পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९२8 مشاه তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • ७ कछ, ० छtभ

ব্ৰহ্মলাভ করিতে গেলে কঠোর ব্রহ্মসাধন আবশ্যক । ভারতের আরণ্যক ঋষিগণ ব্ৰহ্মলাভের জন্য যেরূপ কঠোর সাধনা করিয়াছিলেন, তাহার ফলে যে র্তাহারা खक्रएक लांड कब्रिग्नाप्छ्न, उांश किछूझे আশ্চৰ্য্য নহে। তাহাদিগের কঠোরতার আভাসমাত্র আমরা এইরূপ শ্লোকসমুহে পাইয়া থাকি— “বাসে বল্কলমাস্তরঃ কিশলয়ান্যোক স্তরূণাং তলং, মূলানি ক্ষতয়ে ক্ষুধাং গিরিনদীতোয়ং তৃষাশাস্তয়ে। ক্রীড়া মুগ্ধমৃগৈৰ্ব্বয়াংসি সুহৃদো নক্তং প্রদীপঃ শশী, স্বাধীনে বিভবে তথাপি কৃপণ যাচন্ত ইত্যদ্ভুতং ॥ শান্তিশতক । অর্থাৎ ব্রহ্মসাধকের অন্য অর্থাদির প্রয়োজন নাই ; প্রকৃতিই তাহার প্রয়োজন সাধন করিতেছে—বল্কলমাত্র তাহার পরিধেয়, বৃক্ষপত্র তাহার শয্যা এবং বৃক্ষতলই তাহার বাসস্থান ; ফল মূলাদিতেই র্তাহার আহার কার্য্যসিদ্ধ হয় এবং নিঝরিণীজলই তাহার তৃষ্ণ নিবারণ করে ; সরল হরিণ সকল তাহার ক্রীড়াসহচর, পক্ষী তিনিই সেই প্রকার উপলব্ধি করিবার সকল তাহার বন্ধু এবং রাত্রিকালে চন্দ্রমাই একটা উপায়ও বলিয়া দিয়াছেন ; তিনি র্তাহার পক্ষে প্রদীপস্বরূপ । তাহারা যদি ব্রহ্মসাধনের জন্য এতদূর কঠোরতা অবলম্বন করিতে পারিলেন, আমরা কি ব্ৰহ্ম করিব না—ইন্দ্রিয়সংযম অভ্যাস করিব না, স্বাৰ্থত্যাগ করিব না—এই অত্যাবশ্যক বিষয়েও কঠোরতা অবলম্বন করিব না ? কেবল বনে গেলেই যে ব্ৰহ্মলাভ হয়, তাহাও নহে। যিনি পূর্বোক্ত কঠোরতার কথা বলিয়াছেন, তিনিই আবার বলিতে C暖ー{ー “বনেহপি দোষাঃ প্র ভবত্তি রাগিণাং গুহেইপি পঞ্চেন্দ্রিয়নিগ্ৰহস্তপ: | অকুৎসিতে কৰ্ম্মণি যঃ প্রবর্ততে, নিবৃত্তরাগস্য গৃহং তপোবনং।” অর্থাৎ যাহার বিষয়ানুরাগ" নিবৃত্ত হয় لامُیم ,! নাই, তাহার বনে গেলেও দোষোৎপত্তির T সম্ভাবনা আছে এবং যে ব্যক্তি গৃহে থাকিয়া ও বিষয়াসক্তিকে নিবৃত্ত করিয়া পঞ্চেন্দ্রিয় সংযমরূপ তপশ্চরণ করেন, তাহার পক্ষে গৃহই তপোবন । { ব্রহ্মসাধন বাল্যক্রীড়ার সামগ্ৰী নহে ; ইহা সৰ্ব্বাপেক্ষা কঠোর সাধন । এই ব্রহ্মসাধনের তিনটী অঙ্গ—জ্ঞান, কৰ্ম্ম ও ভক্তি | জ্ঞানকে অবলম্বন করিয়া সাধক জানিতে পারেন যে ঈশ্বরের স্বরূপ কি, র্তাহার প্রিয়কাৰ্য্য কি, সৎকাৰ্য্যই বা কি অসৎকাৰ্য্যই বা কি । তর্ক করা এক পদার্থ আর জ্ঞানাবলম্বন অপর পদার্থ। বৃথা তর্ক করিতে পণ্ডিতৰ্ম্মণ্য অহঙ্কারপূর্ণ ব্যক্তিরাই ভালবাসে । জ্ঞানসাধনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদিগের কৰ্ম্মসাধনের দ্বারা পবিত্র হইতে হইবে । যে বৈদিক ঋষি বলিয়াছেন যে এই চরাচরকে ঈশ্বরের সভাতে পরিপূর্ণ উপলব্ধি করিতে হইবে, বলিতেছেন “তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথাঃ ম! গুধঃ কস্যস্বিদ্ধনং” অপরের ধনে লোভ E#> কিছুমাত্র কঠোরতা অবলম্বন । পরিত্যাগ করিয়া এবং অন্তরের কামনা লাভের জন্য কিছু 動 সকল বিসর্জন দিয়া সেই ব্ৰহ্মানন্দ উপ ভোগ কর । যাহা কিছু সৎ কৰ্ম্ম করিব, তাহা ঈশ্বরেরই উদ্দেশে করিব ; আমার যশ বৃদ্ধি হইবে, ধন বৃদ্ধি হইবে বা পদমর্য্যাদা বৃদ্ধি হইবে, এই সকল ভাবিয়া যেন সৎকার্য্য করিতে প্রবৃত্ত না হই । | কামনা পরিত্যাগ করিয়া সৎকার্য্যে প্রবৃত্ত হইতে হইবে । আমাদের কামনাই যত অনিষ্টের মূল অৰ্জুন যখন শ্ৰীকৃষ্ণকে পাপের উৎপত্তিবিষয়ে প্রশ্ন করিলেন, তখন শ্ৰীকৃষ্ণ তদুত্তরে কামনাকেই পাপের