পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SᎼb~ _ জ্ঞান নাই যে, আকাশের অতীত প্রদেশে বিজ্ঞানের দূরবীক্ষণ এবং অনুবীক্ষণ বালকের ক্রীড়া-সামগ্ৰী অপেক্ষাও শত-সহস্ৰগুণ অকিঞ্চিৎকর এবং অপদার্থ। অতএব বিজ্ঞানের সংশয়-প্রণালী ব্রহ্মজ্ঞানের প্রণালী হইতে পারে না। ব্রহ্মজ্ঞানের প্রণালী কি যদি জানিতে চাও, তবে ব্রহ্মসঙ্গীতের এই গীতটি স্মরণ কর অমৃত ধনে কে জানে রে কে জানে রে, প্রখর বুদ্ধি না পেয়ে আসে ফিরে তিনি হে অকি থpন-গুরু । ব্যাকুল অন্তরে চাহ রে তাহারে প্রাণমন সকলি সঁপিয়ে । প্রেমদাতা আছেন ক্রোড় প্রসারি, যে জন যায় নাহি ফেরে । ইহাই ব্রহ্মজ্ঞানের প্রকৃষ্ট প্রণালী । অতএব যদি ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করিতে ইচ্ছ কর, তবে শিশুর ন্যায় সরল অন্তঃকরণে এবং অকপট চিত্তে ঈশ্বরের শরণাপন্ন হইয়া র্তাহার মঙ্গল ভাবের প্রতি সৰ্ব্বান্তঃকরণের সহিত বিশ্বাস স্থাপন কর ইহা ভিন্ন দ্বিতীয় উপায় নাই । কিন্তু গৃহের প্রণালী যেমন গৃহেই খাটে বাহিরের কৰ্ম্মক্ষেত্রে খাটে না— তেমনি ব্রহ্মজ্ঞানের প্রণালী অন্তরের নিভূত প্রদেশেই সংলগ্ন হয় বাহিরের ! অন্তরের ; বিষয়রাজ্যে সংলগ্ন হয় না । অপরিসীম বিশ্বাস অন্তরতম পরমাত্মাকে ছাড়িয়া অন্য যেখানেই সমপণ কর— বিপদে পড়িবে ! অনেকে বাহাড়ম্বর-পরিপূর্ণ অন্তঃসারশূন্য গুরুর পদে অন্তরের অকৃত্রিম সরল বিশ্বাস সমর্পণ করিয়া— দেবতার হবি অস্বরকে সমর্পণ করিয়— অশেষবিধ অনৰ্থে লিপ্ত হইয় পড়েন । ব্ৰহ্মজ্ঞানের সাধকের। অনেক সময়ে একথা বিস্মৃত হইয়া যান যে “ব্রহ্মজ্ঞানরূপ স্বগীয় অগ্নি সকলেরই হৃদয়ে নিহিত আছে— তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা הוס פי, היא פיג সকলেরই জাত্মাতে ব্রহ্মের অনন্ত মঙ্গলভাব অবিনশ্বর অক্ষরে লিখিত আছে” তাহা প্রজ্বলিত করিতে হইলে বাহিরের সহায় অবলম্বন করা যেমন আবশ্যক-- নিজের বুদ্ধি-বিবেচনাকে জাগ্ৰত করিয়া তাহার আলোকে পথনিৰ্ব্বাচন করা তেমনিই আবশ্যক ; এ কথা বিস্তৃত হইয়। গিয়া অজ্ঞানান্ধ সাধকের বলেন “গুরুই সাক্ষাৎ পরব্রহ্ম—অতএব সমস্ত বিষয়বিভব আত্মীয়-স্বজন স্ত্রীপুত্র-পরিবার পরিত্যাগ করিয়া কোন জটাজুটধারী সন্ন্যাসীর অথবা মুণ্ডিত-মস্তক দণ্ডীর শরণাপন্ন হও এবং তিনি তোমাকে যে পথ প্রদর্শন করেন—অবনত মস্তকে সেই পথের অনুবৰ্ত্তী হও—তোমার নিজের বুদ্ধি-বিচারের কোন প্রয়োজন নাই।” ইহঁাদের জানা উচিত যে, অন্তরের প্রণালী অন্তরেই সংলগ্ন হয় ; অপরিসীম অন্তরতম শ্রদ্ধা ভক্তি-প্রীতি অন্তরতম পরমাত্মার প্রতিই সংলগ্ন হয়— প্রেয়ঃ পুত্রাৎ প্রেয়োবিত্তাৎ প্রেয়ো ইন্যস্মাং সৰ্ব্ব স্মাৎ অন্তরতরং যদয় মাত্মা, পুত্র হইতে প্রিয় বিত্ত হইতে প্রিয় এবং আর সমস্ত বস্তু হইতে প্রিয় এমন যিনি অন্তরতর পরমাত্মা –ৰ্তাহারই প্রতি সংলগ্ন হয় ; র্তাহাকে ছাড়িয়া আর কাহারে। প্রতি তাহা বিন্দুমাত্র ও শোভা পায় না— যিনিই তিনি হউন না কেন । কেন না হৃদয়ের অন্তরতম অপরিসীম শ্রদ্ধাভক্তি যদি অন্তরতম পরমাত্মাতে সমপণ না করিয়া তাহ বাহিরে অনাবৃত করিয়া নষ্ট করিয়া ফেলা হয় তবে সেরূপ পাপস্পৃষ্ট সামগ্রীর দাতা এবং গৃহীত উভয়েই সমান—দাতা মোহান্ধ এবং • গৃহীত। भणीयः । জ্ঞান শিক্ষার পক্ষে গুরূপদেশ অত্যা