পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8 ബ তৃত্ববােধিনী পত্রিকা ०७ कक्ष, ७ अपन. _ ******mamitsas- wasse அ_. বুদ্ধদেবের আবির্ভাব ও তিরোভাবের পরে অবশ্যই পুরাণ সকল লিখিত হইয়াছে। শিব পুরাণের পূর্বাৰ্দ্ধে পঞ্চম কাণ্ডের তৃতীয় অধ্যায় হইতে নবম অধ্যায় পৰ্য্যন্ত পাঠ করিলে বেশ বুঝা যায় যে বুদ্ধদেবের পরে পুরাণ শাস্ত্র প্রণীত হইয়াছে। এখন অনেকে বৌদ্ধ রাজাদিগের জয়স্তম্ভ, মন্দির, স্তুপাদি তথা আৰ্য্যাবর্ত, লঙ্কাদ্বীপ, ব্রহ্মদেশ ও তিববতীয় গ্রন্থাদির প্রমাণ দ্বারা স্পষ্ট সিদ্ধ করিয়াছেন যে বুদ্ধদেব বিক্রমাদিত্যের ছয় শত চোঁদ ; বৎসর পূর্বে গোরক্ষপুরের নিকট কপিলাবস্তু নগরে জন্মগ্রহণ করেন ও অশীতি বৎসর বয়ঃক্রমে পরলোক প্রাপ্ত হন । অর্থাৎ প্রায় ২৫৬৩ দুই হাজার পাঁচ শত ত্ৰিষষ্টি বৎসর গত হইল বুদ্ধদেবের মৃত্যু হইয়াছে। পূর্বেই বলিয়াছি যে অতএব স্পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে যে | ہے لیےہ=== معاہدہ==== القلطليق المية مقايست বিরোধি তর্ক দেখা যায় না । অতএব পুরাণ প্রচারের সময় ব্যাসদেব যে জীবিত ছিলেন ইহা অসম্ভব। ২ । রামানুজ স্বামী যে বিক্রম ১২০৬ বারশত সম্বতে আর্য্য ভূমিতে আবিভূতি হন ইহা সকল ইতিহাসবেত্তা এক বাক্যে স্বীকার করেন । রামানুজ স্বামীই প্রথমে বৈষ্ণবদিগের দেহ বিষ্ণুচক্রে অঙ্কিত করিবার প্রথা প্রচলিত করেন । এই প্রথার বিরুদ্ধে লিঙ্গপুরাণ বলিয়াছেন

  • শঙ্খচক্রে তাপয়িত্বা বস্য দেহঃ প্ৰদহ্যতে । जऔरुन्। कूर्ण श्रृंखाछा: जर्सीथर्षदहिङ्कउः ।

যে মনুষ্যের শরীর অগ্নিদগ্ধ শঙ্খ চক্রাদি দ্বারা চিহ্রিত করা হয় তাহাকে সৰ্ব্বধৰ্ম্ম বহিস্কৃত জানিয়া জীবিতাবস্থাতেই ত্যাগ করিবে । উপরোক্ত প্রমাণ দ্বারা স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে যে রামানুজ স্বামীর বৈষ্ণব মত প্রচারের পরে লিঙ্গপুরাণ লিখিত পাচ হাজার বৎসরেরও কিছু পূর্বে ব্যাসদেবের জন্ম হয় । সুতরাং বুদ্ধদেব সেই ব্যাসের প্রায় দুই হাজার চারি শত | হইয়াছে। কারণ “প্রাপ্তিসত্যাং নিষেধঃ” অর্থাৎ নিষেধ বাক্য পূর্বে কোন একটা ব্যবহার প্রচলিত থাকিলেই প্রয়োগ করা কয়েক বৎসর পরে জন্মগ্রহণ করেন । কাজেই বুদ্ধদেবের সময় ব্যাসদেবের থাকা সম্ভবে না । কোন কোন পৌরাণিক মহাশয় বলিতে পারেন যে পুরাণের মতে ব্যাস অমর অতএব তিনি যে বুদ্ধদেবের পরে পুরাণ প্রণয়ন করিবেন তাছাতে আর বিচিত্ৰতা কি ? নীরবতাই এ বাক্যের প্রকৃত প্রত্যুত্তর । তথাচ আমাদের বক্তব্য এই যে ব্যাসদেব বেদশাস্ত্রের বিভাগকর্তা ও পূর্ণ বেদজ্ঞ । তিনি যদি বুদ্ধদেবের সময় জীবিত থাকিতেন তাহ হইলে দেশমধ্যে অবশ্যই বেদবিরুদ্ধ বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচার প্রতিরোধ করিতেন। কিন্তু কোন স্থানেই অর্থাৎ কি বৌদ্ধ গ্রন্থে ও পুরাণে বৌদ্ধধৰ্ম্ম সম্বন্ধে ব্যাসের কোন যায়, নচেৎ নহে। এই লিঙ্গপুরাণের নাম প্রায় সমস্ত পুরাণেই পাওয়া যায়। সুতরাং লিঙ্গ পুরাণের পরেই যে অন্যান্য পুরাণ রচিত হইয়াছে তাহা একপ্রকার সপ্রমাণ হয়। আরও রামানুজ স্বামী প্রায় ৭৫০ সাতশত পঞ্চাশ বৎসর হইল জন্মগ্রহণ করিয়াছেন । সুতরাং লিঙ্গ ও অন্যান্য পুরাণ যে ৭৫০ বৎসরেরও নূ্যন কাল হইল রচিত হইয়াছে তাহাতে সন্দেহ নাই। পূর্বে বলিয়াছি যে ব্যাসদেব পাচ হাজার বৎসরেরও অধিক হইল জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। অতএব ব্যাসদেব রামানুজ স্বামীরও পরে কখনই জীবিত্ত থাকিতে পারেন না । এই জন্য ব্যাস দেবের পুরাণকর্তা হওয়া অসম্ভব।