পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

को सुत्र १४se চতুঃষষ্টিতম সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ Sృ(t ভক্তকে ততটুকু জানিতে দেন। তাহ বিন্দুমাত্র পরিমাণ হইলেও এখানকার অন্ধকার বিনাশে সমর্থ । এখানকার বিপদ-ভয় মৃত্যু-ভয় হইতেও মনুষ্যকে সম্যকৃরূপে পরিত্রাণ করিতে পারে । ব্ৰহ্মানন্দের কণামাত্র দান করিয়া ও তাহাকে সদাই প্রফুল্লিত করিতে পারে। র্তাহার কৃপা সকল দেশে, সকল কালে, সকল মনুষ্যের প্রতি সমান । তিনি মনুষ্যহৃদয়ে যে সহজ-জ্ঞান দিয়াছেন, তাহার প্রভাবে সে র্তাহাকে জানিবার জন্য উন্মুখ হয়। স্বষ্টিকাল হইতে একাল পর্য্যন্ত সকলেই তাহাকে জানিতে অভিলাষী । আমাদের দেশের নিরক্ষর সাওতাল ও আফরিকার বর্বর্বর জাতি পর্য্যন্ত সকলেরই আত্মার টান তাহার দিকে । এই বজ বিদ্যুৎ যাহা তাহার শক্তি মাত্র—তাহাকেই তাহারা ঈশ্বরবোধে পূজা করিতে প্রবৃত্ত । স্বভাবের বশে মধুমক্ষিক যেমন নানা ফুল হইতে মধু আহরণ করে, পিপীলিকা যেমন ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চয় করে, মনুষ্য তেমনি সহজ জ্ঞানের বশীভূত হইয়। ঈশ্বরান্বেষণে প্রবৃত্ত হয় । এই সহজ জ্ঞান আকরোদ্ধত অসংস্কৃত ধাতুর ন্যায়। ঘসিলে মাজিলেই ইহা অপূৰ্ব্ব দীপ্তি প্রাপ্ত হয় । সেই জ্যোতিই সেই পরম জ্যোতিকেই প্রকাশ করে । কিন্তু জ্ঞানের অহঙ্কার থাকিলে সেই জ্যোতিৰ্ম্ময় কখনই দেখা দেন না । “তিনি হে অকিঞ্চন গুরু, তিনি প্ৰণতজন সৌভাগ্য জনন ।” সেই মহাকবি হাফেজের কথাতেই বলি "সূৰ্য্য যার মহাসভার জ্যোতিষ্মান বিন্দুমাত্র, তার মধ্যে আপনাকে বড় করিয়া দেখা অত্যন্ত অবিনয়ের কার্য্য ।” তিনি আরও বলিয়াছেন, “যে ধূলি সখার স্পর্শে গৌরবান্বিত হইয়াছে, তাহ পাইলে আমি অঞ্জনের ন্যায় চক্ষে ধারণ করি।” বিনয়ী হইয়া এই অঞ্জন যিনি চক্ষে ধারণ করেন, র্তারই দৃষ্টিশক্তি তেজস্বিনী হয়। তিনিই ঈশ্বরের আভাস ইহলোকেই প্রাপ্ত হন । সূর্য্যোদয়ের পূর্বে যেমন অরুণোদয় হয়, সেই পরিপূর্ণ জ্যোতির আভা । তেমনি ভক্তের হৃদয়ে প্রকাশিত হয় । কিন্তু সেই আভাসমাত্র জ্যোতিরই বা তুলনা কোথায় । যে র্তারে কাতর প্রাণে ডাকে—অন্বেষণ করে—তিনি তাহার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন । এই সহজজ্ঞানকে ভিত্তি করিয়া ঋষিরা যে প্রকারে ঈশ্বরকে বিশেষরূপে দেখিবার চেষ্টা করিয়া, পরিশেষে আপনাদের অন্তরে তাহাকে উপলব্ধি করিতেন, আমাদেরও সেই প্রণালী অবলম্বন করা কর্তব্য। তাছাদের উপদেশ এই—শরীরগর্ভে যে আত্মা আছে, তাহাকে ক্রমে ক্রমে উপলব্ধি করিতে চেষ্টা কর । সকল প্রকার চাঞ্চল্য হইতে বিরত হইয়। মনের সকল বল এক স্থানে নিয়োগ কর । আত্মচিন্তার সময় অনেক অভ্যস্ত সাংসারিক চিন্তা আসিয়া মনের একাগ্রতাকে ভঙ্গ করিয়া দেয়, অতএব বল পূর্বক পুনঃ পুনঃ ঐ সকল চিন্তাকে দূর করিয়া দিও। এক দিনে কৃতবার্য্য না হও, কালে সিদ্ধিলাভ করিতে পারিবে । যখন ইহাতে সিদ্ধ হইবে, তখন আত্মার মধ্যে পরমাত্মাকে ভক্তি পূর্বক দেখিবার জন্য র্তাহারই নিকট নিতান্ত অনন্যগতি হইয়া প্রার্থনা করিও । একান্তে র্তাহার আশাপথ চাহিয়৷ থাকি ও । যখন তোমার দৃষ্টি, তার শুভদৃষ্টির সহিত মিলিয়। যাইবে, তখন দেখিবে, যে তুমি আর তোমার নও–র্তার— সম্যকরূপে তার । তখন—