পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A “» ২৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা s७ कङ, ७ छ,' عهد تبخ==فضيحسعيد يمسه মত হইয়া স্বীকার করেন যে উড়িষ্যা দেশে জগন্নাথের মন্দির ও দারুময়ী মূর্তি বিক্রমী ২২৩১ সম্বতে রাজা অনঙ্গ ভীমদেব কর্তৃক সর্বপ্রথমে নিৰ্ম্মিত হয় । ইহার পূর্বে জগন্নাথের মন্দিরাদি কিছু ছিল না। আমরা স্কন্দপুরাণে এই জগন্নাথ ও মন্দিরাদি দর্শনেরও মাহাত্ম্য দেখিতে পাই । মন্দিরের গায়ে সম্বৎ লেখা আছে তাহীও পুরাতত্ত্ববিৎদিগের মতের সহিত ঐক্য হয়। অতএব স্কন্দপুরাণ যে জগন্নাথের মন্দির নিৰ্ম্মাণের পর লিখিত হইয়াছে তাহা প্রমাণিত হইল । সুতরাং এত নবীন পুরাণ কদাপি ব্যাসদেব কর্তৃক লিখিত হইতে পারে না । পুনশ্চ মহাভারত গ্রন্থ মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়নের রচিত। এই গ্রন্থ যে পুরাণ সকলের পূর্বে রচিত হইয়াছে তাহার মুখ্য প্রমাণ এই যে সমগ্র মহাভারতে কোন পুরাণের নাম উল্লেখ নাই কিন্তু পুরাণের ভুরি ভুরি স্থানে মহাভারতের নাম দেখিতে পাওয়া योंश । ৭ । এখন ভাগবত পুরাণ যে ব্যাসদেব কর্তৃক রচিত নহে তাহাই প্রমাণ করা আবশ্যক। সকলেই অবগত অা ছেন যে ভাগবত শাস্ত্র শুকদেব মহারাজ পরীক্ষিৎকে গঙ্গাতীরে শ্রবণ করাইয়া ছিলেন । ইতিহাস ও মহাভারত গ্রন্থে স্পষ্টই আছে যে কুরুপাণ্ডবদিগের যুদ্ধের পর মহারাজ যুধিষ্ঠির ৩৬ বৎসর ৮ মাস ২৫ দিবস রাজ্য করেন ও তৎপরে মহারাজ পরীক্ষিৎ ৬০ ষাট বৎসর রাজ্য করেন । এই ভাগবত শাস্ত্র মহারাজ পরীক্ষিৎ মৃত্যুর কয়েক দিবস পূর্বে শ্রবণ করেন। অতএব মহাভারতের যুদ্ধের প্রায় ৯৬ বৎসর পরে ভাগবত শাস্ত্র শুকদেব কর্তৃক কথিত হয়। মহাভারতে শান্তিপর্বে মোক্ষধৰ্ম্ম পৰ্ব্বাধ্যায়ের ৩৩২ ও ৩৩৩ অধ্যায়ে স্পষ্টই লিখিত আছে যে যখন পিতামহ ভীষ্মের নিকট যুধিষ্ঠির মোক্ষধৰ্ম্মের উপদেশ লন তখন ভীষ্মদেব শুকদেবের জন্ম ও মরণবৃত্তান্ত যুধিষ্ঠিরকে শ্রবণ করান। অর্থাৎ সেই বৃত্তান্তে শুকদেব যে যুধিষ্ঠিরের অনেক পূর্বেই ইহলোক পরিত্যাগ করিয়াছিলেন তাহা । স্পষ্ট লেখা আছে। যথা— “অন্তৰ্ছিতঃ প্রভাবস্তু দর্শয়িত্ব শুকস্তদ।” “গুণান সন্তজ্য শব্দাদীন পদমভাগমৎ পরম্ ॥ মহাভারত শান্তিপৰ্ব্ব ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে শুকদেব অন্তৰ্হিত হইয়া আপনার প্রভাব দেখাইয়া এইরূপে শব্দাদি গুণ সমুদায় পরিত্যাগ পূর্বক সেই পরম পদ লাভ করিলেন । এই ঘটনার পরে মহর্ষি বেদব্যাস অত্যন্ত পুত্ৰশোকাতুর হইয়া ভয়ানক ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন । এমন সময় পিনাকপাণি মহাদেব ব্যাসের নিকট উপস্থিত হইয়া তাহাকে বিশেষরূপে সান্তন করেন যথা— “তং দেবগন্ধৰ্ব্ববৃতো মহর্ষিগণপূজিতঃ” “পিনাক হস্তে। ভগবানভ্যাগমছত শঙ্করঃ ॥ তমুবাচ মহাদেবঃ শাস্তপূৰ্ব্বমিদং বচঃ। পুত্ৰশোকাভিসন্তপ্তং কৃষ্ণদ্বৈপায়নং তদা ॥ অগ্নেভূমেরপাং বায়োরস্তরীক্ষস্য চৈবহ । বীৰ্য্যেন সদৃশঃ পুত্ৰঃ পুরা মত্তস্বয়া বৃতঃ ॥ স তথালক্ষণো জাতস্তপসা তব সম্ভবঃ । মম চৈব প্রসাদেন ব্ৰহ্মতেজোময়ঃ গুচিঃ ॥ সগতিং পরমাং প্রাপ্তে। দুষ্প্রাপ্তামজিতেন্দ্ৰিয়ৈ: । দৈবতৈরপি বিপ্রর্ষে তং ত্বং কিমমুশোচসি ॥ যাবৎ স্থাস্যস্তি গিরয়ো যাবৎ স্থাস্যন্তি সাগরাঃ । তাবত্তৰাক্ষয় কীৰ্ত্তি; সপুত্রস্য ভবিষ্যতি ॥” মহাভারত শাস্তিপৰ্ব্ব । মহর্ষিগণপূজিত ভগবান পিনাকপাণি দেবতা ও গন্ধৰ্ব্বগণে পরিবেষ্টিত হইয়। পুত্ৰশোকার্ত মহর্ষি বেদব্যাসের নিকট আগমন পূর্বক সান্থনা বাক্যে তাছারে