পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- אנשי לחשט বাৰী সম্প্রদায় ২৯ MeeeAM TMMMMTMM MATS MAAAA আছে তখন যে গরুড় পুরাণ ভাগবৎ রচনার পর লিখিত হইয়াছে তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অতএব গরুড়পুরাণ ব্যাসদেব কর্তৃক রচিত নহে । ১০ । স্কন্দপুরাণ যে শ্ৰীমদ্ভাগবৎ ও কালীপুবাণ অপেক্ষ নবীন গ্রন্থ তাহ স্কন্দ পুরাণের নিম্ন লিখিত শ্লোক দ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান হইতেছে। যথা

  • ভগবত্যাঃ কালিকায়া মাহাত্ম্যং যত্র বর্ণাতে । নানা দৈত্যবধোপেতং তদ্বৈ ভাগবতং বিদু: ॥ কলে কেচিদ্দুরাত্মানো ধূৰ্ত্ত বৈষ্ণবমানিনঃ। অন্তৰ্ভাগবতং নাম কল্পয়িষ্যন্তি মানবাঃ ॥**

যে শাস্ত্রে দৈত্যগণের বধ তথা ভগবর্তী কালীর মাহাত্ম্য বর্ণিত আছে সেই শাস্ত্রকেই ভাগবত বলিয়া জানিবে । কলিযুগে কোন কোন দুরাত্মা বৈষ্ণবাভিমানী ধূর্তের ভাগবৎ গ্রন্থকে যথার্থ ভাগবৎ না বলিয়া অন্য গ্ৰন্থকে ভাগবত কল্পনা করিবেক । এখন যদি স্কন্দ পুরাণকে রচিত নহে, কারণ স্কন্দ পুরাণকে পৌরা নিকের ব্যাস কর্তৃক রচিত বলিয়া স্বীকার । করেন । পুনশ্চ যদি ভাগবৎ গ্রন্থকে ব্যাস কর্তৃক রচিত স্বীকার করা যায় তবে স্কন্দ পুরাণ যে ব্যাস কর্তৃক রচিত নহে তাহা । সিদ্ধ হয়। আমি পূর্বেই স্কন্দ পুরাণ ও ভাগবৎ উভয় গ্রন্থই ব্যাস কর্তৃক রচিত নহে তাহা স্পষ্টই প্রমাণ করিয়াছি । অতএব পুরাণাদি যে ব্যাসদেব কর্তৃক রচিত নহে তাহা প্রমাণিত হইল । বাবী সম্প্রদায়। বর্তমান খৃষ্টীয় শতাব্দীর প্রারম্ভে পারস্য দেশের রাজধানী তিহারাণ নগরীতে সায়দ মহম্মদ আলী নামে এক মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেন । কথিত আছে ইহঁার ভূমিষ্ঠ হইবার অব্যবহিত পরে উল্কাপাত হয় । পারস্যবাসীদিগের মধ্যে জগতের ভাবী উদ্ধার কর্তার আবির্ভাব সম্বন্ধে এক প্রবাদ প্রচলিত ছিল । এখন তাহারা সায়দ মহম্মদের জন্মকালে উল্কাপাতরূপ অস্বাভাবিক ঘটনা দেখিয়া স্থির করিল যে ইনিই সেই উদ্ধার কর্তা (পেয়গম্বর) । তকো উল্লা নামক এক ব্যতি এই বিশ্বাস প্রকাশ্যভাবে ব্যক্ত করাতে রাজা তাহার প্রাণদণ্ডের আদেশ করিলেন । এবং সায়দ মহম্মদ আলি কতিপয় অনুচর সমভিব্যাহারে দশ বৎসর বয়ঃক্রম কালে আকা নামক জনশূন্য স্থানে নির্বাসিত হইল। এই ঘটনার ৯/১০ বৎসর পরে মহম্মদ আলী শিরাজ নগরে স্বীয় অভিনব ধৰ্ম্ম প্রচার করিতে প্রবর্তিত হন । ইনি এই সময় ‘বাব’ (ঈশ্বর-কৃপা ও ঈশ্বর-জ্ঞানের দ্বার) নাম পরিগ্রহ করেন । এই কারণে ইহার বিশ্বাস করা যায় তবে ভাগবৎ গ্রন্থ ব্যাস শিষ্যমণ্ডলী বাণী’ নামে অভিহিত হইয়া থাকে। উক্ত বাব (সায়দ মহম্মদ আলি) সুকবি সুবক্তা ও স্থতার্কিক ছিলেন । এই গুণ সকল থাকাতে ইনি অনতিবিলম্বে শ্রোতৃবর্গের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । র্তাহাকে পরাস্ত করিবার নিমিত্ত পণ্ডিতবর মোল্ল হোসেন খোরাসান হইতে আগমন করেন । কিন্তু নিজে বাবের নিকট তর্কে পরাস্ত হন ও পরিণামে র্তাহার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন । তৎপরে মহম্মদ বল ফোঁরশি নামে অপর এক সাধু ব্যক্তি ও জারিথ তাজ নাম্নী একটী বিভূষী স্ত্রী ইহঁার মতাবলম্বন করেন । ইনি যখন স্বীয় মত প্রচার করিতে আরম্ভ করেন, তখন প্রথম প্রথম সাধারণের নিকট উপেক্ষিত হইয়াছিলেন। পারস্যের মোল্লা ও সিয়া সম্প্রদায় পারস্যরাজের সাহায্য