পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38של הסן אל ■ বশ্যক এবং শিক্ষার্থীর পক্ষে গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি কৃতজ্ঞতা অতীব কর্তব্য— কেহই এ কথা অস্বীকার করেন না, অস্বীকার করিতে পারেন ও না। ব্রহ্মজ্ঞানের শিক্ষার্থীদিগের কথা দূরে থাকুক্‌—বিজ্ঞানশিক্ষার্থীদিগের মধ্যেও অনেককেই দেখিতে পাওয়া যায় যে, তাহারা তাহীদের গুরুর প্রতি যথোচিত শ্রদ্ধা ভক্তি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করিয়া থাকেন । ব্রহ্মজ্ঞানের সাধকেরা যদি গুরুর প্রতি সেই রূপ যথোচিত শ্রদ্ধা ভক্তি সমপণ করেন তবে তাহার কর্তব্যানুযায়ী কাৰ্য্য করেন, এবং তাহার পুণ্যফল লাভ করেন, সে বিষয়ে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই; কিন্তু তাহাতেই ক্ষান্ত না থাকিয়া তাহারা যে সময়ে সময়ে গুরুকে সাক্ষাৎ পরব্রহ্মের সিংহাসনে অভিষিক্ত করিতে যান, এটি । তাহাদের ঘোরতর মতিভ্ৰম—এ বিষয়ে ও কিছুমাত্র সন্দেহ নাই । অতএব আমা দের দেশের গুরুদিগের এই বিষয়টিতে খুলিয়া যাইবে । সবিশেষ সতর্ক হওয়া উচিত যে, তাহারা যেন সৰ্ব্বারাধ্য পরমাত্মাকে আড়াল করিয়া আপনার সম্মুখে অগ্রসর হইয়া না দাড়ান। আমাদের দেশের গুরুমণ্ডলী এবং শিষ্যমণ্ডলী উভয়ে মিলিয়া এই বিষয়ে যথোচিত সাবধান না হইলে এক্ষণে যাহ। আমাদের চক্ষের সমক্ষে নিত্য নিত্য হুইতেছে তাহ পুনঃ পুনঃ হইবার কোন বাধা থাকিবে না ; আত্মপ্রত্যয়ের ধ্রু স্থানে বহুধা বিচিত্র তন্ত্র মন্ত্র, তার পরব্রহ্মের S HCCMSAAAAS AAAAASMMMS SSSSSS AASAASAASAA

  • "আত্ম প্রত্যয়’ অর্থাৎ সাধনসিদ্ধ আত্মজ্ঞানের মূলীভূত স্বতঃসিদ্ধ আত্মজ্ঞান যাহা মনুষ্য মাত্রেরই হৃদয়ের অভ্যস্তরে গভীর অমু প্রবিষ্ট – যথা, উপনিষদে আছে "একাত্ম প্রত্যয় সারং’, পরামাত্মাকে উপলব্ধি করিবার” পথ এক আত্ম প্রত্যয়ই সার। আত্মপ্রত্যয়কে প্রস্ফুটিত করিতে হইলে সদগুরুর উপদেশ ७६६ गाँश्न ठाद् ि*j क ।

চতুঃষষ্টিতম সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ృనిని সিংহাসনে পৃথিবীর ক্ষুদ্র মনুষ্যেরা পুনঃ পুনঃ অভিষিক্ত হইতে থাকিবে । অতএব এক্ষণে যেরূপ সময় পড়িয়াছে তাহাতে দুই বিষয়ে আমাদের সাবধান হওয়া উচিত। আমরা যেন পারমার্থিক রাজ্যে বাণিজ্য-ব্যবসায়ের প্রণালী কিম্ব। বিজ্ঞানের প্রণালী (কি না সংশয় এবং পরীক্ষা) প্রয়োগ করিতে গিয়া অতলস্পর্শ অনাস্থা-সাগরে নিমগ্ন না হই , তেমনি আবার লৌকিক এবং বৈজ্ঞানিক রাজ্যে পারমার্থিক প্রণালী (কি না অন্তরের অপরিসীম শ্রদ্ধা ভক্তি প্রতি) প্রয়োগ করিতে গিয়া অযথা-বিশ্বাসের করাল কবলে নিপতিত না হই। ব্রহ্মজ্ঞানের প্রণালী কি তাহা যদি এক কথায় ব্যক্ত করিতে হয়— তবে তাহা ঈশ্বরের উপাসনা ;—ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি প্রীতি এবং সৎকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান। প্রীতি ভক্তি এবং শ্রদ্ধাকে সমভিব্যাহারে লইয়া ব্রহ্মজ্ঞানের দ্বারে দণ্ডায়মান হও, সে দ্বার আপনা হইতেই সন্দেহ অবিশ্বাস এবং কুটিল অন্তঃকরণ লইয়া ব্রহ্মজ্ঞানের দ্বারোপান্তে উপনীত হও—সে দ্বার বজ্রনিনাদে অবরুদ্ধ হইয়া যাইবে, এবং তোমার অন্তরের আলোক নিৰ্ব্বাণ হইয়া গিয়া অন্ধকর এবং বিভীষিকা তাহার স্থান অধিকার করিবে । অতএব সাবধান ! বিজ্ঞানের অথবা কৰ্ম্মক্ষেত্রের সংশয়-প্রণালী ব্ৰহ্মজ্ঞানে প্রয়োগ করিতে যাই ও না ; তেমনি আবার, অপরিসীম শ্রদ্ধাভক্তি প্রীতি যাহা অন্তরতম পরমাত্মার প্রতি প্রদেয় তাহা মনুষ্য-বিশেষে অথবা বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত-বিশেষে সমর্পণ করিতে যাইও না–ব্রহ্মজ্ঞানের বিশুদ্ধ প্রণালী অযথাস্থানে প্রয়োগ করিতে যাই ও না; যাহার যাহা প্রাপ্য তাহা তাহাকে প্রদান কর –