পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8כיל זיהחס ழ் ாறம் துகாம் জুপিতা—বেদের দেবতা। আকাশকে নানা ভাবে আক্রান্ত হইতে দেখা যায়। কখনো তাহা সুনীল ভাব ধারণ করিয়া জ্যোতিগণের মধ্যে বিরাজিত কখনো বা মেঘাচ্ছন্ন । নীলোজ্বল আকাশের নাম দ্যোঃ । গ্রীষ্মাবসানে যখন সেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হইল—নব জলধারায় যখন তৃষিত ধরণী সিক্ত হইল – শুষ্ক তৃণ পল্লবে প্রাণসঞ্চার হইল—শ্যামল ক্ষেত্রে নব শস্য উৎপন্ন হইল তখন র্তাহারা বলিলেন ইন্দ্রদেবের প্রসাদে এই বৃষ্টি হইয়াছে। ইন্দ্রই এই আকাশের দেবতা । অনাবৃষ্টি নিবন্ধন যখন দুর্ভিক্ষের হাহারব উথিত হইল তখন ইন্দ্র মরুদগণের সাহায্যে বৃত্ৰাস্থর হনন করিয়া দুর্ভিক্ষ রাক্ষসের হস্ত হইতে প্রজাদিগকে উদ্ধার করিলেন—এই তাহাদের বিশ্বাস । । বৃষ্টি হইতে আমাদের এই কৃষিপ্রধান দেশে । যে প্রচুর উপকার সঞ্জাত হয় তাহ বিবেচনা করিয়া দেখিলে বৈদিক দেবতাদের মধ্যে ইন্দ্রের প্রাধান্য সহজেই উপলব্ধি হইবে । বেদে এই প্রকার প্রকৃতি পূজা যেমন অভিব্যক্ত তেমনি আবার দেখিতে পাই বৈদিক কবির আত্মা প্রকৃতির মধ্য হইতে প্রকৃতির অধিষ্ঠাত্রী দেবতার প্রতি সমুথিত হইয়াছে প্রকৃতির মহত্ত্ব ও সোঁন্দর্ষ্যে যখন তাহার মন পরিপূরিত তখন তিনি যে দেবতার স্তব করিতেছেন সে সেই দেবদেব পরম দেব; সকল শক্তির মূল শক্তি, জগতের আদি কারণ। এই ভাবে তখন তিনি বলিয়া উঠেন “হে ইন্দ্র তোমার সমান আর কেহ নাই ।” বরুণ বেদোক্ত দেবগণের মধ্যে এক প্রধান দেবতা । বরুণদেবের প্রতি এমন অনেক গাথা প্রযুক্ত হইয়াছে যাহা ঈশ্বরের প্রতিই প্রকৃত পক্ষে প্রযুক্ত বলিয়া বুঝা যায়— নামের বিভিন্নতায় কিছুই আইসে যায় না। চতুঃষষ্টিতম সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ২০৯ বেদের একস্থানে আছে “যস্তিষ্ঠতি চরতি যশ্চ বঞ্চতি যে নিলায়ং চরতি যশ্চ প্রতঙ্কং | দ্বে সরিষদ্য যন্মন্ত্রয়েতে রাজা তম্বেদ বরুণ স্ত তীয় ” যে কেহ এক স্থানে থাকেন, যিনি সঞ্চরণ করেন যিনি বিশ্রাম করেন—যিনি তিমিরাবৃত গুহার গভীর অন্ধকারের মধ্যে লুকায়িত থাকেন—যিনি জনশূন্য গুপ্ত গুহায় প্রবেশ করেন বরুণ রাজা ত: , সকলই জানিতেছেন । দুই জনে বিরলে বসিয়৷ যাহা কিছু মন্ত্রণা করে সেই দুই জনের মধ্যে তৃতীয় বর , রাজা থাকিয়া সমস্ত জানিতেছেন । “উত্তেয়ং ভূমি বরুণস্য রাজ্ঞঃ উতাসে দৌ বৃহতী দূরে छखुg| | উতে সমুদ্রো বরুণস্য কুক্ষী উতস্মিন্নর উদকে নিলীনঃ। অথৰ্ব্ব সং ৪ অ ৭ প্র । এই ভূমি সেই বরুণ রাজার, এই যে বৃহৎ দূর দূরান্ত দু্যলোক তাহার ও রাজা সেই বরুণদেব । আর এই যে দুই সমুদ্র—জল সমুদ্র বায়ু সমুদ্র—উভয়েই বরুণ রাজার কুক্ষী, অল্প জল বিন্দুতে ও তিনি নিলীন । এই কয়েটীক মন্ত্রে সর্বসাক্ষী সৰ্ব্বব্যাপী রাজাধিরাজ পরমেশ্বরের ভাব কি সুন্দর রূপে বর্ণিত হইয়াছে । সেই বরুণদেবের নিকট র্তাহারা মুক্তিলাভের জন্য প্রার্থনা করিতেন ‘‘অপো স্থম্যক্ষ বরুণ ভিয়সং” হে বরুণ আমার ভয় দূর কর, “দামেব বৎসা বিমুমুগ্ধ্যংহে৷” গোবৎসের বন্ধনের ন্যায় আমার পাপ সকল বিমোচন কর । “নহি ত্বদারে নিমিষশচনেশে” তোমাকে ছাড়িয়া কেহ এক নিমেষ কালের ও প্রভু নহে। এই প্রার্থন। সেই পাপের পরিত্রাতা ভবভয়হারী পরমেশ্বর ভিন্ন কাহার প্রতি প্রযুক্ত হইতে পারে ? আবার যখন র্তাহার বলিতেছেন “যঃ প্রাণতো নিমিষতে अश्टैिश्क ইরাজ 研究にす。