পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৩ o |

  • ---

তত্ত্ববােধিনী পত্রিক_ --mamă s--- =- - “সুবিমল পরশে, হরষে মাতি, প্রাণ-বিহঙ্গ উঠেরে গাহি । মন অলি পিয়ে অমিয়া ।” তখন সেই জগতের মাতাকে, আপনার মাতা বলিয়া দেখিতে পাইবে। দেখিবে যেন এ জগতে কেবল তুমি আছ আর তিনি আছেন । র্তাহার ক্রোড়ে শয়ান থাকিয়া অপূর্ব স্পর্শমুখ অনুভব করিতে পারিবে। তখন যাহা কিছু তোমার পবিত্র প্রার্থনা থাকে, যাহা কিছু নিবেদন থাকে, তাহাকে জানাইও । তিনি তাহা শ্রবণ করিবেন । তিনি বাঞ্ছা-কল্পতরু, তিনি তোমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিবেন । তিনি আপনাকে দিয়া তোমার সকল কামনার পরিসমাপ্তি করিবেন। কখনই শূন্য হস্তে ফিরিয়া আসিতে হইবে না। মনুষ্যের গণনায় যাহা ঘটিবার নহে, তাহা তাহার সাধনার দ্বারা ঘটিয়া থাকে। যাহা দেখিবার নয়, তাহ দেখা যায়। যাহা শুনিবার নহে, তাহ শুনা যায়। সাধকেরা সাধনা দ্বারা এই সকল সত্য আপন আপন জীবনে মিলাইয়া লইয়াছেন ; এই নিমিত্তই ভক্তেরা বলেন, র্তাহার কৃপা হইলে অন্ধ চক্ষু পায়, খঞ্জ গিরি লঙ্ঘন করে । অতএব তাহার প্রদত্ত সহজ জ্ঞানকে আশ্রয় করিয়া তাহার কৃপার উপর নির্ভর করিয়া আমরা যদি ভক্তিযোগে ঈশ্বরকে লাভ করিতে চেষ্টা করি, তাহ হইলে নিঃশংসয়ে ইহলোকেই র্তাহাকে প্রাপ্ত হইয়া জীবনের ফল লাভ করিতে পারি। কিন্তু হায় ! এখনকার শিক্ষার দোষে অনেকেই বিকৃতস্বভাব হইয়াছে। তাহার ঈশ্বরের অস্তিত্বে পর্য্যন্ত সংশয় করে ; এমন যে জীবন্ত জাগ্রত পরমেশ্বর, তাহাকে তাছারা দেখে না । কি ঘোর সংশয় তিমিরেই তাহারা আচ্ছন্ন ! আমি আর সেই সংশয়বাদীদিগকে কি বলিব ? কেবল এই মাত্র বলি, “কেমনে ফিরিয়া যাও, নদেখি তাহারে । কেমনে জীবন কাটে, চির অন্ধকারে । মহান জগতে থাকি, বিস্ময় বিহীন । অীকি, বারেক না দেখ ৰ্তারে এ বিশ্ব মাঝারে* ॥ এই যে বিশ্বযন্ত যাহাকে তিনি সেতু স্বরূপ হইয়া ধারণ করিয়া রহিয়াছেন, যাহতে র্তাহীর জ্ঞান—র্তাহার শক্তি —র্তাহার করুণ, মঙ্গলভাব ও প্রেম উচ্ছসিত হইতেছে, তাহাকে দেখিবার সঙ্গে সঙ্গে কি আমরা সেই ভগবানকে দেখিব না ? বিশ্বযন্ত্রের কথা দূরে থাকুক—আমাদের এই যে জীবন—ইহাতে তিনি যেমন প্রকাশিত হন, এমন আর কোথাও নহে। প্রতিজন অপেন আপন জীবন পরীক্ষা করিয়া দেখ, ইহার প্রতি ঘটনাতেই তাহাকে দেখিতে পাইবে । জীবনে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনা যাহা নিয়ত ঘটিতেছে, তাহার সংবাদ আমর রাখি না বটে কিন্তু ইহার অন্তর্গত দুই চারিট প্রধান প্রধান ঘটনার প্রতি আমরা যদি মনোযোগ দিই, তাহা হইলে নিঃসংশয়ে দেখিতে পাইব, করুণাময় পরমেশ্বর আত্মার মধ্যে জাগ্রত না থাকিলে, সে রূপ ঘটনা কখনই ঘটিতে পারে না । মনুষ্য যখন মোহ-মদিরা পীনে উন্মত্ত হইয়া জীবন-পৰ্ব্বতের এমন এক সংকট স্থানে উপস্থিত হয়, যে আর এক রেখামাত্র অগ্রসর হইলেই, সে চুৰ্ণ বিচুর্ণ হইয়া যায়, কে তখন তাহাকে পশ্চাৎ হইতে ধরিয়া ফেলে ? কে সে উন্মত্তত সহসা ভাঙ্গিয়া দিয়া, চিরজীবনের জন্য তাহাকে রক্ষা করে ? --ജ്ജബ= *o