পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांहन ०° »é emmama নহে। উভয়ের প্রত্যেকে যদি আপন অধিকারানুযায়ী এবং আপন প্রণালী-অনুযায়ী কাৰ্য্য করে তবে উভয়ের মধ্যে ঐক্যের সমাবেশ হয় এবং দুই-পক্ষের যোগ হইতে অশেষ প্রকার মঙ্গল সমুৎপন্ন হয় , কিন্তু কোন বিষয়ে কাহার প্রকৃত অধিকার সে বোধ উভয়ের কাছারো অভ্যন্তরে এখনো রীতিমত পরিস্ফুট হয় নাই ; এই জন্য বারংবার অামাদের চক্ষের সমক্ষে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব কোলাহল উপস্থিত হইয়া দেশশুদ্ধ লোকের মতিভ্রম জন্মাইয়া দিতেছে । বিজ্ঞান অনেক সময় তাহার অধিকারের সীমা ভুলিয়া যায়—এ কথাটি একেবারেই বিস্মৃত হইয়া যায় যে, তাহার গগনভেদী দূরবীক্ষণ জগতের মূল কেন্দ্র ভেদ করিয়া তাহার ও-পৃষ্ঠে যাইতে পারে । না এবং তাহার সূচ্যগ্রভেদী অনুবীক্ষণ পরমাণুর অন্তস্তল ভেদ করিয়া তাহার । ও-পৃষ্ঠে যাইতে পারে না—অণু এবং মহান । দুয়েরই পরপারের দ্বার তাহার নিকটে । মূলেই পরীক্ষার কোন প্রয়োজন দেখে না ! পিতামাতা এবং প্রকৃত মঙ্গলাকাঙক্ষী অবরুদ্ধ। বিজ্ঞান আপনার অধিকার বিস্তৃত হয় কিন্তু আপনার প্রণালী বিস্মৃত হয় না—চাফুষ প্রত্যক্ষ এবং তদাশ্রিত অনুমান । এই দুয়ের সহায়ে কেবল মাত্র নির্ভর করিয়া বিজ্ঞান অনেক সময়ে ব্রহ্মজ্ঞানের অধিকারে প্রবেশ করিতে উদ্যত হয় । এবং সেখান হইতে যখন পরাভব প্রাপ্ত হইয়া আপন অধিকারে ফিরিয়া আইসে তখন বলে “আমি দূরবীক্ষণ দ্বারা সমস্ত আকাশ পার হইলাম কোথাও ব্রহ্মের দর্শন পাইলাম না, অনুবীক্ষণের আলোক ধরিয়া পরমাণুর অযুত কোটি খণ্ডাংশ তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিলাম কোথাও ব্রহ্মের দর্শন পাইলাম না !” বিজ্ঞান যখন এই কথা বলিয়া মুখে হাস্য করে তখন চতুঃষষ্টিতম সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ՏՏԳ তাহার অন্তরে মৰ্ম্মভেদী বিলাপ ধ্বনি সহসা জাগিয়া উঠে ! বিজ্ঞানের প্রণালী অনুসারে ব্রহ্মজ্ঞানের অনুশীলন বাস্তবিকই নিস্ফল । গৃহের সঙ্গে এবং বাহিরের সঙ্গে মনুষ্যের যেমন বিভিন্ন প্রকার সম্বন্ধ-পরমাত্মার সঙ্গে এবং বহির্জগতের সঙ্গে মনুষ্যের তেমনি বিভিন্ন প্রকার সম্বন্ধ । নাহিরের লোকের সঙ্গে বাণিজ্য-ব্যবসায়ে প্রবৃত্ত হইবার সময় প্রথমে লোকের প্রতি সন্দেহ এবং তা হার পরে r বাকের মন পরীক্ষা দুয়েরই প্রয়োজন হয় ইহা সত্য—বিজ্ঞানেরও তেমনি প্রথম সোপান সন্দেহ এবং দ্বিতীয় সোপান পরীক্ষা ইহাও অস্বীকার করিতে পারা যায় না ; কিন্তু তাহ বলিয়া সেরূপ তীব্র সংশয়কে এবং কঠোর পরীক্ষাকে গৃহের পরিবার-বর্গের মধ্যে অধিকার দেওয়া যাইতে পারে না ; গৃহের অভ্যন্তরে সেইরূপ অটল বিশ্বাসই প্রার্থনীয় যাহা সংশয়কে নিকটে আসিতে দেয় না, সেইরূপ অটল অনুরাগই প্রার্থনীয় যাহা গুরুজনদিগের মঙ্গল ভাবের প্রতি সন্দেহ করিয়া তাহাদের মন পরীক্ষা করিতে যাওয়া বালকের পক্ষে কিরূপ অকল্যাণ জনক তাহা আমরা সকলেই জানিতেছি কিন্তু তাহ অপেক্ষাও—-পরমাত্মার মঙ্গল ভাবের প্রতি সংশয়-পরায়ণ হইয়া তাহার অন্তরের অভিসন্ধি পরীক্ষা করিতে যাওয়া মনুষ্যের পক্ষে শত-সহস্র গুণ ভয়াবহ । যিনি বিজ্ঞানকে সাক্ষী মান্য করিয়া সৰ্ব্বমঙ্গলালয় পরম পিতা পরমেশ্বরের প্রতি সংশয়কে হৃদয়ে পোষণ করেন, তাহার এ জ্ঞান নাই যে, ব্রহ্মজ্ঞানের সম্বন্ধে বিজ্ঞান নিজেই শিশু অপেক্ষাও অধম শিশু ; এ