পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২২৩ ன்ேகை অাজ আমরা যে উৎসবে সমাগত হইয়াছি, এই স্থানে যে সত্যধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, ইহা তাহারই স্মরণার্থ উৎসব নহে, ইহা সঙ্গীতের উৎসব নহে, ইহা অধ্যাত্মধৰ্ম্মের উৎসব । এই উৎসব উপলক্ষে এখানে অনেক সাধুসজ্জনের সমাগম হইয়াছে, সুতরাং এই উৎসব, কিসে আমাদের ধৰ্ম্মভাবের উন্নতি হইতে পারে কিসে ভারতে সত্যধৰ্ম্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হইতে পারে, এই সকল বিষয় অালোচনা করিবার একটি উত্তম অবসর। আমরা পরম্পরের ধৰ্ম্মজীবনে পরস্পর সহায় হইব, এই উৎসব আমাদিগকে ইহাই শিক্ষা দিতেছে । এখন চারিদিক হইতেই ধৰ্ম্মের মিথ্যা প্রতিমূৰ্ত্তি গঠিত হইতেছে। যখন তিনি আমাদের সহায় হইবেন, তখন সহস্ৰগুণ বল পাইয়া অধৰ্ম্মকে বিচূর্ণ কেহ বলিতেছেন যে অমুক ব্যক্তি ঈশ্বরের । কেহ বলিতেছেন মনুষ্যত্বকে পূজা কর, অবতার, তাহাকেই পূজা কর। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে,আৰ্য্যঋষিগণ যে নিরাকার ঈশ্বরের উপাসনাকেই শ্রেষ্ঠ বলিয়া গিয়াছেন, তাহাদিগের বংশোদ্ভূত অনেক হিন্দু আজকাল সেই নিরাকার উপাসনাকে আশ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করিবার প্রয়াস পাইয়। থাকেন । ‘সত্যমেব জয়তে” সত্যের জয় হইবেই কিন্তু এই সকল বিঘ্ন অতিক্রম করিতে কিঞ্চিৎ বিলম্ব হইবে এই মাত্র। যখন চতুর্দিকৃ হইতে সত্যধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে এইরূপ ধৰ্ম্মের মিথ্যা প্রতিমূৰ্ত্তি সকল দণ্ডায়মান হইতেছে, তখন আমাদিগেরও নিশ্চেষ্ট হইয়া থাকিলে চলিবে না । অামাদিগকেও সত্যধৰ্ম্মের পতাকাতলে ঘনসন্নিবিষ্ট হইয়া দণ্ডায়মান হইতে হইবে এবং বংশানুক্রমে পুত্রপৌত্ৰাদিকেও উপযুক্ত শিক্ষা প্রণালী অবলম্বন করিয়া আমাদিগের অবর্তমানে আমাদিগের স্থলা তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা »o ra, o vrn হইবে । আমরা যদি সাধ্যমত চেষ্ট। করিয়াও অধৰ্ম্মের গতি ফিরাইতে ন৷ পারি, তখন সেই পাবনের পাবন, ধৰ্ম্মপ্রবর্তক পরমেশ্বরের শরণাপন্ন হইয়া তাহtকেই জানাইব “দয়াময়! আমরা দুর্বল অসহায় ; তুমি দুৰ্ব্বলের বল, অসহায়ের সহায় ; আমাদিগকে অধৰ্ম্ম বলপূর্বক আকর্ষণ করিতেছে, তুমি আমাদিগকে উদ্ধার কর ; দেবদেব, এই বিপদের সময়ে আমাদিগের প্রতি প্রসন্ন হও, আমাদিগকে দেখ দাও ; তোমারি অাদেশে আমরা সত্যধৰ্ম্মের পথে দণ্ডtয়মান হইয়াছি, তুমি আমাদের আশা ভরসা, স্থখশান্তি, তুমিই আমাদের সর্বস্ব” । এই প্রার্থনা শুনিয়া -o-o-o-o-o-o-o: করিতে সমর্থ হইব । এইরূপে ব্রহ্মপ্রসাদে ব্ৰহ্মলাভ করিলে আমরা তো কৃতাৰ্থ হইবই । কিন্তু যে দিন আমাদের পুত্রপৌত্ৰাদিগণও “ঈশাবাস্যমিদং সৰ্ব্বং যৎকিঞ্চি জগত্যাং জগৎ । তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথাঃ মা গৃধঃ কস্যস্বিদ্ধনং’ ॥ এই ব্ৰহ্মাণ্ডের অন্তর্গত যে কিছু পদার্থ, পরমেশ্বর দ্বারা এ সমুদয়কে আচ্ছাদন কর ; অপরের ধনে লোভ পরিত্যাগ করিয়া ও কামনা সকল বিসর্জন দিয়া র্তাহাকে ভোগ কর—এই মহামন্ত্রকে স্বীয় জীবনে পরিণত করিবে, যে দিন তাহারা এই মহামন্ত্র অনুসরণ করিয়া কৰ্ম্মানুষ্ঠান করিবে এবং আপনাদের প্রতি কার্য্যে ঈশ্বরেরই মহিমাপ্রচার ও জয়ঘোষণা করিবে, সেই দিন আমাদের সমস্ত জীবনের আশা, সমস্ত জীবনের পরিশ্রম সফল হইবে এবং আমরা যদি ইহলোক হইতে অপস্থত হইয়া পরলোকে গমন করি, ধিকার করিবার শিক্ষাপ্রদান করিতে ! তথাপি ইহা স্থনিশ্চিত যে আমরা সেখান