পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ ১৮১৫ २१ কহিলেন মহর্ষে ! পূর্বে তুমি আমার নিকট অগ্নি, বায়ু, জল, ভূমি ও আকাশের ন্যায় বীৰ্য্যসম্পন্ন পুত্র প্রার্থনা করিয়াছিলে । আমিও তোমার প্রার্থনানুযায়ী পুত্র প্রদান করিয়াছিলাম। এক্ষণে তোমার সেই পুত্র দেবদুলভ পরম গতি প্রাপ্ত হইয়াছেন। অতএব কি জন্য তুমি অনুতাপ করিতেছ। নগর ও পৰ্ব্বত সমুদায় যে পর্য্যন্ত এই ভূমণ্ডলে বর্তমান থাকিবে সেই পৰ্য্যন্ত তোমার ও তোমার পুত্রের অক্ষয় কীৰ্ত্তির ঘোষণা হইবে। উপরোক্ত মহাভারতের বচন দ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে যে শুকদেব মহারাজ যুধিষ্ঠিরের অনেক পূর্বেই পরলোকগত | হইয়াছিলেন। অতএব যুধিষ্ঠিরের এই শুকদেবের জন্ম ও মরণ সংবাদ শুনিবার প্রায় এক শত বর্ষ পরে পরীক্ষিৎকে কিরূপে শুকাচার্য্য কর্তৃক ভাগবত গ্রন্থ শ্রবণ করান সম্ভব হইতে পারে। যে লোক, পরীক্ষিৎ এমন কি যুধিষ্ঠিরেরও জন্মাইবার পূর্বে দেহত্যাগ করিয়াছেন তিনি কিরূপে পরীক্ষিতের মৃত্যুর সময় ভাগবত শুনাইতে সক্ষম হইবেন । অতএব যদি ভাগবত ব্যাসদেব কর্তৃক লিখিত হইত তবে কখনই মহাভারতের সহিত এইরূপ বিরোধী হইতে পারিত না । পুনশ্চ ভাগবতে আছে যখন শুকদেব ভাগবত শ্রবণ করান তখন তাছার বয়ঃক্রম মোট ১৬ বৎসর ছিল । যথা— “তত্রাভবত্তগবান ব্যাসপুত্রে যদৃচ্ছয়াগামটমানোইন. পেক্ষঃ” “অলক্ষ্যলিঙ্গে নিজলাভতুষ্টে বৃতশ্চ বালৈবরধূত বেশঃ ॥” "তং ৰাষ্টবৰ্ষং মুকুমারপাদং করোরুবাহুং মুকপোল গাত্ৰং” ו 8*8 אוהכוכ סidל)g) অর্থাৎ সেই সময় ভগবান ব্যাসপুত্র । পুরাণ ও বেদব্যাস শুকদেব যদৃচ্ছাক্রমে পৃথিবী পর্য্যটন করিতে করিতে সেই স্থানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । র্তাহার দেহে কোন আগ্রমের চিন্তু ছিল না ও কতকগুলা বালক চারিদিকে বেষ্টন করিয়া কৌতুক করিতেছিল এবং বেশ দ্বারা এই প্রকার বোধ হইতেছিল যেন লোকেরা অবজ্ঞা করিয়া তাহাকে পরিত্যাগ করিয়াছে । র্তাহার বয়ঃক্রম ষোড়শবর্ষ মাত্র, কর চরণ উরু বাহু স্কন্ধ কপোল এবং গাত্র অতিশয় কোমল ইত্যাদি— এখন বুঝিয়া দেখুন যে যদি ভাগবত ব্যাখ্যা কালে শুকদেবের বয়ঃক্রম মোটে ষোল বৎসর হয় তবে তিনি যুধিষ্ঠিরের পূর্বে কদাচ জীবিত থাকিতে পারেন না । অতএব ইহা মহাভারতের সহিত সম্পূর্ণ বিরোধী। যদি মহাভারত ও ভাগবত এক ব্যাসদেবেরই লেখা হইত তাহা হইলে কখন এরূপ অসঙ্গত বাক্য ভাগবতে থাকিতে পারিত না । দেবী ভাগবতের টীকাকার স্পষ্টই লিখিয়া গিয়াছেন যে ভাগবত গ্রন্থ বোপদেব কর্তৃক রচিত । ভাগবত গ্রন্থে এত অসম্ভব বাক্য লিখিত আছে যে তাহাকে কদাচ ঋষিপ্রণীত গ্রন্থ বলা যাইতে পারে না । দুই একটা উদাহরণ স্বরূপ এস্থলে উদ্ধত করিতেছি। নৃসিংহ হিরণ্যকশিপুকে বধ করিয়া প্রহ্রাদের প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়া র্তাহাকে বর প্রার্থনা করিতে আদেশ করিলেন। তখন প্রহ্লাদ বলিলেন—

  • বরং বরয় এতৎতে বরদেশান্মহেশ্বরাৎ । यमनिन ९ शिष्ठ cय ज्वांभविषांश८खछ धैश्वब्रभ् ॥”

“ভন্মাৎ পিতা মে পুয়েত কুরস্কাদ স্তরাদঘাৎ । পুস্তস্তে ছপাঙ্গসংদৃষ্টস্তদা কৃপণবৎসল ।”