পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতীতের সহিত বর্তমানের কি অপূর্ব পরিণয় | জ্ঞান ধৰ্ম্মের উন্নতি বিধান যাহার স্বষ্টির একমাত্র লক্ষ্য, সকল দেশ সকল জাতির মধ্যে ঐক্য সংস্থাপন র্যাহার ংকল্প, তিনিই এই পবিত্রতম ধৰ্ম্মের প্রেরয়িতা । আদ্যকার পবিত্র উৎসবের মধ্য দিয়া সেই সৰ্ব্বসিদ্ধিদাতা বিধাতার মঙ্গল হস্ত সকলে নিরীক্ষণ কর,.তিনি আজ র্তাহার উদার সদাব্রতে দীনদরিদ্র পাপী তাপী সাধু অসাধু সকলকে আহবান করিয়া অজস্রধারে বিমল আত্মপ্রসাদ বিতরণ করিতেছেন । পরমাত্মন, আজ আমরা তোমার নিকটে কি বলিয়া মনের ক্ষোভ নিবারণ করিব। তুমি অন্নদাতা পিতা, তোমার সদাব্রতে আমরা অন্ন পানের নিত্যভিখারী। তুমি প্রেমময়ী মাতা, জননীর স্বার্থহীন অচল স্নেহ তোমার বিশ্বব্যাপিনী করুণার ছায়া, তুমি প্রাণসখা, জীবনে মরণে তুমি আমাদের চিরসঙ্গী। তুমি অকুলকাণ্ডারী, সংসার-সমুদ্রের ভীষণ তরঙ্গের মধ্যে তুমিই একমাত্র পথপ্রদশক । অজস্রধারে প্রবাহিত নিশীথের শোকাশ্ৰু তোমাকে পাইলে বিশুদ্ধ হয়, তোমাকে দেখিলে মৃতপ্রায় অসাড় আত্মার বলাধান হয় । পরমদেব ! কোন দিক দিয়া কোন ভাবে, আজি আমরা তোমাকে দর্শন করিব। প্রীতিবৃত্তিকে সমুন্নত করিলে দেখি, বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তোমার প্রেমসাগরে বিলীন । গ্ৰত করিলে দেখি, সকলই অসার, সকলই অনিত্য, তুমিই একমাত্র অচল শরণ। ভক্তিভাবকে উদ্দীপ্ত করিলে দেখি তোমার অবারিত ক্রোড় ভক্তজনের জন্য নিত্য প্রসারিত। বৈরাগ্যভরে দেখিলে তত্ত্ববোধিনী পত্রিক বিশ্বাসের ভাবকে জা- ৷ ১৩ কল্প, ও ভাগ AS SMMS SMSMMSMSMS ASA SSASASeeeTCAMT দেখি তুমি নিলিপ্ত হইয়াও নিখিল জগতের মঙ্গল বিধানে লালায়িত । তোমাকে বর্ণনা করিতে গিয়া বাক্য স্তব্ধ হয় । বেদবেদান্ত সকলই অবাক না পেয়ে অন্ত তোমার। বিশ্বপিতা অখিলমাতা ! আজি, আমরা তোমার নির্লিপ্ত ভাব দুর্নিরীক্ষও রুদ্রমূৰ্ত্তি দেখিতে চাহি না। ভ্রাতৃপ্রেমে স্নেহ সোঁহার্দ্যে মিলিত হইয়। আজ আমরা তোমার নিকট আগমন করিয়াছি । তুমি স্বপ্রকাশ, তুমি তোমার প্রসন্ন মূৰ্ত্তি আমাদের নিকটে প্রকাশিত কর, যে আমরা আত্মার মোহমলিনতা বিদূরিত করিয়া তোমাকে একবার প্রাণ ভরিয়া দেখিয়া লই । মৃগতৃষ্ণিকার পশ্চাতে ধাবিত হইয়৷ প্রাণ কণ্ঠগত হইয়াছে, তোমার অমৃতভাণ্ডারের দ্বার একবার উদঘাটন কর, ষে তোমার অমৃত রস আস্বাদন করিয়া কৃতার্থ হই। আমরা বিপথগামী, তুমি তোমার উজ্জ্বল আলোক আমাদের সম্মুখে এমন: করিয়া ধারণ কর, যে আমরা তোমাকে ধ্রুবনেতা জানিয়া অনন্তপথে ক্রমাগত অগ্রসর হই । তুমি তোমার সিংহাসন আমাদের আত্মার মধ্যে এমনই স্থ প্রতিষ্ঠিত কর, ষেন সংসারের ঝঞ্জাতরঙ্গ আসিয়। তাহাকে বিচলিত করিতে না পারে । আজ আমরা করযোড়ে এই উৎসবক্ষেত্রে তোমার নিকটে বরাভয় ভিক্ষা করিতেছি, তুমি আমাদিগকে আশীৰ্ব্বাদ কর, তুমি তোমার প্রেমহস্ত আমাদের মস্তকে স্থাপন কর, যে আমরা নিৰ্ভয়ে তোমার নাম গান গাহিতে গাহিতে ইহলোকের পরপারে সহজে উত্তীর্ণ হইতে পারি যেখানে কেবলই আনন্দ কেবলই আনন্দ আমাদের জন্য সঞ্চিত রহিয়াছে, শরৎচন্দ্রের পৌর্ণমালী জ্যোৎস্না যেখানে চিরবিরাজিত । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং ।