পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ०७ क्झ, ७ छांत्र আকাশে তাহার প্রকাশ দেদীপ্যমান এবং যেখানে আকাশ নাই সেখানেও র্তাহার স্বপ্রকাশ জ্ঞানজ্যোতি পুণ্যাত্মাদিগের হৃদয়াভ্যন্তরে দেদীপ্যমান। অতএব আদ্যকার এই শুভ মাঘোৎসবে শ্রদ্ধা ভক্তি এবং প্রীতি সহকারে সেই পরমারাধ্য পরমদেবতার প্রতি অন্তশ্চক্ষু উন্মীলন কর এবং একান্তঃকরণে র্তাহার অারাধনা করিয়া জীবনকে সার্থক কর । সেই ভক্তবৎসল পরমদেবতা পরমাত্মা—যাহার কল্যাণে আমরা সমস্ত কল্যাণ প্রাপ্ত হইয়াছি—যাহার মহান প্রাণের উপরে আমরা প্রাণ ধারণ করিতেছি এবং র্যাহার সঙ্গে আমাদের অনন্তকালের জীবিত সম্বন্ধ—সেই নিখিল মঙ্গলালয় পরমদেবতা পরমাত্মাকে আমরা কৃতাঞ্জলিপুটে ভক্তিভরে প্রণিপাত করি—তিনি প্রসন্ন হুইয়। আমাদের পূজা গ্রহণ করুন। পরে উপাসনা পরিসমাপ্ত হইলে শ্রদ্ধাস্পদ ত্রযুক্ত শম্ভুনাথ গড়গড়ি এইরূপ উপদেশ প্রদান করিলেন । “অণেরণীয়ান মহতোমহীয়ান আত্মা গুহায়াং নিহিতোহস্য জন্তেীঃ । তমত্রুতুং পশ্যতি বীতশোকে৷ ধাতুঃ প্রসাদাত্মহিমানমীশং ” “পরমাত্মা সূক্ষ হইতেও সূক্ষ ; এবং মহৎ হইতেও মহৎ । তিনি প্রাণিগণের হৃদয়ে বাস করেন । বিগত-শোক ব্যক্তি সেই ভোগাভিলাষ-বর্জিত ঈশ্বরকে ও তাহার মহিমাকে তাহারই প্রসাদে দৃষ্টি করেন ।” মহাজ্ঞানী নিউটন পৃথিবীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানবিৎ হইয়াও বলিয়াছিলেন, জ্ঞান-সমুদ্র সম্মুখে অক্ষুণ্ণ রহিয়াছে, আমি তাহার বেলাভূমিতে উপলখণ্ড মাত্র ниващащ: ংগ্ৰহ করিয়াছি । রত্বরাজি সমুদ্রের ভিতরে রহিয়াছে। কি বিনয় ! এমন বিনয়ী না হইলে, তিনি যাহা জানিয়াছিলেন, তাহার কণামাত্র ও জানিতে পারিতেন না । অপরা বিদ্যা সম্বন্ধে তিনি যেমন বলিয়াছিলেন, পরাবিদ্যা সম্বন্ধে আমাদের একজন মহাজ্ঞানী ভারতীয় ঋষি সেইরূপ বলিয়াছেন—“নাহং মন্যে স্থবেদেতি” আমি এমন মনে করি না যে ব্রহ্মকে (সেই জ্ঞান সমুদ্রকে) অামি সুন্দর রূপে জানিয়াছি । বহু তপস্যা করিয়া বহু দিন সাধনার পর, যখন তিনি এ কথা বলিলেন, তখন আর অন্যপরের কথা কি ! যিনি সূক্ষ হইতেও সূক্ষ, যিনি অগম্য অপার, যিনি ইচ্ছামাত্রে এই বিশ্ব স্বষ্ট্রি করিলেন, যিনি অনন্ত আকাশের অনন্ত লোককে শঙ্কু স্বরূপ হইয়া ধারণ করিয়া রহিয়াছেন, যিনি ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান এক সঙ্গে জানিতেছেন, যিনি দেবতা হইতে ক্ষুদ্র কীট পর্য্যন্ত সকলকেই প্রীতিদৃষ্টিতে দেখিতেছেন, তার স্বরূপ কে জানিতে পারে ? কিন্তু সেই ঋষিই আবার ঐ মন্ত্রের অপরাংশেই বলিতেছেন, ‘নোন বেদেতি বেদ চ’ আমি ব্রহ্মকে যে না জানি এমনও নহে, জানি যে এমনও নহে ।” ইহাতে স্পষ্টই জানা যাইতেছে, যে মনুষ্য যে তার কিছুই জানিতে পারে না তাহ নহে। শরীর যাহা আত্মার বাস-গৃহ, তাহা রক্ষার জন্য যখন পরমেশ্বর অন্নপানের ব্যবস্থা করিলেন, তখন আত্মার অন্ন যে তিনি “স্বয়ং” তাহ কি মনুষ্যকে দিয়া, তাহাকে রক্ষা করিবেন না ? এমন কখনই হইতে পারে না। এ লোকে যতটুকু ঈশ্বরজ্ঞান হইতে পারে ঈশ্বর তাহার