পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6כשל הקא বেীদ্ধেরা-কিনাস্তিক २२१ হইতেও দেবগণের সহিত মিলিত হইয়া তাহাদিগের মস্তকে অজস্র আশীৰ্ব্বাদ । বর্ষণ করিব এবং ঈশ্বর আমাদিগের সকলকেই তাহার আনন্দধামে লইয়া গিয়া অমৃতবারি দ্বারা অভিষিক্ত করিয়া দিবেন। অতএব বর্তমান কালে আমরা যেন অধৰ্ম্ম ভাব প্রবল দেখিয়া নিরাশ হইয়া না পড়ি, সেই শুভ দিন সত্বর আনয়ন করিবার জন্য পরিশ্রম করিতে বিমুখ ন হই । আমরা জানিতেছি যে সেই দিন আসিবেই— কারণ ঈশ্বরের মঙ্গল অভিপ্রায় সম্পন্ন হইবেই । আমরা তাহারই উপর নির্ভর করিয়া অকাতরে পরিশ্রম করিব, কঠোরত। সাধন করিব এবং অসমর্থ হইলে কাতরপ্রাণে, ব্যাকুলহৃদয়ে তাহাকেই ডা কিব, বলিব “কাতর আমার প্রাণ সংসারে, ওগো পিতা দেহ তব চরণে স্থান । তোমা ছাড়ি আর কার দ্বারে যাব, ওহে দীননাথ, কর দীনে শান্তিদান ।” তখন তিনিই আমাদিগকে আশ্রয়দান করিবেন ; তিনি আমাদিগকে কখনো পরিত্যাগ করেন নাই এবং কখনো পরিত্যাগ করিবেন না । বেীদ্ধের কি নাস্তিক ? ভূমণ্ডলে বৌদ্ধমত অতিশয় প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল। বৌদ্ধের বিপুল উৎ সাহে জ্ঞানধৰ্ম্ম প্রচার করিয়া এক সময়ে মনুষ্যগণকে মন্ত্ৰমুগ্ধ করিয়াছিলেন । বৌদ্ধদিগের শিক্ষা দীক্ষার অtশ্চর্য্য প্রভাব সসাগর। পৃথিবীর কোন স্থানেই অপ্রচার মাই। ভূমণ্ডলস্থ অধিকাংশ নরনারী উক্ত ধৰ্ম্মের আজ্ঞার অধীন হইয়াছিল। বলা কখনই সঙ্গত বোধ হয় না । দ্ধের বেদবিদ্বেষ্ট নহেন। একাদশ কিম্বা দ্বাদশ খ্ৰীষ্টাব্দের পূর্বে বোঁদ্ধের অনেক নিষ্ঠুর অত্যাচার সহ করিয়া ক্রমশঃ স্বদেশ পরিত্যাগ পূর্বক ভিন্ন স্থানে বাস করিয়াছিলেন । সেই সময়ে পূর্বাঞ্চলস্থ অনেক গিরি গহন ইহাদের আশ্রয়স্থল হইয়াছিল । বঙ্গে এক্ষণে প্রায় লক্ষাধিক বৌদ্ধের বাস আছে.। ইহারা বাঙ্গালী, বঙ্গাল। ইলদের মাতৃ ভাষা । রাজশাসন গুণে দরিদ্র বাঙ্গালী বৌদ্ধগণ বিদ্যার চরণ সব করিয়া কর্তব্যপরায়ণ হইয়াছেন । স্বধৰ্ম্মনিরত বৌদ্ধদিগের উৎসাহে বঙ্গভাষায় বৌদ্ধ গ্রন্থবলী প্রচার হইতে আরম্ভ হইয়াছে । বঙ্গদেশে বৌদ্ধ সাহিত্য স্থষ্টি ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের স্থবিবেচনার প্রত্যক্ষ ফল । অনেকের এইরূপ ধারণ আছে যে, বৌদ্ধের নাস্তিক, অধাৰ্ম্মিক এবং বেদের নিন্দাকারী । ইহা প্রকৃত কথা নহে । সংসারে পাপ পুণ্যের বিচার যাহাদের আছে, পৃথিবীর হিত করাই যাহাদের মহোচ ব্রত ও ধৰ্ম্মনীতি তাহারা নাস্তিক একথা ঠিক নহে । ংসার পাপে নিমগ্ন হইলে অলৌকিক পুরুষ জন্ম গ্রহণ করত ইহার উদ্ধার সাধন করেন ইহা যাহাদের বিশ্বাস, তাহারা নাস্তিক একথা বৌঈর্ষাপরতন্ত্র হওয়া বৌদ্ধদিগের নীতিবিরুদ্ধ। তাহাদের পাপ পুণ্যের বোধাবোধ আছে এজন্য তাহারা অস্তিক, নাম-রূপ-শব্দ বিহীন, কেবল পুণ্য স্বরূপ, জ্ঞান স্বরূপ নিগুণ পরমার্থ চিন্তাকে তাহারা সাধনার বিষয়ীভূত করিয়া লইয়াছে । সেই হেতু তাহার কার্য্যশীল স্বতন্ত্র ঈশ্বর স্বীকার করে নাই। যদিও বৌদ্ধদের মধ্যে দুইটা cख्धनौ बिज्राश रुद्देम्नो८छ, ७द९ छङ झु३