পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झाँस्कुन syse দান্ত উপরত তিতিক্ষু ও ক্ষমাবানই ইহার প্রকৃত অধিকারী। এক কথায় যিনি নিজে আপনার প্রভু তিনিই বিদ্যার সেবক । কিন্তু কয়জন লোক নিজের প্রভু হইবার চেষ্টা করে । এই অবস্থায় এই জ্যোতিময়ী ব্রহ্মবিদ্যা অন্তর্ধান করিবার উপক্রম করিলেন । লোকে ইহঁাকে রক্ষা করিবার জন্য নানা অলঙ্কারে ইহার দেহ আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল । কিন্তু এই সমস্ত খালস্কারের জ্যোতিই জনসমাজে ঘোর অন্ধকার অনিল । সেই সময়ে নানা মূৰ্ত্তি নানাপ্রকার গ্রন্থ ও নানা সম্প্রদায়ের স্বষ্টি হইল । চতুর্দিকে ধৰ্ম্মের নামে নানারূপ বীভৎস কাণ্ড অনুষ্ঠিত হইতে লাগিল । পশুরক্তে যজ্ঞবেদি আপ্লুত হইয়। উঠিল । নরকপালপূর্ণ মদ্য ও মহামাংস পৰ্য্যন্ত ধৰ্ম্ম- তুলিল। এতদিন যে লোমহর্ষণ ঝিল্লীরব সাধনের অঙ্গ হইয়া গেল । কেহ উদ্ধ বাহু হইয়া বহুকাল দণ্ডায়মান, মস্তকের । উপর প্রবল ঝ ঞ্জাবাত মুষলধারে বৃষ্টিপাত ; এবং বেদের সেই নিরাভরণ বিবসন পর ও ভীমরবে বজাঘাত হইতেছে তথাপি ক্ৰক্ষেপ নাই । তেছে । কৈহ চক্ষু উৎপাটন, কেহ বক্ষের রক্ত নিষ্কাসন এবং কেহ বা জিহবাচ্ছেদ করিয়া দেব প্রসাদ উদেশে অগ্নিতে অ|হুতি প্রদান করিতেছে । সম্মুখে কল্পিত করাল মূৰ্ত্তি, তিনি স্বহস্তে আপনার মুণ্ডচ্ছেদন করিয়া কণ্ঠনিঃস্থত রুধিরধারা ঐ ছিন্ন মুণ্ডে পান করিতেছেন আর র্তাহার তৃপ্তির উদ্দেশে এক স্ত্রীরত্ন লতাপাশে বদ্ধ, প্রাণভয়ে রোরুদ্যমান ও বিচেষ্টমান, অদূরে এক ভীমকায় কাপালিক তীব্র মদিরায় উন্মত্ত, তাহাকে বলিদান করিবার জন্য স্কুশাণিত খড়গ উদ্যত করিয়াছে। এই ভীষণ দৃশ্য স্মরণ করিলেও হৃৎকম্প উপস্থিত হয় । এই সকল বামাচার বীরা চতুঃষষ্টিতম সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ কেহ অধঃশিরা হইয়া বৃক্ষে লম্বমান, অগ্নিকুণ্ডের ধূমপান করি- ; ব্রাহ্মসমাজ । তাই পূর্বে বলিয়াছি যাহা ২০৩ চার ও কৃচ্ছ সাধনে পরা বিদ্যার জ্যোতি কিরূপ উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছিল বুঝিনা কিন্তু এইরূপ বীভৎস কাণ্ড যখন সমস্ত দেশ অধিকার করিয়াছিল সেই সময়ে আবার এক বিপ্লব উপস্থিত হয় । এই বিপ্লব ভক্তির বিপ্লাবনে সমুথিত । তদ্বারা যদিও এই সমস্ত অত্যাচার কিয়ৎ পরিমাণে মন্দীভূত হইয়। আসি ; কিন্তু এত কাল যে মহাশ্মশানে চিতাভষ্মের স্তপে ব্রহ্মবিদ্যা প্রচ্ছন্ন ছিলেন তাহার সেই দগ্ধপ্রায় জ্যোতিৰ্ম্ময় দেহ হইতে ভস্মরাশি অপসারিত হইল না । তাহ! তদবস্থই রহিল । বহুকাল পরে জ্ঞানের অরুণরাগ এই ক্ষুদ্র বঙ্গাকাশের একদেশ উজ্জ্বল করিয়া ঘোর অঙ্গ কারকে ঘনীভূত করিয়া রাপিয়৷ ছিল তাহা ক্রমশ উপশান্ত হইয়া অভ্যাসিল ব্রহ্মবিদ্যা প্রাতঃসূৰ্য্যকান্তিতে সমুদিত হইলেন । এই উদয়ক্ষেত্র এই পবিত্র সত্যে প্রতিষ্ঠিত সৰ্ব্বসংহারক কাল তাহার নিকট পরাস্ত । এই ব্রহ্মবিদ্যা নিত্যকাল স্বপ্রভায় দীপ্যমান । যখন এই ব্রাহ্মসমাজের নিতান্ত কৈশোর অবস্থা, যখন ইহার মধ্যে বেদ লইয়া তুমুল বিবাদবহূি প্রধূমিত হইতেছিল সেই সময়ে কোন সাধু যুবা— যিনি পৃথিবীর মানসন্ত্রম স্থখ ঐশ্বৰ্য্যে বীতরাগ হইয়া নির্জনে একান্ত মনে সত্যের সাধনায় সিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন—তিনি একাকী এই বেদরূপ অগাধ গম্ভীর আকরে নিমগ্ন হইয়া, ইহার ইতস্তত বিক্ষিপ্ত অত্যুজ্বল রত্নপ্রভায় মোহিত হইয়া যান এবং নিজের হৃদয়কে—বহুদিনের সাধনালব্ধ