পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ہو ? vo e ,یم چھ ھد ২০২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা তরঙ্গ উঠিয়া হৃদয়ে হৃদয়ে আঘাত করিতেছে । অদ্য আমাদের কি শুভ দিন – কি আনন্দ । আমাদের হৃদয়স্থ এই আনদকে ঘোর কুঞ্জবাটিকা ও গভীব মেঘ আচ্ছন্ন করিতে পারে না, বজ্র ভগ্ন করিতে পারে না, বায়ু বিতাড়িত করিতে পারে না। এ ব্রহ্মানন্দ । এই ব্ৰহ্মানন্দ লাভের জন্যই জ্ঞানীর জ্ঞান, প্রেমিকের প্রেম, পবিত্ৰচেতার পবিত্রতা, যতীর সংযম, তপস্বীর তপস্যা ও বৈরাগীর বৈরাগ্য অহরহ সাধনপথে অগ্রসর হইতেছে ! এই ব্রহ্মানন্দ আমাদের আত্মার অন্ন ও অনন্ত কালের প্রাণপ্রদ সামগ্রী । এই আনন্দ উপভোগ করিতে করিতেই যাহাতে অtমরা দেবলোক হইতে দেবলোকে উথান করিতে পারি, আদ্যকার শুভদিন আমাদের জন্য সেই সৌভাগ্য আনয়ন করুক । আদ্যকার শ্রদ্ধা ও প্রীতি আমাদের হৃদয়ে চিরদিন সমভাবে প্রকাশিত থাকিয়া অামাদিগের আত্মাকে জ্যোতিষ্মান করুক এই প্রার্থনা করিয়া আমরা আমাদের উপাস্য দেবতার চরণে বারবার নমস্কার করি । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । S SAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSTSS SAAAAAA AAAA S S S S * ہےے حص= ح স্বগীয় অগ্নিকে ভষ্মাচ্ছন্ন করিতে পারে কিন্তু ইহা কখন নিৰ্ব্বাণ হইবার নয়। সত্য স্বয়ংপ্রভ, ইহা আপনার আলোকে আপনি উদ্ভাসিত হইয়া আছে । যিনি চক্ষুয়ান তিনিই ইহার দর্শন পান। সত্য ঈশ্বরের হৃদয় । যাহা সত্যে প্রতিষ্ঠিত তাহা ঈশ্বরের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত । সৰ্ব্বসংহারক কাল তাহার কিছুই করিতে পারে না । dis অাজ এই পবিত্র বেদি হইতে যে বেদশ্ৰুতি উদেঘাষিত হইল ইহাই তাহার নিদর্শন । ইহা বেদের পর ব্রহ্মবিদ্যা । ‘সৈষা পরা যয়৷ তদক্ষরমধিগম্যতে’ ইহা সেই পরা বিদ্যা যদ্বারা ব্রহ্মকে পাওয়৷ যায় । এক সময়ে ক্ষত্রিয়েরা ব্রাহ্মণদিগকে এই ব্রহ্মবিদ্যার উপদেশ দিতেন । কাল সহকারে বেদোক্ত যাগযজ্ঞের অকিঞ্চিংকরতা ক্ষত্রিয়দিগের মনে প্রতিভাত হয় । পশুরক্তে যজ্ঞবেদি আপ্লুত হইতে দেখিয়। র্তাহীদের হৃদয় ব্যথিত হইয়া উঠে । অতি পূর্বকালে এই সূত্রে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়ে ঘোর তর একটি বিবাদানল প্রজ্বলিত হইয়াছিল। ‘ধিকৃবলং ক্ষত্ৰিয়বলং ব্রহ্মতেজোবলং বলং” তৎপরে পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন । “ভারতের ব্রহ্মবিদ্যা” বিষয়ক উপদেশ পাঠ করিলেন । যাহা নিত্য তাহাই সত্য । ইহা দেশ কালে বদ্ধ নয় বা কোন জাতির নিজস্ব সম্পত্তি নয় । যে কোন দেশে যে কোন কালে যে কোন অবস্থায় যিনি ইহার সাধন। করিয়াছেন তিনিই পাইয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছেন। স্ত্রী পুরুষ বালবৃদ্ধের নির্বিশেষে ইহাতে অধিকার । ইহা রাজার প্রাসাদে দরিদ্রের কুটীরে তুল্য জ্যোতিতে বিরাজমান। কি রাষ্ট বিপ্লব কি প্রাকৃতিক মহোৎপাত এই এই মূলমন্ত্রে উত্তেজিত হইয়া সমাজের শীর্ষস্থান অধিকার করিবার জন্য ক্ষত্রিয়েরা বদ্ধপরিকর হন । ইহার অব্যবহিত পরেই ক্ষত্রিয়কুল-কা লান্তক এক বিপ্রযুবার বীরচরিত অভিনীত ও ভারত ইতিবৃত্তের এক স্বতন্ত্র অধ্যায়ের সূত্রপাত হইয়াছিল। ক্ষত্রিয়েরা স্বাভীষ্ট লাভে অকৃতকাৰ্য্য হইয়। পরিশেষে বেদবিদ্বেষে বৌদ্ধধৰ্ম্মের স্বষ্টি করিলেন । এই বৌদ্ধবিপ্লবে সমস্ত দেশ প্লাবিত, যাগযজ্ঞ উচ্ছিন্ন প্রায় এবং অধিকারির অভাবে ব্রহ্মবিদ্যাও ক্ষীণ ও মলিন হইয় যান। বিদ্যার অধিকারি লাভ জনসমাজের পক্ষে বড় সহজ কথা ময় । শান্ত