পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tart эwзе পুরাণ ও বেদব্যাস २(t அக ৩ । অষ্টাদশ পুরাণ ও অষ্টাদশ উপপুরাণ মধ্যে বহুসংখ্য পরস্পরবিরোধী বাক্য দেখিতে পাওয়া যায়। যদি সমস্ত পুরাণ ও উপপুরাণ ব্যাসদেবের রচিত হইত তবে কখনই এরূপ পরস্পরবিরোধী বাক্য থাকিতে পারিত না । অতএব সমস্ত পুরাণ যে ব্যাসের রচিত নয় ইহাও তাহার অন্যতর প্রমাণ । ৪ । আরও দেখা যায় জাহাঙ্গীর বাদসাহ তেজুকে স্পষ্ট করিয়া লিখিয়াছেন যে গোল আলু, তামাক ও কোপী এই তিন দ্রব্য র্তাহার পিতা আকবর সাহার সময়ে জনৈক পাদরী কর্তৃক মার্কিন দেশ হইতে আনীত হইয়া ভারতে রোপিত হয় । ইংরাজ ইতিহাসবেত্তারাও একবাক্যে একথা স্বীকার করেন। এখন ব্রহ্মাণ্ডপুরাণে তামাক সেবনের বিরুদ্ধেও প্রমাণ দেখিতে পাওয়া যায় । যথা— “প্রাপ্তে কলিযুগে ঘোরে তমালং ভক্ষিতং যেন স গচ্ছেন্নর কার্ণবে ॥” অর্থাৎ এই ঘোর কলিযুগে চাতুৰ্বর্ণের লোক ও অপরে যে কেহ তামাক সেবন করিবে সে নরকে যাইবে । পুনশ্চ পদ্ম পুরাণে আমরা নিম্নলিখিত শ্লোকটী প্রাপ্ত হই— “ধূমপানরতং বি প্রমিত্যাদি ৷” ইহাতেও তামাক সেবনের কথা আছে । উল্লিখিত প্রমাণ দ্বারা স্পষ্টই বুঝা যায় যে ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ ও পদ্ম পুরাণ অবশ্যই এদেশে তামাক প্রচলিত হইবার পরে রচিত হইয়াছে। কিন্তু আর্য্যদিগের কোন প্রাচীন গ্রন্থে তামাকের বিষয়ে কিছু লিখিত নাই। আরও তমাল বা তামাক এই শব্দটী দেশীয় আদিনিবাসীদিগের ভাষা হইতে গৃহীত। অতএব তামাক শব্দ কোন আৰ্য্য গ্রন্থে থাকিতে 像 米 姊 1 পারে না। শিখ গুরুদিগের মধ্যে মহাত্মা নানক হইতে নবম গুরু পর্য্যন্ত কেহই তামাক সেবন বিষয়ে নিষেধ বাক্য কিছুই বলেন নাই, কারণ র্তাহাদিগের সময়ে তামাক তত অধিক পরিমাণে প্রচলিত হয় নাই । কিন্তু দশম গুরু গোবিন্দ সিংহের সময়ে পঞ্জাবে অতিরিক্ত পরিমাণ তামাকেব ব্যবহার প্রচলিত হওয়াতেই তিনি তামাক সেবন নিষেধ ন রেন । এখন আকৃবর সাহ প্রায় তিন শত বৎসর হইল পরলোকগত হইয়াছেন। ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ ও পদ্মপুরাণে ন তামাকের কথা আছে তখন তাহ যে কত নবীন গ্রন্থ তাহা ইহাতেই প্রমাণ হয় । এই জন্য বলা যাইতে পারে ব্রহ্মাণ্ড ও পদ্মপুরাণাদি বাসের রচিত নহে । ৫ —শ্ৰীমৎ পরমহংস পরিব্রাজক ভগবান শঙ্করাচার্য্য বুদ্ধদেবের পরে ও রামানুজ স্বামীর পূর্বে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । কারণ শঙ্কর স্বামী বৌদ্ধ ও জৈন মত খণ্ডন করেন ও রামানুজ শঙ্কর স্বামীর মতে প্রতিবাদ উথাপন করিয়াছেন । প্রায় সকলেই অবগত আছেন যে সৰ্ব্বপ্রথমে শঙ্কর স্বামীই মায়াবাদ এই ভারতবর্ষে প্রচার করেন। এখন পদ্মপুরাণে উমামহেশ্বর সংবাদে লিখিত আছে, “মায়াবাদমসচ্ছাস্ত্রং প্রচ্ছন্নং বৌদ্ধমেবতং । ময়ৈব কথিতং দেবি কলেী ব্রাহ্মণরূপিণী ৷” অর্থাৎ হে পাৰ্ব্বতি । কলিযুগে আমি ব্রাহ্মণরূপ ধারণ করিয়া মায়াবাদরূপ মিথ্যাবেদান্ত শাস্ত্র যাহা বাস্তবিক প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধমত তাহ প্রচার করিয়াছি। এখন বুঝিয়া দেখ যে পদ্মপুরাণ বুদ্ধদেব ও শঙ্কর স্বামীর পরে রচিত হইয়াছে তাহাতে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই । ৬।—পুরাতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা এক