পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९९ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা १७ कन्न, ७ छ,' مصعضح ستعتميم T مسرعته سيستمت تحت তের লামা কিম্বা পর্তুগালের পাত্রীর সাক্ষাৎ পাইলে তিনি আপনাকে ধন্য মনে করিতেন, এবং জেন্দাবেস্তা পণ্ডিতগণের সহিত একত্র বসিয়া ধৰ্ম্মালোচনা করিতে তাহার বিশেষ আনন্দ বোধ হইত ; কিন্তু এই স্বদেশীয় পণ্ডিতগণের প্রসঙ্গ শুনিলে র্তাহার গায়ে জ্বর আসিত, আবুল ফজলকে বুঝিয়াছিলেন কেবল আকবর, এবং আকবরকে যদি কেহ সম্পূর্ণ বুঝিয় থাকেন ত পণ্ডিত আবুল ফজল। কবি টেনিসন দুই মহৎ হৃদয়ের এই নিভৃত সমবেদনাটুকু দিয়াই তাহার । “আকবরের স্বপ্ন” রচনা করিয়াছেন । দৃশ্য ফতেপুর-শিকরী। রাত্রিকাল । প্রাসাদসম্মুখে বিষধ-মুখ সম্রাট আকবর, পার্থে বিশ্বস্ত মন্ত্রী আবুল ফজল । ফজল জিজ্ঞাসা করিলেন “হে পৃথিবীপতি, আজ আপনাকে এত বিষগ্ন দেখিতেছি কেন ?” আকবর একবার দূর নক্ষত্রালোকের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করিলেন, তাহার পর ধীরে ধীরে আবুল ফজলের দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “ঠিক বুঝিয়াছ ফজল, যে দারুণ দুঃস্বপ্ন আমার হৃদয়ে আধিপত্য বিস্তার করিয়াছে মুখে তাহারই কাল ছায়া । জানি স্বপ্ন শুধু বিম্বের মত ক্ষণিক বিড়ম্বনা, কিন্তু তবু প্রার্থনা করি, হে ঈশ্বর, এ স্বপ্ন যেন সত্য না হয়। প্রার্থন এবং সাধনী— জীবনে প্রার্থনার অবিচলিত অনুসরণ— ইহাই উপাসনা । যে প্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গে কৰ্ম্ম না থাকে, মৃতবৎসা প্রসূতির ন্যায় ঈশ্বরের চক্ষে তাহ নিস্ফল । তাই প্রতিজ্ঞা করিয়াছি, স্বপ্ন যাহাঁই বলুক্‌, আমি ন্যায়াচরণ করিতে বিরত থাকিব না— যে মহৎ উদ্দেশ্য সাধনে এই বাহু শাণিত অসি ধরিয়া বিপুল সাম্রাজ্য জয় করি য়াছে, বিজয়লব্ধ বস্থদ্ধরায় অক্ষয় শান্তি । ! H বুঝে, না আপনাকে জানে । স্থাপন করিয়া সে সেই উদ্দেশ্য সফল করিবে। ঈশ্বর সহায় হউন । “আর তুমি যতক্ষণ আমার সহিত একহৃদয়, আমি এখানেও একক নহি ; এবং এমন ভরসা রাখি যে, কেবল রাজমুকুট রচনা না করিয়া তোমার সাহায্যে এমন একটি সুন্দর মুকুট রচনা করিতে পারিব যাহা বিচ্ছিন্ন ভারতবর্ষের ব্রাহ্মণ, | মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, জৈন, পারসী, সকলেরই শিরোভূষণ হইবে। “কিন্তু হায়, ঈশ্বরের প্রেমের অক্ষর কেহ বুঝে না। অজ্ঞ নর না তাহাকে সকলেই সম্প্রদায় বাধিয়া চীৎকার করে, “আমিই কে হে বাপু ? একমাত্র সত্যের পথ পাইয়াছি, আর সকলেই জাহান্নামে চলিয়াছে।’ “গোলাপ তবে পদ্মকে ডাকিয়া বলুক্‌, ‘তুমি ফুল নহ—ফুল একমাত্র আমি ।’ মাধবী তরুলতাকে বলুক্‌, ‘আমিই সুন্দর —তুমি বিড়ম্বন । আত্ম অন্য ফলকে বলুক্‌, পরমেশ্বর আমাকেই মানবের ভোগের জন্য স্থষ্টি করিয়াছেন—তোমরা প্রত্যেক তারা বলিতে থাকুক, ‘স্বৰ্গে আমিই একা । “পিঞ্জর যতই সঙ্কীর্ণ হয় গোড়ামির গর্জন ততই গুরুতর। আমাদের পণ্ডিতেরা তাই পালঙ্কে শয্যা রচনা করিয়া অহৰ্নিশি অন্যের নরক-যন্ত্রণাই দেখিতে পান। যত বলি ঈশ্বরের রাজ্যে অশুচি কেহ নাই, ভ্ৰকুটিকুটিলমুখ ততই আমার প্রতি তীব্র অভিসম্পাৎ বর্ষণ করে। সিং হাসনতলে বসিয়া পাণ্ডিত্য আস্ফালন ক রিয়া মরে, আমি দেখি যেখানে জল অল্প সেইখানেই তোড় প্রবল। মহাসমুদ্রের গম্ভীর উচ্ছাস এখানে শুনা যায় না, “যখন মনে করি, এই দিল্লীর সিংহাসন