পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e لابعاد s aج o বেন্ধের কি নাস্তিক ૨૨છે কার বিনাশক, শুভদাতা, র্যাহার জ্যোতিঃ বিমল এবং নিষ্কলঙ্ক, র্যাহার মূৰ্ত্তি প্রশান্ত, যিনি শান্ত, মুনিশ্রেষ্ঠ, যিনি জ্ঞানের সমুদ্র, পবিত্র, মহানুভব, ধৰ্ম্মের ঈশ্বর এবং সৰ্ব্বজ্ঞানাভিজ্ঞ ঋষিগণের শ্রেষ্ঠ, যিনি সৰ্ব্বদেবের ঈশ্বর, ব্রাহ্মণগণের আরাধ্য, এবং যিনি নিজ তপস্যা দ্বারা ধৰ্ম্ম স্থাপনা করিয়াছিলেন, যিনি রিপু সকলকে জয় করিয়াছিলেন, যিনি প্রলোভন হইতে মুক্ত হইয়াছিলেন, যিনি দুৰ্ব্বাসনার পরম শক্ৰ, সপকেও যিনি প্রাণের সহিত স্নেহ করেন, যিনি স্বয়ং বৈদ্যরাজ, বোগী সকলকে যিনি অমৃত দিয়া আরোগী করেন, র্যাহার জ্ঞান অসীম, যিনি অসৎ বুদ্ধির পীড়ন করেন ও যিনি পরমার্থবিদ, ধৰ্ম্মবন্ধু, । ধৰ্ম্মাত্মাগণের প্রকৃত বন্ধু, তিনি মোক্ষদাতা, পাপীর বন্ধু, তাহাকে বিশ্বাস কর যে,পরিত্ৰাণের জন্য তিনি তোমাদিগকে সৎপথে লইয়া যাইবেন । মে শাস্ত শাস্তচিত্তা, তিসারাণ সারাণী । এতালোকাপ্তারেয়োয়, ভূম ভূমা চাদেয়োয় । গুণাগান গাঙ্গানা, ব্যায়োয়াটা সাৰবাকালাং এতে আয়ান্তু দেয়োয়া ওয়ারা কামা কামায়ে মেরুরাজে ওয়াশান্তং সাস্থ্যা হেতু মুনিয়োয়ারা য়োয়াচানাং সতু মাগগা সামাগগা । যিনি স্বৰ্গ, মর্ত্য ও প্রাণী নিচয়কে পালন করেন, যিনি সকলের মঙ্গলদাতা, র্যাহার কথা শ্রবণে শান্তি লাভ হয়, র্যাহাতে ত্রিগুণ অবস্থিতি করে, তাহাকে আমরা ধ্যান করি । তাহার কৃপায় অমরগণ সুমেরুতে বাস করেন । যে ব্যক্তি পবিত্র অন্তঃকরণে বৌদ্ধধৰ্ম্ম পালন করেন, বুদ্ধের ধৰ্ম্ম কথা ভক্তিপূৰ্ব্বক শ্রবণ করেন, সংসারে সেই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ পদ লাভ করিয়া থাকেন এবং তিনি স্বৰ্গলোকে বাস করেন। বুদ্ধের সেবকেরা দেবতার ও পূজ্য হয়েন। কি দেবতা কি মনুস্য বুদ্ধেতে র্যাহার অবিচলিত ভক্তি, তিনি, বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম ও সংঘ এই ত্ৰিবিধ গুণ বিশিষ্ট হয়েন এবং সমস্ত বিশ্ব র্তাহার পূজা করেন। ব্রাহ্মণের দেবোদেশে মন্ত্র পাঠ পূর্বক নৈবেদ্য উৎসর্গ করেন, বৌদ্ধের তাহা কিছুই করেন না । নৈবেদ্য দেবতাকে নবেদন কলা হইলে ব্রাহ্মণের তাহা উপভোগ করেন, বৌদ্ধের। তাহা ও করেন না । তাহার। কোন খাদ্য দেবমূৰ্ত্তির সম্মুখে একবার ধারণ করিয়া আমনি রাখিয়া দেন এই পৰ্য্যন্ত । ক্যাং অর্থাৎ দেবালয়ে প্রাতে সন্ধ্যায় পুষ্প এবং দীপ দানের ব্যবস্থা আছে, কিন্তু মন্ত্র উচ্চারণ পূর্বক প্রতিমা গাত্রে পুষ্প বৃষ্টি করা হয না । দেবালয়ে কাশি ঘণ্টা বাদ্য করা হয় । শঙ্খের ধ্বনি শ্রবণ করি নাই । উপাসনকালে বৌদ্ধের পবিত্র দেহে দেপালয়ে গিয়া পঞ্চশীল গ্রহণ এবং প্রাপনাদি করেন । বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, ধৰ্ম্মং শরণং গচ্ছামি, সজঘং শরণ গচ্ছামি । এইরূপ তিনবার প্রার্থনার রীতি অাছে । বেীদ্ধের বুদ্ধকে ভগবানের অবতীর বলিয়া মানে । সুতরাং ইহারা নাস্তিক ইহা কোনরূপে স প্রমাণ হয় না । আর বৌদ্ধদিগের উপরোক্ত প্রার্থনা প্রণালী দেখিয়া ইহাদিগকে নিরীশ্বর মনে কর। যাইতে পারে না। পাপ পুণ্যের বিচার যাহারা করে, তাহার। নিরীশ্বর একথা কি প্রকারে বলি । পুণ্য সত্য ও পলিত্ৰত বৌদ্ধধৰ্ম্মের জীবন । | মার্জার-সংবাদ । বিড়াল মনুষ্যসমাজে বড় নিন্দিত । লোভ, স্বার্থপরতা, আরামপ্রিয় তা প্রভূতি