পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ary' »" : e. .................................. পরধৰ্ম্মের উচ্ছেদমানসে বলপ্রয়োগ করিয়া আপনাকে কলঙ্কিত করিতে লজ্জাবোধ করে নাই, তখন লজ্জায় আমার শির নত হইয়া পড়ে। কাফের শব্দই আমার কর্ণে বজ্রধ্বনি। যে যেরূপ বুঝে আপন আপন ধৰ্ম্ম পালন করুক। আমি বিধৰ্ম্মকে রাজস্ববৃদ্ধির কারণ করিতে চাহি না ।" ঈশ্বর প্রেমস্বরূপ—সেই প্রেমস্বরূপের মঙ্গল-ইচ্ছা সম্পাদনই আমার জীবনের কার্য্য। ধৰ্ম্মের বাহ্য অনুষ্ঠান লইয়া বিবাদ করা বালকেরই শোভা পায় { বাহ্যানুষ্ঠান ত বেশভূষার মত। কেহ বা ঢিলা কাপড় পরে, কেহ বা অ টিসঁাট ভালবাসে । প্রেমেই আমি মানবে মামকে একতা সম্পাদন করিতে চাহি । “স্বপ্নে দেখিয়াছি যে, পাথরের উপর পাথর চাপাইয়া আমি যেন সেই প্রেমের মিলন-মন্দির গঠন করিয়া তুলিয়াছি। শান্তি বিরাজ করিতেছে । “কিন্তু এ কি ! আমারই প্রাণের পুত্র । সেলিম একটির পর একটি করিয়া পিতৃ- | মন্দিরের সমস্ত পাষাণ খসাইয়া ফেলি- s বলিয়া বিখ্যাত । মহারাজ যুধিষ্ঠির কলি তেছে ; যেন শুনিতে পাইতেছি, সেই ধ্বংসাবশেষ হইতে সহস্ৰ কাতর ক্ৰন্দন ধ্বনি উত্থিত হইয়া মৰ্ম্মভেদী স্বরে বিলাপ | করিতেছে । “হায় মন্ত্রি, এই দুঃস্বপ্ন দেখিয়া অবধি আমার চিত্ত বড় অধীর –কিন্তু এই দুঃস্বপ্নের শেষে একটু যেন আশার আভাস ছিল। দেখিলাম, দূর হইতে কোন এক অপরিচিত জাতি আসিয়া আমার সেই জীর্ণ-মন্দির পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিয়া তুলিল এবং যে কাৰ্য্য আমি সম্পূর্ণ করিয়া উঠিতে পারি নাই ধীরে ধীরে তাহ সুসম্পন্ন করিল। পুরাণ ও বেদব্যাস ২৩ “পরমেশ্বর ধন্য—তিনি কাহার দ্বারা কি উদ্দেশ্য সাধন করেন কে জানে!” দেখিতে দেখিতে প্রভাত হইয়া অtসিল। আকবর ও আবুল ফজল পরস্পরের নিকট বিদায় গ্রহণ করিয়া স্বস্ব প্রাসাদে গমন করিলেন । টেনিসনের কাব্য সমাপ্ত হইল । পুরাণ ও বেদব্যাস । অামাদিগের দেশে সাধারণ লোকের এমন কি আধুনিক অনেকানেক পণ্ডিতগণেব ও সরল বিশ্বাস যে অষ্টাদশ পুরাণ ও অষ্টাদশ উপপুরাণ পরাশরপুত্র মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস কর্তৃক প্রণীত । কিন্তু এই বিশ্বাস নিতান্তই ভ্রান্তিমূলক । সমগ্র পুরাণ কেন যে বেদব্যাসের রচনা নহে আমরা নিম্নে তাহার কএকটা প্রমাণ সেখানে সত্য এবং প্রেম এবং ন্যায় এবং দশাইতেছি । প্রায় সকলেই অবগত আছেন যে মহর্ষি বেদব্যাস মহারাজ যুধিষ্ঠির ও ধৃতরাষ্ট্রের সময়ে বিদ্যমান ছিলেন । অধিক কি তিনি ধৃতরাষ্ট্র, পাণ্ডু ও বিদুরের পিতা যুগের প্রারম্ভেই অর্থাৎ প্রায় ৪৯৯৪ বৎসর গত হইল রাজত্ব করেন। সুতরাং ব্যাসদেব পাচ হাজার বৎসরেরও কিছু পূর্বে যে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন তাহাতে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। ১। র্যাহারা পুরাণ পাঠ করিয়াছেন র্তাহারা দেখিতে পাইবেন যে অষ্টাদশ পুরাণই বুদ্ধদেবকে অবতার বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন ও পুরাণে যেস্থানে বুদ্ধদেবের কথার অবতারণা করা হইয়াছে, তথায় অতীত কালের ক্রিয়। ব্যতীত ভবিষ্যৎ ক্রিয়ার উল্লেখ নাই ।