পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

به دساد فيtar আকবরের স্বপু S> o ജ-ങ്ക স্বতন্ত্রং নিরবরবমেকমেবাদ্বিতীয়ং সৰ্ব্বব্যাপি সৰ্ব্বনিষস্থ সৰ্ব্বাশ্রয় সৰ্ব্ববিৎসৰ্ব্বশক্তিমদ এবং পূর্ণম প্রতিমমিতি। একস্য তস্যৈবোপাসনয়া পারত্রিকমৈহিকঞ্চ শুভম্ভবতি । তস্মিন প্রীতিস্তস্য প্রিয়-কাৰ্য্যসাধনঞ্চ তদুপাসনমেব। ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । আকবরের স্বপু। কাশ্মীরের কোনও মন্দিরের জন্য রচিত আবুল ফজলের একটা প্রস্তরলিপি পাওয়া গিয়াছে ঃ– হে ঈশ্বর, প্রত্যেক মন্দিরেই আমি সেই সাধুগণের দর্শন লাভ করি র্যাহার। তোমাকে দর্শন করেন, এবং যত ভাষা আমার শ্রীতিগোচর হয় সকল ভাষাতেই ভক্তগণ তোমারই যশোগান করিয়া থাকেন । পৌত্তলিকতা এবং একেশ্বরবাদী ইস্লাম তোমাকেই অনুভব করিতে ব্যাকুল । সকল ধৰ্ম্মই বলে, তুমি এক এবং অদ্বিতীয় । মসজিদে ভক্তগণ তোমারই পুণ্যস্তুতি উচ্চারণ করেন, এবং খৃষ্টান ভজনালয়ে তোমার প্রতি প্রেম হইতেই মধুর ঘণ্টাধ্বনি নিনাদিত হয় । আমি কখনও বা খৃষ্টানদিগের সাধনালয়ে যাই, কখনও বা মসজিদে বিচরণ করি। কিন্তু মন্দির হইতে মন্দিরে আমি কেবল তোমার সন্ধান করিয়াই ফিরি। তোমার অন্তরঙ্গের নূতন বা পুরাতন ধৰ্ম্মপন্থা লইয়া কালক্ষয় করেন না; কারণ, তোমার সত্যের পর্দার অন্তরালে উভয়ের কোনটিই স্থান পায় না । নব্য পন্থীর জন্য নব্য মত আছে এবং প্রাচীনপন্থার জন্য পিতৃধৰ্ম্ম আছে ; | কিন্তু গোলাপপুষ্পের রেণু সে কেবল গন্ধব্যবসায়ীর হৃদয়ের ধন । এই প্রস্তরলিপি অবলম্বন করিয়া ইংলণ্ডের রাজ কবি টেনিসন“আকবরের স্বপ্ন” নামে একটি কবিতা রচনা করিয়াছিলেন। র্তাহার মৃত্যুর পর সম্প্রতি উক্ত কবিতা প্রকাশিত হইয়াছে । আবুল ফজল আকবরের প্রিয় সুহৃৎ ও প্রধান সভাসদ । অবসর পাইলেই দুই জনে বিজনে বসিযা ধৰ্ম্মাল।প করিতেন । ছুই জনের হৃদয় এ ট ছিল, ধৰ্ম্ম এক ছিল, লক্ষ্য এক ছিল এবং ভারতবর্ষের ঐক্যসাধনেই উভয়ে দেহপাত করিয়াছেন । সম্রাটের প্রিয় বলিয়া গোড়া মৌলবীরা আবুল ফজলের প্রতি অত্যন্ত বিরক্ত ছিলেন। র্তাহারা মনে করিতেন, এই হতভাগ্য সভাসদ মৌলবীদিগের সনাতন পদমর্য্যাদা লঙ্ঘন করিয়া সম্রাটকে নিরন্তর বিপথে লইয়। যাইতেছে। ফতেপুরশিকরীর ইবাদতখানায় প্রতি বৃহস্পতিবার রাত্রিকালে নানা সম্প্রদায়ের পণ্ডিতেরা একত্র হইয়া বাদশাহের সম্মুখে ধৰ্ম্মবিষয়ক প্রসঙ্গ লইয়৷ নানা আলোচনা করিতেন ; পণ্ডিতে পণ্ডিতে তুমুল তর্ক বিতর্ক হইত ; পরাস্ত হইলে মৌলবীরা আবুল ফজলকে অভিশাপ দিতেন এবং সুবিধামত সেলিমের হৃদয়ে পিতৃদ্রোহ উদ্রেক করিয়া দিতে ক্রট করিতেন না । এই সঙ্কীর্ণ স্বদেশীয় পাণ্ডিত্যের জ্বালায় আবুল ফজল অস্থির হইয়া উঠিয়াছিলেন। অজ্ঞ গোড়ামির দন্ত র্তাহার যেমন অসহ্য বোধ হইত, এখানে তেমনি তাহারই মহাধিপত্য। তিনি নিজমুখেই বলিয়াছেন যে, মঙ্গোলিয়ার জ্ঞানীগণ কিম্বা লেবাননের সাধুদিগের দর্শন লাভের জন্য র্তাহার চিত্ত ব্যাকুল হইয়া উঠিত, তিব্ব