকাদির সোপান ধরিয়া সত্য স্বরূপের পূজা করিয়া আসিতেছেন। আতপ তণ্ডুল ও পক্ক কদলী এবং ছাগ মহিষাদির নৈবেদ্যই অধিক পরিমাণে র্তাহার উদ্দেশে অপিত হইয়াছে। এখন ভাবুকত বলীর প্রয়োজন হইয়াছে। অশ্বমেধের পরিবর্তে আত্মমেধের দিন আসিয়াছে । গৈরিক ও আল