পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፳፻፬ »w»¢ ব্ৰহ্মদর্শন २९(t প্রধান উৎপত্তি-কারণ ও মানবের সর্বপ্রধান শক্ররূপে নির্দেশ করিয়া তাহাকে নিৰ্ম্মল করিতে উপদেশ প্রদান করিলেন। আমার যদি কামনা থাকে, তবে সেই কামনাকে পরিতৃপ্ত করিবার জন্য অপরের অনিষ্ট করিতে চেষ্টা করা স্বাভাবিক, এই কার8ণ ঋষিরা সকলেই এই কামনাকে জয় করিবার জন্য হৃদগত যত্ন ও চেষ্ট। প্রয়োগ করিতেন এবং অল্পাহার প্রভৃতি নানা কঠোর উপায় সকল অবলম্বন করি তেন। র্তাহারা শিষ্যবৰ্গকে ও এই বিষয়ে যথেষ্ট উপদেশ দিতেন । ¢छ्न--- “বিজ্ঞানসারথির্যস্তু মনঃপ্রগ্রহবান্নরঃ । সোহধবনঃ পারমাপ্নোতি তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং ॥” বিজ্ঞান র্যাহার সারথি ও মনোরূপ BB DDDD BBBBS BB BBBBBB DDS DDS BK BBB BBD GDD সৰ্ব্বব্যাপী পরব্রহ্মের পরম স্থান প্রাপ্ত । হয়েন । যিনি আপনার কামনাকে জয় করিয়া মনকে জ্ঞান ও ধৰ্ম্মের বশীভূত করেন, তিনি সংসারের দুর্জয় মোহ হইতে মুক্ত হইয়া সৰ্ব্বব্যাপী পরব্রহ্মকে লাভ করেন । কামনাকে জয় করা বা মনকে বশীভূত করাই প্রধানতঃ কৰ্ম্মযোগ । যে সাধক বিজ্ঞানকে সারথি করিয়াছেন ও মনকে আয়ত্ত করিতে পারিয়াছেন, তা হাকে. আর কাহারও উপদেশ লইতে হয় না ; তাহারই প্রকৃত ব্ৰহ্মদর্শন হওয়াতে ভক্তি স্বতই উথলিয়া উঠে এবং র্তাহার ঈশ্বরে বিশ্বাস পৰ্ব্বতের ন্যায় দৃঢ় হয়। গ্ৰী তাতে উক্ত হইয়াছে যে এইরূপ ভক্তিমান সাধকই ঈশ্বরের সর্বাপেক্ষা প্রিয় । 蹟 ঋষির কেবলমাত্র এই সকল বিষয়ে উপদেশ দিয়াই ক্ষান্ত থাকেন নাই। উমহারা জানিতেন যে মনুষ্যের প্রকৃতি মনু বলিয়া স্বভাবতই মন্দকৰ্ম্মের দিকে কিছু বেশী ঝুঁকিয় পড়ে ; সুতরাং সেই প্রকৃতি পরিবর্তন করিতে না পারিলে প্রকৃত উপকার সাধিত হইবে না। এই প্রকৃতি পরিবর্তন করিবার জন্য র্তাহারা আমাদের শৈশবাবস্থা হইতে মৃত্যু পৰ্য্যন্ত কঠোর সাধনের এক সুন্দর ব্যবস্থা, এক সুন্দর শিক্ষাপ্রণালী প্রবর্তিত করিয়া গিয়াছেন। সেই শিক্ষা প্রণালীর “ফলে ব্রহ্ম লাভ ন৷ হওয়াই আশ্চর্য্যের বিষয় । হিন্দু রাজত্বের উন্নতির সময়ে এই শিক্ষা প্রণালীর কিরূপ ফল ফলিযাfছল, তাহা সবিস্তার বলিবার অবশ্যক নাই । হিন্দুরাজত্বের যখন ঘোর অবনতি ঘটিয়াছিল, যে সময় হইতে হিন্দুরাজত্ব এক প্রকার বিলুপ্ত হইয়। গেল তখনও এই শিক্ষা প্রণালীর ফল হয় । কোন স্থ প্রসিদ্ধ বিদেশীয় ঐতি হাসিক বলিয়াছেন যে তখন দ্বারে তালা চাবি লাগানো থাকিত না ; হিন্দু মাত্রেই মিথ্যা কথা বিষবৎ পরিত্যাগ করি ত । কিন্তু এখন সেই শিক্ষাপ্রণালী বা কোথায় আর সেই ধৰ্ম্মবল ই বা কোথায় ! বৰ্ত্তমানে যে শিক্ষ। প্রচলিত আছে, ইহা দ্বারা ধৰ্ম্মকে হৃদয়ে ধারণ করা এক প্রকার অসম্ভব ব্যাপার । বৰ্ত্তমান শিক্ষার ফলে কামনাবৃদ্ধি ব্যতীত হ্রাস হয় না সুতরাং এই শিক্ষা যে বহুল অংশে দূষিত তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। বর্তমান কালে পূর্বের শিক্ষা প্রণালী সৰ্ব্বাঙ্গীনভাবে প্রচলিত করাও দুঃসাধ্য ও অসম্ভব, কিন্তু সেই শিক্ষা আংশিকভাবেও যদি গৃহীত না হয়, তাহ। হইলে এদেশের শ্রেয় দেখিতেছি না— সম্মুখে কেবলি অন্ধকার। এখন, পাশ্চাত্য বিজ্ঞানাদি শিক্ষার সহিত প্রাচ্য ধৰ্ম্মশিক্ষার সামঞ্জস্য করিয়া লইতে হইবে।