\O3 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । ७७, कझ ७ छtभ ബ=-ബ=ജ-= - - “পূর্ববৎ” স্বষ্টি করিলেন।” বলা বাহুল্য, এই মন্ত্রটি পূৰ্ব্বোস্থত ষষ্ঠমণ্ডলীয় মন্ত্রোক্তির বিরোধী । এইরূপে বেদ মধ্যে ব্যাঘাত-দোষ দৃষ্ট হয় । এই ব্যাঘাত দোষ নিরাকরণার্থ ঋগ্বেদের বঙ্গানুবাদক মাননীয় শ্রীযুক্ত বাবু রমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয় “যথা পূৰ্ব্বং” অর্থে | “যথা সময়ে’ করিয়াছেন। এই অর্থ অতি অদ্ভূত ও পরিত্যজ্য সন্দেহ নাই । সায়ণাচাৰ্য্য, শঙ্করাচার্য্য ও হলায়ুধ প্রভৃতি সকলেই “যথা পূৰ্ব্বং” এর “পূর্বকল্পানুসারে” অর্থ করিয়াছেন । কেহ কেহ বলেন, ৬ | 8 || ২২ ঋকের সায়ণ ভাষ্য বিশুদ্ধ নহে। তাহারা বলেন সায়ণ সকল স্থলে মন্ত্রের ভাবার্থ গ্রহণ করিতে সক্ষম হয়েন নাই। ব্রাহ্মণ ও নিরুক্তাদি সম্মত অর্থই সুধী সমাজে বিশেষ । গ্রাহ । এই নিমিত্ত আমরা ব্রাহ্মণ ও নিরুক্ত অনুসন্ধান করিতে ক্রটি করি নাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, যাস্ককৃত নিরক্তে ও ঐতরেয় ব্রাহ্মণে এই মন্ত্রটি (অতি সরল বলিয়া) ব্যাখ্যাত হয় নাই। কোঁষিতকী ব্রাহ্মণ সম্প্রতি আমার নিকটে নাই ; সুতরাং তাহাতে এই মন্ত্র ব্যাখ্যাত হইয়াছে কি না, বলিতে পারিলাম না । সুতরাং এক্ষণে (যতদিন অন্য কোনও সুসঙ্গত ব্যাখ্যা না পাওয়া যায়) সায়ণাচার্য্যের উপর নির্ভর করিতে হইল । পাঠক বিজ্ঞাসা করিতে পারেন, বেদ এরূপ ব্যাঘাত দোষে দুষ্ট কেন ? ইহার উত্তর এই যে, সমস্ত বেদ একজন ঋষির দৃষ্ট বা প্রোক্ত নহে। ইহার ভিন্ন ভিন্ন সূক্ত ভিন্ন ভিন্ন ঋষি কর্তৃক দৃষ্ট, প্রোক্ত বা কৃত ধু হইয়াছে। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে
- তৈত্তিরীয় শ্রুতি বলেন, মন্ত্রকুতো ঋষয়ঃ । ঐতরেয় ব্রাহ্মণেও "ঋষিৰ্ম্মন্ত্রকৃৎ’ ইত্যাদি উল্লেখ পাওয়া
প্রাচুভূত ঋষিগণের দৃষ্ট, কৃত বা প্রোক্ত মন্ত্র ও সূক্ত সমূহ একত্র সংগৃহীত হইয়া বেদ সংহিতা (সংহিতা অর্থাৎ মন্ত্র সংগ্রহ) নাম প্রাপ্ত হইয়াছে । নিরুক্তকার যাস্ক বলেন (৮) । (৩) বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে অনুপ্রাণিত হইয়া ঋষিগণ ভিন্ন ভিন্ন সূক্ত দর্শন,কথন ও প্রণয়ন করিয়াছিলেন । সূক্ত মধ্যে তৎ দ্রষ্টা বক্তা বা কর্তার জ্ঞান ও বিশ্বাসের পরিচয় পাওয়া যায় । যে গ্রন্থে এইরূপ ভিন্নভিন্ন সময়ে প্রাচুভূতি মনীষীগণের স্বীয় স্বীয় জ্ঞান ও বিশ্বাস দ্যোতক ভিন্ন ভিন্ন ভাবপূর্ণ সূক্ত সমূহ সংগৃহীত হইয়াছে, তাহাতে ব্যাঘাত দোষ দৃষ্ট হওয়া কিছুই বিচিত্র নহে। এস্থলে ইহ স্মরণ রাখা উচিত, ঋগ্বেদের দশম মণ্ডল উহার ষষ্ঠ মণ্ডলের পরভাবিক । অতএব বলা যাইতে পারে যে, ঋগ্বেদের ষষ্ঠ মণ্ডলের ন্যায় প্রাচীনতম অংশে পূর্ব কল্প বিষয়ক বিশ্বাসের অস্তিত্ব প্রমাণিত शुश नौ । THE RELIGION OF LOVE INTENDED FOR ALL SECTS AND CHURCHES, By A Hindu. (Continued from page 241.) CHAPTER XIV. Of Sectarianism, Religious Bigotry and Spiritual Arrogance. 1. Man is finite. God is infinite. Man's idea of God, evon if he be the most knowing of men, must on account of the limitations of his faculties, be necessarily narrow compared with the knowledge, which God has of Himself. Can the eye of a man, standing on the sea-shore, grasp the whole ocean in its immensity ? His view must be bounded by the horizon. Owing to the limitations imposed ৰায়। ঋগ্বেদেও ঋষিগণকে “মন্ত্রকৃৎ" বলা হইয়াছে। কালিদাস বশিষ্ঠকে “মন্ত্রকৃৎ" বলিয়াছেন। ইহার টীকায় মল্লিনাথ বলেন "মন্ত্রের স্রষ্টা’ ।
