পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शगङ्न *wse ooms একখানি ক্ষুদ্র তরণীতে সপরিবারে ংসারসমুদ্র পার হইতেছি, আতঙ্গের কোন কারণ—কোন চিহ্ন নাই, সহসা দেখি এক খণ্ড কাল মেঘ উদয় ছইল । প্রাণ উড়িয়া গেল। চারিদিকে ঝঞ্জাবাঢ়ে। তরীতে তরঙ্গাঘাত । ক্ষণে ক্ষণে ক্ষণপ্রভার প্রকাশে তরঙ্গের ভীষণ মূৰ্ত্তিকে আরো ভীষণ করিয়া তুলিতেছে । তখন আপনার জন্য তত ভয় হইল না । প্রাণ হইতেও প্রিয়তর যাহারা নিকটে ছিল, তাহাদের জন্য হৃৎকম্প উপস্থিত হইল । সে অবস্থায় হৃদয়কে দৃঢ় করিয়া কাতর প্রাণে ডাকিলাম কোথায় অনাথ শরণ ! কেহ নাহি আর আমার—সব তুমি লয়েছি শরণ তব চরণে দীননাথ ! যদি পাই চরণ তরি, নাহি ডরি করাল কালে” বলিতে বলিতে চক্ষু হইতে অশ্রু- | ধারা বহিতে লাগিল । দেখিলাম সে অশ্রু দয়াময়েরই চরণে পড়িল । ক্ষণ পরে চক্ষু চাহিয়া দেখি, সমুদ্র নিস্তরঙ্গ হইয়াছে । এ কি আপন হইতে হইল ? ইহার মধ্যে বিধাতা কি প্রকাশিত হইলেন না ? এইরূপ প্রতিজনেই দেখিতে পাইবেন, জীবনের অবস্থাবিশেষের ঘটনা অতি আশ্চর্য্য । তিনি সেই ঘটনার মধ্যে বর্তমান থাকিয়াই, মনুষ্যের সঙ্গে কথা কহিতে থাকেন। সমাগত সাধুগণ ! এমন বন্ধুর্কে জীবনে যদি না দেখিলাম তবে জীবনে কি প্রয়োজন ? হে সাধু সজ্জন সকল, আজ উৎসবের দিনে শুভদিনে শুভ ক্ষণে এস সকলে মিলিয়া বলি হে ঈশ্বর ! আর কখন তোমাকে হৃদয়ের অন্তর করিব না—তোমার চক্ষের সমক্ষে জীবন ধারণ করিব। প্রতিদিন ভক্তিপুষ্পে তোমার চরণ পূজা করিব। পাপচিন্তা, পাপ আলাপ চতুঃষষ্টিতম সাম্বসৎরিক ব্রাহ্মসমাজ ২১৭ ও পাপ অনুষ্ঠান হইতে দূরে থাকিতে প্রাণপণে চেষ্টা করিব । হে দেব, যাহাতে আমরা এই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিতে পারি, তুমি কৃপা করিয়া আমাদিগের সেই রূপ বল বিধান কর । হে দেব ! তোমার শিবসুন্দর রূপ একবার অামাদিগকে দেখিতে দেও। সংসার-যাতনা সব ভুলিয়া যাই । তোমার আনন্দে হৃদয়কে পূর্ণ rর, আর যেন নিরানন্দে থাকিতে না হয় । ব্রহ্মানন্দই জীবনের সার বস্তু। সেই আনন্দরূপ পদ্ম জীৱন-সরোবরে অনুক্ষণ প্রস্ফ টিত থাকুক, সেই ফুলে আমরা তোমায় পূজা করিব, এই আমাদের প্রার্থনা । তুমি কৃপা করিয়া তাহ। পূর্ণ কর । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং পরে শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত চিন্তামণি চট্টোপাধ্যায় এইরূপে প্রার্থনা করেন । গগনের থালে রবিচন্দ্র তারকা লইয়। প্রকৃতির আরতি, স্বৰ্গলোকে দেব গন্ধর্বের্বর স্তুতিগান, নিজ নিজ কক্ষপথে প্রধাবিত বিশ্বব্রহ্মাণ্ড হইতে নিঃস্থত ভুবনব্যাপী ওঙ্ক রধ্বনি, অধোলোকে ক্ষুদ্র নরকণ্ঠনিগত ঈশ্বরের বন্দনী, মুক্তির পূৰ্ব্বাভাস দেখিয়া ভক্তহৃদয়ের গভীরতম প্রদেশ হইতে উত্থিত কৃতজ্ঞতাধবনি, আজ একত্রে মিলিত হইয়া সেই সকল জগতের সম্ভজনীয় ঈশ্বরের চরণতল স্পর্শ করিতেছে । আজ চেতন অচেতন দেবমনুষ্য সখ্যসূত্রে আবদ্ধ হইয়াছে। কোথায় বৈদিক ঋষিগণপরিসেবিত নির্জন গিরিকন্দরের পবিত্র ব্রহ্মজ্ঞান, স্বরস্বতী मृभचडी नौब्र खे°कूल निनांनिऊ आई পিতৃপিতামহগণের সরল প্রার্থনা, আর কোথায় আজ আমাদের সেই পুরাতন বেদমন্ত্রে সেই প্রাচীন ঈশ্বরের পূজা ।