পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩০ বিড়ালের সর্বস্ব বলিয়। লোকের বিশ্বাস । এই বিশ্বাসের বশবৰ্ত্তী হইয়া মানুষ বিড়লের প্রতি অনেক সময় অতি নিষ্ঠর ব্যবহার করে । শুধু যে বিড়ালের প্রতি অত্যাচার হইয় থাকে তাহ। নঙ্গে, আমাদের অদূরদর্শিতা হেতু অনেক গৃহপালিত পশু নানারূপ উৎপীড়নে উৎপীড়িত হয়। কিন্তু লৌকিক বিশ্বাস সমূলক কি না তাহা বুঝিবার পূর্বে বুঝা অবশ্যক যে বিড়াল মনুষ্য নহে। কিন্তু মনুষ্য নহে বলিয়া এরূপ স্বষ্টিছাড়া নহে যে তাহার কার্য্যকলাপে বুদ্ধির কিছু মাত্র পরিচয় পাওয়া যায় না । মনোযোগ পুৰ্ব্বক পর্য্যবেক্ষণ করিলেই নিন্দিত মার্জারকে জন্তু সমাজের অতি উচ্চ স্থানে দেখিতে পাওয়া যায় । , , বিড়াল শিকারী জন্তু । ইহার ব্যাঘ্রজাতীয় বলিয়া পরিগণিত। বিড়ালের শরীর অতি কোমল লোমে আবৃত । ইহাদিগের গাত্ৰ সৰ্ব্বদাই শুষ্ক ও উজ্জ্বল থাকে। অন্ধকারে ইহাদিগের লোমে হস্ত ঘর্ষণ করিলে তাহা হইতে বিন্দু বিন্দু তাড়িৎ নির্গত হয়। ইহাদের চরণ চতুষ্টয় অত্যন্ত কোমল ; কিন্তু নখর অতিশয় তীক্ষ। ঐ নখরের একটু বিশেসত্ব আছে—সাধারণতঃ উচ্চা অঙ্গলী মধ্যে প্রবিট থাকে ; কিন্তু চচ্ছা করিলেই বিড়াল উহা বাহির করিতে পারে । নখরের ন্যায় ইহাদের দন্তও অতিশয় তীক্ষ । এই দন্ত ও নখর দ্বারা বিড়াল শিকার ধরিতে সমর্থ হয় । ইহাদের জিহ্বা ধারাল কাটায আবৃত । এই জন্য ইহার জিহবার সাহায্যে অস্থি হইতে মাংস চাচিয়া লইতে পারে। ইহাদের চক্ষু অতিশয় উজ্জ্বল । অন্ধকারে ইহাদের চক্ষু দীপ্যমান হীরক তুল্য জ্বলিতে থাকে। ইহাদের চক্ষের তারার সঙ্কোচন ও বিস্ফা তত্ত্ববোধিনী পত্রিক S S S S S S S S S S >७ कझ, ७ छा; خصح۔ --محصے .ے --ബ് so جميع صحيح مص- ص. রণ এত বেশী যে আলোকে তাহা সঙ্কুচিত হইয়া যায় এবং অন্ধকারে বিস্তৃত হইয়া গোলাকার ধারণ করে । এই কারণ দিবাভাগ অপেক্ষ রাত্রিকালেই ইহাদের দর্শনশক্তি বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় । ইহাদের শ্রবণশক্তি অত্যন্ত প্রবল—সামান্য শব্দেই বিড়ালের নিদ্রাভঙ্গ হয় । ($ বিড়াল স্বভাবতঃ জল দেখিলে অতি ভীত হয় । শক্রতা নিবন্ধন দুইটী বিড়াল যখন মহাসমরে প্রবৃত্ত হয়, সেই সময়ে তাহাদিগের গারে কিঞ্চিৎ জল ছড়াইয়া দিলে উভয় পক্ষের ক্রোধ সহসা যেরূপ উদ্দীপ্ত হয় প্রবল অগ্নিকুণ্ডে ঘৃতাহুতি প্রদান করিলে তদ্রুপ হয় কি না সন্দেহ । অাবার অনেক সময় দেখা যায় যে মৎস্যানুসন্ধানে জলে যাইতেও বিড়াল কোনও রূপ সঙ্কোচ করে না । জলে ভয় থাকিলেও বিড়ালের আহারেচ্ছ। এত প্রবল যে তাহার নিকট ভয়ের প্রবলতা অনেক সময়েই পরাভব স্বীকার করে । বিড়ালী তিন মাস কাল গর্ভ ধারণ করিয়া একেবারে চারি পাচটী সন্তান প্রসব করে । শাবকগণের প্রতি বিড়ালীর বড় স্নেহ । বিড়ালীর প্রবল সন্তানবাৎসল্য সকলেই দেখিয়াছেন। ইহার অপরিস্কার অথবা বিপদসঙ্কল স্থানে শাবকগুলিকে না রাখিয়া সৰ্ব্বদ নিভৃত স্থানে তাহাদিগকে রাখিবার চেষ্টা করে । ভাণ্ডারের এক কোনে চাউলের জাল বসান আছে । সে জালার চাউল সৰ্ব্বদা ব্যবহার হয় না । বিড়ালী সন্তান গুলিকে লইয়া সেই জালার ভিতর বসিয়া আছে। গৃহিণী কোনও কার্য্যে সেই জালার চাউল বাহির করিতে গিয়া একেবারে জ্বলিয়া উঠিলেন ও তখনই সেই সদ্যোজাত বিড়ালশাবকগুলিকে তাড়াইয়া দিবার