পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৪

శ్రీe יושי9י אף,eג মইয়া অভিনব বাৰী সম্প্রদায়কে নিৰ্ম্মল 由、 করিবার প্রয়াস পাইতে লাগিল । বাবীরা আত্মরক্ষা করিতে বদ্ধপরিকর হইলেন। মেজেন্দারণে মোল্লা হোসেম দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া শক্রগণের বিপক্ষে অস্ত্ৰধারণ করেন। কিন্তু তিনি ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দে নিহত হইলেন। ক্রমে স্বয়ং বাব স্থত হইয়া বন্দী হইলেন। তিনি কোনরূপ প্রলোভনে না ভুলিয়া দৃঢ়ভাবে স্বীয় মত সমর্থন করাতে র্তাহাকে যন্ত্রণা দিয়া হত্য করা হইল । এইরূপ নানা প্রকার উৎপীড়ন সত্ত্বেও ইহঁার মতাবলম্বিগণ কখনও ভগ্নোৎসাহ হন নাই । মির্জা ফছিয়া নামে জনৈক ভদ্র যুবক বাগদাদ নগরে বাবের স্থলাভিষিক্ত হন । ইহঁার অধীনে বাবিগণ পুনরায় নব বলে বলীয়ান হইয় উঠে। এই সময়ে বাবীদিগের নামে এই এক অপবাদ উঠিল যে তাহারা তদানীন্তন পারস্য সম্রাটকে হত্যা করিবার জন্য ষড়যন্ত্র করিতেছে । তখন তাহারা দ্বিতীয়বার পারস্যরাজ কর্তৃক নিহত হইতে লাগিল । জারিনভাজও এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যে নিহত হয়েন । ইহার পর আর কেহই প্রকাশ্য ভাবে বাবী বলিয়া পরিচয় দিতে সাহস পাইত না । এই মতাবলম্বিগণ আপনাদিগের মত ও বিশ্বাস অতি সংগোপনে রাখিতে বিশেষ প্রয়াস পাইতেন । প্রকাশ্যভাবে তাহারা মহম্মদীয় ক্রিয়াকলাপের প্রতি আস্থা প্রদশন করিতেন । এই প্রকারে তাহার গোপনে গোপনে অবাধে স্ব স্ব মত প্রচার করিতে লাগিলেন । স্থানে স্থানে তাহাদিগের দল পুনর্বার প্রবল হইয়া উঠিল । এই সময় অনেক বাবী বাগদাদ, তুরস্ক (যুরোপীয়) মিশর ও ভারতবর্ষে গমন ক রেন । محمچ-ar-حجمع-ج গত ৫• পঞ্চাশ বৎসরের মধ্যে । ইহাদিগের সংখ্যা ক্রমশঃ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়া এক্ষণে পারস্যরাজ্যে মূনাধিক এক লক্ষ হইয়াছে। রাজ্যে কোনও প্রকার হাঙ্গামা উপস্থিত হইলে পারস্যরাজ বাবীদিগকেই শাস্তি দিয়া থাকেন। ইহঁাদিগের প্রতি রাজপুরুষদিগের অতিশয় তীব্র দৃষ্টি । এখন বাবীদিগের মতের কিছু আলোচনা করা যাউক । ইহারা বলেন যে, সাম্য স্বাধীনতায় স্ত্রীপুরুষের সমান অধিকার । বহুবিবাহের কথা দূরে থাকুক দুইটা বিবাহ ও পরস্ত্রীগমন বাবের বিশেষ নিষিদ্ধ । ইহঁার মতে উদারতা পরম গুণ । ইনি সন্ন্যাসী ফকিরদিগকে ঘৃণা করিতেন এবং এই উপদেশ দিতেন যে, সকলের সৎপথে থাকিয়া পরিশ্রম করিয়া স্বস্ব জীবিকা অর্জন করা উচিত। মৃত ব্যক্তিদিগের উদ্দেশে কোন ক্রিয়ার প্রয়োজন নাই । মোল্লা ও অন্যান্য যাজকদিগকে অর্থ দ্বারা স্বকৃতি ক্রয় করা নিষিদ্ধ। বাবের মতে খৃষ্টীয় মহম্মদীয় প্রভৃতি অন্যান্য ধর্মের স্থাপয়িতৃগণ, র্যাহাদিগের এক ঈশ্বরে বিশ্বাস, তাহারাই যথার্থ মহাপুরুষ, পরিত্ৰাতা । তিনি বলেন যে, দেশ কাল পাত্র ভদে ইহঁীরা তখনকার উপস্থিত অভাব ও প্রয়োজনমত ধৰ্ম্মশিক্ষা দেন ও সত্যে সাধারণকে দীক্ষিত করেন । তখনকার লোক সকল অনভিজ্ঞ থাকাতে ইহঁাদিগের ধৰ্ম্মোপদেশ প্রচ্ছন্ন ছিল। এক ঈশ্বরে বিশ্বাস, সকলধৰ্ম্মের প্রতি উদারভাব প্রদশন, মানব-জাতির পরস্পর পরস্পরের প্রতি ভ্রাতৃভাব, সকলের প্রতি সস্তাব বৃদ্ধির চেষ্টা, পাপ-চিন্তা ও পাপ কার্য্যে বিরাগ এইগুলি এই সম্প্রদায়ের প্রধান লক্ষণ । উপাসক যে ভাষা বুঝেন, তাহাতেই ঈশ্বরোপাসন করা উচিত। অদৃষ্ট নরক